প্রবল ধুলোঝড়ের মধ্যে মুম্বইয়ে বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে চারজনের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৯ জন। বৃহন্মুমুম্বই পুরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে, অনেকে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন উদ্ধারকারীরা। দমকল, পুলিশের পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। আনা হয়েছে ক্রেন এবং গ্যাস কাটার। কিন্তু বিলবোর্ডটা এতটাই বড় যে সবাইকে উদ্ধার করতে কতক্ষণ লাগবে, তা নিয়ে ধন্দে আছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিলবোর্ডটি প্রায় ১০০ ফুট লম্বা হওয়ায় কাজটা আরও কঠিন হয়েছে। তারইমধ্যে ঘটনাস্থলে এসে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ জানিয়েছেন যে পুরো ঘটনায় তদন্ত করা হবে। মুম্বইয়ের যত বিলবোর্ড আছে, সেগুলির অডিট করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সবই প্রতিশ্রুতি এসেছে দুর্ঘটনার পরে।
প্রবল ধুলোর ঝড়ের মধ্যে সোমবার বিকেলের দিকে ঘাটকোপার ইস্টের পন্তনগরের ইস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়েতে পুলিশ গ্রাউন্ড পেট্রোল পাম্পের উপরে একটি ১০০ মিটারের লম্বা হোর্ডিং ভেঙে পড়ে। নীচে আটকে পড়েন অনেকে। প্রাথমিকভাবে সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে আসেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘৪৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই খুব সতর্কতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। এরকম ক্ষেত্রে (গ্যাস কাটার) উদ্ধারকাজ চালাতে হয়। আর এটা আবার পেট্রোল পাম্প। তাই খুব বিপজ্জনক কাজ এটা। সেই পরিস্থিতিতে খুব সতর্কভাবে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে দমকল বাহিনী এবং অন্যান্য বিভাগ। যতক্ষণ না শেষ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা না হচ্ছে, ততক্ষণ উদ্ধারকাজ চলবে।’
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এটা কী ধরনের হোর্ডিং ছিল, অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল নাকি ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি, সবকিছু তদন্ত করে দেখা হবে। এত বড় যখন হোর্ডিং লাগানো হয়েছে, তখন হাওয়ার গতিবেগ নিয়ে কোনও গবেষণা করা হয়েছিল কিনা, সেইসব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজন হলে গাফিলতির দায়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করতে পারি আমরা। গাফিলতি হলে কাউকে ছাড়া হবে না।' সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার থেকেই বৃহন্মুমুম্বই পুরনিগমের তরফে সমস্ত হোর্ডিংয়ের অডিট করা হবে বলে দাবি করেছেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী।