মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, কোভিড পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য সংকট এবং চীনের উৎপাদন কমে যাওয়াসহ তিনটি প্রধান কারণে ২০২৩ সাল সংকটময় হতে পারে। এজন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে যাওয়াসহ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্য সংকট থেকে যাবে। যে কারণে সবার আগে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।
গত পাঁচ-ছয় মাসে আমরা খাদ্য সংকট দেখেছি। আগামী এক থেকে তিন বছরের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদনেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সচিব আরও জানান, সংকটের কারণ হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্ববাজারে ডলার সংকট, চীনে উৎপাদন কমে যাওয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশে যেসব জমিতে চাষাবাদ করা হবে না, সেগুলো খাস জমিতে পরিণত হবে এমন প্রচারণা পুরোপুরি গুজব বলেও জানান।
তিনি বলেন, কক কোনো পাকিস্তানি মুরগি না, এটা জয়পুরহাটে ডেভেলভ করা। আমাদের বিজ্ঞানীরাই এটা বানিয়েছেন। তারা এ মুরগীর নাম দিয়েছেন ‘সোনালী’। এটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়ার মতো কাজ তারা করেছেন। এভাবে বৈজ্ঞানিক উপায়গুলো ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, এছাড়া বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠালে তারা উচ্চ বেতনে কাজ পাবেন। এ জন্য শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হবে। রেমিট্যান্স বাড়াতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখন থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো ফি দিতে হবে না। এরমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি পরিষ্কারও করেছে। এছাড়া নাম ও পরিচয়পত্র দিয়েই কেবল রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কেবল বিডাতেই যেন বিনিয়োগকারীরা যান। লাইসেন্স নিতে যাতে তাদের সিটি করপোরেশন কিংবা পৌরসভায় যেতে না হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।