২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:১৪:২৫ অপরাহ্ন


মাঝআকাশে বিমানের টয়লেটে সন্তানের জন্ম দিলেন তরুণী
সুমাইয়া তাবাসুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১২-২০২২
মাঝআকাশে বিমানের টয়লেটে সন্তানের জন্ম দিলেন তরুণী মাঝআকাশে বিমানের শৌচালয়ে সন্তানের জন্ম দিলেন তরুণী


তরুণী জানতেই পারেননি তিনি অন্তঃসত্ত্বা। মাঝ আকাশে বিমানে পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। প্রসব যন্ত্রণা সেটাও বুঝতে পারেননি। প্লেনের টয়লেটে গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন। এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বিমানে এমনভাবেই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন এক তরুণী। 

ইকুয়েডরের তরুণীর নাম তামারা। পুরো ঘটনায় অবাক বিমানকর্মী থেকে সহযাত্রীরা। অবশ্য কোনও সমস্যা হয়নি। তরুণীর অবস্থা দেখে ছুটে এসেছিলেন বিমানকর্মী ও সহযাত্রীরা। সঙ্গী যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন একজন চিকিৎসক ও একজন নার্স। তরুণীকে প্রসবে সাহায্য করেন তাঁরা। তরুণী মা ও সদ্যোজাত ভাল আছে বলেই জানিয়েছে ডাচ বিমান সংস্থা। 

বিমান আমস্টারডামের রানওয়ে ছোঁয়ার পরেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। বিমান সংস্থা কেএলএম রয়্যাল জানিয়েছে, মা ও সন্তান দু’জনেই ভাল আছে। হাসপাতালে যাতে তরুণী মা তামারা ও তাঁর সন্তানের উপযুক্ত চিকিৎসা হয় তার ব্যবস্থা করেছে কেএলএম। খবর দেওয়া হয়েছে তরুণীর পরিবারকে। ইতিমধ্যে মাঝআকাশে উড়ন্ত বিমানে জন্মানো সন্তানের নাম দিয়েছেন তরুণী। বাচ্চার নাম রাখা হয়েছে ম্যাক্সিমিলিয়ানো।  

এখন প্রশ্ন হল, কেন এমন হয়? গর্ভে সন্তান এসেছে বুঝতেই পারেন না মা? 

এই ধরনের অবস্থাকে বলে ক্রিপটিক প্রেগন্যান্সি বা স্টিলথ প্রেগন্যান্সি। এক্ষেত্রে গর্ভবতী বুঝতেই পারেন না তাঁর জরায়ুতে বড় হচ্ছে ভ্রূণ। ডাক্তাররা বলছেন, ক্রিপটিক প্রেগন্যান্সি সাধারণ প্রেগন্যান্সির মতো হলেও এর উপসর্গ কিছুটা আলাদা। সাধারণ প্রেগন্যান্সিতে মায়ের শরীরে যেসব লক্ষণ ফুটে ওঠে, তা অনেকক্ষেত্রেই ক্রিপটিক প্রেগন্যান্সিতে বোঝা যায় না। যেমন বেবি বাম্প অনেক ছোট হয়, মর্নিং সিকনেস, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি ইত্যাদি লক্ষণগুলো তেমনভাবে বোঝা যায় না। ঋতুস্রাব বন্ধ হয় ঠিকই, তবে প্রেগন্যান্সি ব্লিডিং হয় অনেক সময়, যাতে পিরিয়ড ভেবে ভুল করেন অন্তঃসত্ত্বা। 

আরও একটা সমস্যা হতে পারে। ডাক্তরা বলছেন, ক্রিপটিক প্রেগন্যান্সিতে অনেক সময়েই টেস্ট রিপোর্ট ফলস নেগেটিভ আসে। যদি বাড়িতে প্রেগন্যান্সি কিট কিনে টেস্ট করেন, তাহলে তার রেজাল্ট পজিটিভ নাও দেখাতে পারে। মানে আপনি প্রেগন্যান্ট, কিন্তু রেজাল্ট নেগেটিভ আসবে। একমাত্র ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করালে বা আলট্রাসাউন্ড করলে বোঝা যাবে। 

যে কোনও মহিলারই ক্রিপটিক প্রেগনেন্সি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রেই এর কারণ বোঝা যায় না। তবে পলিসিস্টিক ওভারি থাকলে অধিক স্থূলতা, মানসিক অসুখ, বেশি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলে বা শরীরে কোনওরকম অস্ত্রোপচার হলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমন হতে পারে।