এ মাসেই চালু করা হচ্ছে মর্টগেজ ডাটা ব্যাংক। বন্ধককৃত (মর্টগেজড) জমি একাধিকবার বন্ধক, ক্রয়-বিক্রয় বা নামজারি সংশ্লিষ্ট জালিয়াতি রোধে এই উদ্যোগ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এটি চালু করা গেলে এ সংক্রান্ত জালিয়াতি এবং প্রতারণার সুযোগ আর থাকছে না।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় ও ভূমি সম্পর্কিত বিভাগীয় কমিশনার সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ দেশের সকল বিভাগীয় কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, মর্টগেজ ডাটা ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংক, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, ভূমি অফিস বা নাগরিকদের জমির বন্ধক সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে যাচাই করার সুযোগ দেওয়া হবে, যাতে বন্ধককৃত জমি নতুন করে বন্ধক, ক্রয়-বিক্রয় বা নামজারি করার সুযোগ না থাকে। পাশাপাশি, অর্থ ঋণ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে নামজারি সহজীকরণে বন্ধকি ডাটাবেজকে ব্যবহার করা যাবে, এতে ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনার জন্য তথ্য সংগ্রহ সহজতর হবে এবং ঝুঁকি হ্রাস পাবে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে ভূমির এই নতুন সিস্টেমের কারণে।
ভূমি কর্মকর্তাদের নাগরিক সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করারা জন্য উদ্বুদ্ধ করার ব্যাপারে ভূমিমন্ত্রী বিভাগীয় কমিশনারদের তাগিদ দেন। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, দুর্নীতিবাজ অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক যথাযথ বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এই সময় ভূমি সচিব জানান, চলতি অর্থ বছরে প্রথম কোয়ার্টারে অনলাইনে প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে। বর্তমানে প্রায় প্রতি মাসে ২ লক্ষাধিক নামজারি আবেদন অনলাইনে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। আবেদনের ভিত্তিতে, এই পর্যন্ত প্রায় ৬৮ হাজার খতিয়ান এবং ৬০ হাজার জমির ম্যাপ ডাকবিভাগের মাধ্যমে সারাদেশে নাগরিকের ঘরে পাঠানো হয়েছে।
ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন, আন্তজেলা/উপজেলা সীমানা বিরোধ, ভূমি অফিস সংস্কার, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, জলমহাল ও বালু মহালের ইজারা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেন সভায় উপস্থিত বিভাগীয় কমিশনাররা।
সভায় উপস্থিত বিভাগীয় কমিশনাররা হচ্ছেন - খলিলুর রহমান (ঢাকা), আশরাফ উদ্দিন (চট্টগ্রাম), জি এস এম জাফরউল্লাহ্ (রাজশাহী), জিল্লুর রহমান চৌধুরী (খুলনা), আমিন উল আহসান (বরিশাল), ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন (সিলেট), সাবিরুল ইসলাম (রংপুর), শফিকুর রেজা বিশ্বাস (ময়মনসিংহ)।