নাটোরের সিংড়ায় নকল স্বর্ণের মূর্তি বিক্রি চক্রের মূলহোতা মো. রফিকুল ইসলাম অফিজকে আটক করেছে র্যাব। রবিবার রাতে উপজেলার আয়েশ বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব।
র্যাব জানায়, রবিবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানী উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সিংড়া উপজেলার ২ নং ডাহিয়া ইউনিয়নের আয়েশ বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার পিপলসন গ্রামের মৃত খোরশেদ আলম প্রামাণিকের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার স্ত্রী মোছাঃ রুপজানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২০ নভেম্বর রাতে ভূক্তভোগী লালপুর উপজেলার মোঃ তরিকুল ইসলাম এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিংড়া উপজেলার পিপলসন দড়িপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে নকল স্বর্ণের মূতির বিক্রিয় করার অপরাধে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে একটি স্বর্নের মূতিসহ গ্রেফতার করে র্যাব। এসময় প্রতারক চক্র ‘অফিজ গ্রুপ’ এর মূলহোতা মোঃ রফিকুল ইসলাম অফিজসহ ৩জন প্রতারক পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভূক্তভোগী তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সিংড়া থানায় গ্রেফতারকৃত ও পলাতক প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন জানান, প্রতারকরা দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে সোনালী রংয়ের পুতুল স্বর্ণের পুতুল বলে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আটক রফিকুল ইসলাম অফিজ ও তার স্ত্রীকে সিংড়ায় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতারণার শিকার নাটোরের লালপুর উপজেলার সালামপুর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম (২৮) অভিযোগ করেন যে, গত মার্চ মাসে রাজশাহীর বাঘার শাহদোলা মাজার জিয়ারতের সময় প্রতারক চক্রের একজনের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং ভুক্তভোগীর সঙ্গে মোবাইল নম্বর আদান প্রদান হয়। প্রতারক ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে একটি নকল স্বর্ণের মূর্তি প্রতারক চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনে ভুক্তভোগী জানতে পারেন এটি নকল মূর্তি।