নড়াইলে যৌতুকের দাবিতে আছিয়া বেগম (২১) নামের এক গৃহবধূকে গলাকেটে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত স্বামী রনি শেখ ও তার প্রধান সহযোগী আব্বাস ফকির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার রাতে নড়াইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে নড়াইলের কালিয়া ও গোপালগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে নড়াইলের কালিয়া ও গোপালগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার ওসি (তদন্ত) ওবাইদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে নিহতের মা রেবেকা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও বলেন, স্বামী রনি শেখ ও তার প্রধান সহযোগী আব্বাস ফকিরকে আদালতে হাজির করা হলে শনিবার রাতে নড়াইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
এর আগে ঘটনার পরই পুলিশ হিতের শ্বশুর লিটু শেখ, তার দুই ছেলে ইমরান শেখ ও রুবেল শেখকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে নড়াইল সদর উপজেলার শড়াতলা গ্রামের লিটু শেখের ছেলে রনি শেখের সাথে একই গ্রামের ইকলাস সিকদারের মেয়ে আছিয়া বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তাদের থাকার বাড়ি করার জন্য জমি ও নগদ দুই লক্ষ টাকা দেন। শুক্রবার দুপুরে রনিদের বসতঘরের জানালা দিয়ে আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নেভান। এরপর দেখা যায় বিছানায় আছিয়ার গলাকাটা ও পুড়ে যাওয়া মরদেহ। বিছানার চাদর, তোশক, কাঁথা ও আছিয়ার গায়ের কাপড় পুড়ে যায়। এরপরও যৌতুকের জন্য সেই বাড়িতেই তাকে প্রথমে গলাকেটে ও পরে পুড়িয়ে হত্যা করে। তাদের ৩ বছরের বায়জিদ নামে একটি ছেলে রয়েছে।