২০১৬ সালে স্বামী পিটার এবং দুই সন্তান মেলিসা এবং আমেলিয়ায় সঙ্গে মিশরে বেড়াতে গিয়েছিলেন জুলিয়া। সেই ভ্রমণেই যে বদলে যাবে জীবন তা ভাবতে পারেননি কেউই। মিশর ভ্রমণের শেষে হোটেলের সুইমিং পুলে বসে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন জুলিয়া। তখনই হোটেলের এক কর্মচারী এসে তাঁকে নিজের পরিচয় দেন এবং তাঁর নাম জিজ্ঞেস করেন। জুলিয়া তেমন কিছু না ভেবেই নিজের পরিচয় দিয়ে দেন।
মিশর থেকে ফিরে আসার কিছুদিন পর হঠাৎ করেই ফেসবুকে এক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পান তিনি। পাঠান ৩৫ বছর বয়সি আহমেদ নামের সেই হোটেলকর্মী। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহন করার পর চলতে থাকে আলাপচারিতা। ক্রমেই সেই আলাপ গড়ায় ভিডিও কলে। ক্রমশ বাড়তে থাকে ভিডিও কলের সময়। ২০১৭ সালে সব কিছু ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধতে স্বামীকে ডিভোর্স দেন ৫৩ বছর বয়সি বধূ। তাঁর নাম জুলিয়া ক্লার্ক, আমেরিকার লিংকন শহরের বাসিন্দা তিনি। সেই সম্পর্কের বিষয় নিযে নিজেই একটি সংবাদসংস্থাকে জানান তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, মিশরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জুলিয়া। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ২০২০ সালে পাকাপাকি ভাবে মিশরেই থাকতে শুরু করেন। কিন্তু ২০২২ সালে স্বপ্নভঙ্গ হয় জুলিয়ার। তাঁর মেনোপজ শুরু হয়। অর্থাৎ ঋতুবন্ধ আরম্ভ হয়। এর পরই আহমেদ জানান, তিনি সন্তান চান এবং আরও একটি বিয়ে করতে চান। কিন্তু এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি জুলিয়া। শেষ পর্যন্ত আহমেদকে ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি।