সবসময়ই মৌসুমি ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এসব ফল- সবজি ঋতু পরিবর্তনের সময় প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আজকাল প্রায় সারা বছরই পেয়ারা পাওয়া যায়। শীতের এই সময় খাদ্যতালিকায় পেয়ারা যোগ করলে নানা উপকারিতা পাওয়া যায়।
পেয়ারা এমন একটি ফল যাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম,ফাইবার এবং ভিটামিন সি থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেয়ারা রাখলে রক্তে শর্করার মাত্রা, হৃত্পিণ্ডের স্বাস্থ্য, পরিপাকতন্ত্র এবং ওজন কমানোর জন্য উপকারী হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কমলার চেয়ে চারগুণ পরিমাণ বেশি ভিটামিন সি পেয়ারায় থাকে। এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । সেই সঙ্গে সাধারণ সংক্রমণ এবং রোগজীবাণু থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
পেয়ারায় থাকা সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম শরীরের ভারসাম্য উন্নত করতে সাহায্য করে । এ কারণে এই ফল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গেছে, পেয়ারা ট্রাইগ্লিসারাইড এবং খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃত্পিণ্ডও সুস্থ থাকে।
পেয়ারা প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি ফল। এতে শর্করার পরিমাণ কম এবং প্রচুর পরিমাণে কপার থাকায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেয়ারা এবং এর পাতা ভিটামিন সি ও আয়রনের একটি দুর্দান্ত উত্স। এসব উপাদান সর্দি এবং কাশি উপশমে বেশ কার্যকর ।
পেয়ারায় লাইকোপেন, কোয়ারসেটিন এবং পলিফেনলের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে থাকে। এসব উপাদান ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতায় থাকা অ্যান্টি-প্রলিফারেটিভ উপাদানও ক্যান্সারের বিস্তার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
পেয়ারা ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে প্রতিদিন সকালে একটি করে পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এবং চোখের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। গবেষণা বলছে, প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খেলে ছানি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন কমাতে সাহায্য করে।
পেয়ারাতে ডায়েটারি ফাইবার থাকায় ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটি রাখতে পারেন। গবেষণা অনুয়ায়ী, শীতকালে নিয়মিত পেয়ারা খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।