২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৮:৪৯:৩১ অপরাহ্ন


পৃথিবী কাঁপিয়ে দিতে পারে আমাদের দেশ: কিম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০২-২০২২
পৃথিবী কাঁপিয়ে দিতে পারে আমাদের দেশ: কিম কিম জং উন। ফাইল ফটো


উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বারবার অকারণে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অভিযোগ উঠেছে। গতমাসেই একের পর এক শক্তিশালী ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল কিম জং উনের দেশ। উত্তর কোরিয়ার দাবি তাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে সার বিশ্ব ‘কেঁপে’ উঠেছে।

বছরের শুরুতেই কিমের নেতৃত্বাধীন উত্তর কোরিয়া সরকার ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছিল। উত্তর কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছিল এই মিসাইল পরীক্ষায় ‘যুগান্তকারী সাফল্য’ এসেছে। ওই মিসাইল পরীক্ষা পর উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল তাদের পরীক্ষা করা সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্রটি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রের সমান শক্তিশালী এবং খুবই স্বল্প সংখ্যক দেশের কাছে এই ধরনের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

গতমাসেই হাইপারসনি মিসাইল সহ মোট ৭ টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় পরীক্ষার মধ্যে Hwasong-12 মধ্যবর্তী-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। কিম সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “বর্তমান বিশ্বে যেখানে অনেক দেশই আমেরিকার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে অথবা তাদের অন্ধ আনুগত্য দেখিয়ে সময় নষ্ট করছে, সেখানে উত্তর কোরিয়াই একমাত্র দেশ যাঁরা মিসাইলের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিতে পারে।” সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে Hwasong-12 পারমাণবিক অস্ত্র পরিবহনে সক্ষম। গর্বের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, “বিশ্বে ২০০ টিরও বেশি দেশ রয়েছে, কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছে হাইড্রোজেন বোমা, আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং হাইপারসনিক মিসাইল রয়েছে।”

আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক কোনও কালেই ভাল নয়। ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে আলোচনা শুরু হলেও পারমাণবিক অস্ত্র ইস্যুকে কেন্দ্র করে আলোচনা ভেস্তে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথ নেওয়াপ পরও হোয়াইট হাউজের তরফে বারবার কিমের সঙ্গে আলোচনার কথা বলা হলেও বারবার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে প্যাংগং। ২০১৭ সালেও Hwasong-12 মিসাইল পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই উত্‍ক্ষেপণকে “নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন” বলে নিন্দা করেছিলেন।

রাজশাহীর সময় /এএইচ