যার শেষ কথা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ তার জন্য জান্নাত সুনিশ্চিত। ওয়াহহাব ইবনু মুনাবিবহ রাহমাতুল্লাহি আলাইহিকে জিজ্ঞাসা করা হলো- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ কি জান্নাতের চাবি নয়? উত্তরে তিনি বললেন, ‘অবশ্যই’। তবে যে কোনো চাবির দাঁত থাকে। তুমি দাঁত যুক্ত চাবি আনতে পারলে তোমার জন্য (জান্নাতের) দরজা খুলে দেওয়া হবে। অন্যথায় তোমার জন্য (জান্নাত) খোলা হবে না।
দাঁতযুক্ত চাবি কী?
দাঁত বিশিষ্ট চাবি বলতে যাবতীয় সৎকর্মকে বুঝানো হয়েছে। তাই যারাই ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়ে ঈমান আনার পর যাবতীয় আমলগুলো যথাযথভাবে আদায় করবে, তাদের জন্য জান্নাত সুনিশ্চিত।
হজরত আবু যার গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘একজন আগন্তুক (জিবরিল আলাইহিস সালাম) আমার প্রতিপালকের কাছ থেকে এসে আমাকে খবর দিলেন অথবা তিনি বলেছেন, আমাকে সুসংবাদ দিলেন, আমার উম্মাতের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সঙ্গে কাউকে শরিক না করা অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, যদিও সে জিনা করে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে? তিনি বললেন, যদিও সে জিনা করে থাকে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে। (বুখারি ১২৩৭, মুসলিম ১/৪০, মুসনাদে আহমাদ ২১৪৭১)
চুরি ও জিনা করেও জান্নাতে যাবে?
হ্যাঁ, তারপরও জান্নাতে যাবে; তবে কৃত কর্মের শাস্তি ভোগ অথবা ক্ষমা লাভের পরই সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। কারণ কাবিরা গুনাহে লিপ্ত হলেই মানুষ ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায় না। এ হাদিসটি তাদের কথার জবাবে মজবুত দলিল, যাদের আকিদা-বিশ্বাস হলো মানুষ কবিরা গুনাহ করলেই কাফির হয়ে যায়। (নাউজুবিল্লাহ)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর আমলনামাকে নেকিতে পরিপূর্ণ করে দিন। যাবতীয় নেক আমলের মাধ্যমে প্রত্যেক ঈমানদারকে জান্নাত দান করুন। আমিন।