বিয়ের এক বছরের মধ্যে মৃত্যু হয় একমাত্র ছেলের। বিধবা পুত্রবধূ ও একমাত্র নাতনির ভবিষ্যৎ কী হবে তা ভেবে ভেবে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল বৃদ্ধ কিশোর চট্টোপাধ্যায়ের। শেষ পর্যন্ত মৃত ছেলের বন্ধুর সঙ্গে বিধবা বউমার বিয়ে দিলেন তিনি। জামুড়িয়ার চিঁচুড়িয়া গ্রামের ঘটনা।
চিঁচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কিশোর চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে ইন্দ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বছর চারেক আগে বিয়ে হয়েছিল পূজা চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মাথায় সাপের ছোবলে মৃত্যু হয় ইন্দ্রজিতের। ছেলের শোক বুকে নিয়েই তিন বছর বউমা ও একমাত্র নাতনিকে আগলে রাখেন বৃদ্ধ কিশোরবাবু। কিন্তু তিনি না থাকলে পূজা ও একমাত্র নাতনির কী হবে ভেবে পেতেন না ওই বৃদ্ধ। শেষ পর্যন্ত ঠিক করেন প্রয়াত ছেলের বন্ধু প্রভাত ফৌজদারের সঙ্গে বউমার বিয়ে দেবেন।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। প্রভাতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন কিশোর চট্টোপাধ্যায়। তার পরিবারও রাজি হয়ে যায়। এরপর শুক্রবার সকালে সব আচার মেনে স্থানীয় ঘাঘড়বুড়ি মন্দিরে কন্যাসম পুত্রবধূ পূজার সাথে ছেলের বন্ধু প্রভাতের চারহাত এক করে দেন কিশোর চট্টোপাধ্যায়। নব দম্পতিকে আশীর্বাদ করতে দুই পরিবারের তরফ থেকেই আত্মীয় পরিজনরা উপস্থিত ছিলেন।