ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ঘি অনেকেই খান না। তবে এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আয়ুর্বেদ অনুসারে, ঘি আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে গরমে ঘি খাওয়া আবশ্যক। ঘিতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এ ছাড়াও এতে ভিটামিন সি এবং এ আছে। শরীরের সব কোষকে পুষ্ট করে এবং সব অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। গরমে শরীরের তাপ কমাতেও ঘি সাহায্য করে।
গরমে এক চামচ ঘি আপনার শরীর সুস্থ রাখতে কতটা দায়িত্ব পালন করে, এবার বুঝলেন তো? এবার জেনে নিন গরমে ঘি খাওয়ার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
ভালো চর্বি: ঘিতে থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা শরীরে শক্তি হিসেবে জমা হয়। স্বাস্থ্যকর চর্বিগুলো আপনার শরীরকে পুষ্টি শোষণ করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ হরমোন তৈরি করতে সহায়তা করে।
শরীরের আর্দ্রতা বাড়ায়: ঘিতে থাকা ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। গরমে ঘাম হওয়ায় শরীর হয়ে পড়ে জলশূন্য। এ সময় ঘি শরীরকে ভিতর থেকে পুষ্ট রাখতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও নিয়মিত ঘি খেলে ত্বক নরম ও কোমল হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: করোনাকালে সবারই উচিত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করা। ঘি শরীরকে বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। এতে বুট্রিক অ্যাসিড আছে, যা একটি স্বল্পমেয়াদী ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও ঘিতে থাকা ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
হজমশক্তি বাড়ায়: খালি পেটে ঘি খেলে হজমশক্তি উন্নত হয়। এতে শক্তিশালী অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য আছে, যা অসুস্থতা এড়াতে সহায়তা করে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, শরীরের হজমশক্তি উন্নতি করে এবং পুষ্টির শোষণে সহায়তা করতে অন্যতম সেরা খাবার হলো ঘি।
শরীর ঠান্ডা রাখে: ঘি খেলে মানসিক এমনকি শারীরিকভাবে শীতল থাকবেন। কারণ ঘি প্রদাহ হ্রাস করে এবং শরীরকে একটি শান্ত প্রভাব প্রদান করতে পারে।