বগুড়ার শিবগঞ্জে দুর্বৃত্তরা অজ্ঞাত পরিচয় এক কিশোরকে (১২) গলাকেটে হত্যা করেছে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের কাছেই হত্যায় ব্যবহৃত হাতল ভাঙা রক্তমাখা চাকু ও সিমবিহীন একটি ভাঙা মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম জানান, বিকাল পর্যন্ত নিহতের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি। মরদেহটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার ক্লু উদঘাটনে বিভিন্নভাবে তদন্ত ও চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের খোলা জায়গায় সোমবার দুপুরে শিশুরা ক্রিকেট খেলছিল। একপর্যায়ে বল পাশেই শাহ্ আলমের বাঁশঝাঁড়ে গিয়ে পড়ে। একটি শিশু বলটি কুড়াতে গিয়ে সেখানে রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। তখন গ্রামবাসীরা ছুটে এসে অজ্ঞাত পরিচয় কিশোরের গলাকাটা, বাম হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান। খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
শিবগঞ্জ থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাসমত উল্লাহ জানান, মরদেহের কাছে হাতল ভাঙা রক্তামাখা একটি চাকু (চাপাতি), সিম ও মেমোরিহীন ভাঙা একটি অ্যানড্রয়েট মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। তার পরনে জিন্সের প্যান্ট, হুডি গেঞ্জি ও পায়ে কেডস ছিল। প্যান্টের পকেটে ব্যবহৃত স্কচপেট পাওয়া গেছে। নিহতের চুলের কাটিং দেখে তাকে টিকটক বয় মনে হচ্ছে। এরপরও বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে হত্যার রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চলছে।
