মৃ্ত্যুপথযাত্রী কিংবা মৃতব্যক্তির জন্য শ্রেষ্ঠ সম্বল দোয়া। এ সময়গুলোতে যে দোয়া করা হয় তা কবুল হয়। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুপথযাত্রী ও মৃতব্যক্তিদের জন্য দোয়া করতে বলেছেন। মানুষের এসব দোয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরেশতারা আমিন, আমিন, বলতে থাকেন। যা কবুল হয়ে যায়। তাহলে তাদের জন্য কী দোয়া করবেন? এ সম্পর্কে হাদিসে পাকেই বা কী এসেছে?
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মৃত্যুপথযাত্রীর সামনে উত্তম কথা বলা উচিত। তাদের জন্য দোয়া করা। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত উম্মু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কোনো মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির কাছে উপস্থিত হলে উত্তম কথা বলবে। কেননা (তোমাদের) কথার সঙ্গে সঙ্গে ফেরেশতারা আমিন আমিন বলেন।
হজরত আবু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু মারা গেলে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি কি বলবো? তিনি বললেন, তুমি বল-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَأَعْقِبْنَا عُقْبَى صَالِحَةً
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগফিরলাহু ওয়া আকিবনা উকবা সালিহাতান’
অর্থ : ’হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন এবং আমাদের কল্যাণকর পরিণতি দান করুন ‘
হজরত উম্মু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, এ দোয়ার বদৌলতে মহান আল্লাহ আমার কল্যাণময় পরিণতি দান করলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে (তাঁর সঙ্গে আমার বিবাহ হয়)।’ (আবু দাউদ ৩১১৫, ইবনু মাজাহ ১৪৪৭)
সুতরাং মৃত্যুপথযাত্রীর জন্য কল্যাণকর দোয়া করা। কেউ মারা গেলে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা দোয়া করা এবং যারা বেঁচে আছেন তাদের জন্যও কল্যাণের দোয়া করা। কেনন এসব দোয়ার সময় ফেরেশতারা আমিন আমিন বলেন। আল্লাহ এ সময়ের দোয়া কবুল করেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ সময়গুলোতে ক্ষমা ও কল্যানের দোয়া করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।