নওগাঁর পত্নীতলায় রবিবার বিকালে উপজেলার আমাইড় ইউপির নালাপুর রাস্তার পাশে নয়নজলিতে জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় আকৎস্কিভাবে মানসিক ভারস্যমহীন ফয়জুলের কুড়ালের আঘাতে আছির উদ্দীনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামবাসী হামলাকারী ফয়জুলকে আটক করে বেঁধে রাখা অবস্থায় ফয়জুলের মৃত্যু হয়েছে বলে পত্নীতলা থানা সুত্রে জানা গেছে।
গ্রামবাসী ও পত্নীতলা পুলিশ থানা সুত্রে জানা গেছে, আমাইড় ইউপির নালাপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দীনের ছেলে আছির উদ্দীন (৬৫) নালাপুর মোড়ের রাস্তার পাশে নয়নজলিতে জাল দিয়ে মাছ ধরছিল। এমন সময় পার্শ্ববর্তি ইউপি ঘোষনগর কৃষ্ণরামপুর গ্রামের মৃত আঃ গণি মন্ডলের ছেলে মানসিক ভারস্যমহীন ফয়জুল (৫০) আকৎস্কি ভাবে কুড়াল দিয়ে আছির উদ্দীনের ঘাড়ে ও মাথার পিছনে কোপ মারে। এসময় আছির উদ্দীনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এসময় ফয়জুল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে উত্তেজিত গ্রামবাসী ফয়জুলকে আটক করে নালাপুর মোড়ে বেঁধে রাখলে সন্ধ্যা আনুঃ সাড়ে ৬টায় ফয়জুলের মৃত্যু হয়। অপরদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আনুঃ সাড়ে ৭টায় আছির উদ্দীনের মৃত্যু হয়।
গ্রামবাসী সুত্রে জানা গেছে উক্ত ফয়জুলের গত কয়েকদিন ধরে মাথায় সমস্যা দেখা দেয়ায় সে পরিবারের লোকজন সহ গ্রামের লোকজনকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাড়া করছিল। এ অবস্থায় শনিবার বিকেলে ফয়জুৃলের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন ফয়জুল কে বাড়িতে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং ফয়জুলের স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যায়। রোববার ফয়জুল তার বাঁধন খুলে কুড়াল নিয়ে প্রাচীর টপকিয়ে বাড়ির বাইরে এসে নানা জনকে তাড়িয়ে বেড়ার এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় আকৎস্কিভাবে হামলা চালিয়ে আছির উদ্দীনকে আহত করে।
ঘটনার পরপরি রাতে খবর পেয়ে পত্নীতলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহত দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে। এ ঘটনায় রাত আনুঃ ১০টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ গাজিউর রহমান পিপিএম, পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফতাব উদ্দিন এবং পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ্, ওসি (তদন্ত) অর্পণ কুমার দাস সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এব্যাপারে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ্ সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে জানান দু’জনের মৃতদেহ সোমবার ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে, তবে মরদেহের ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।