১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বুধবার, ০৯:১১:৫৬ অপরাহ্ন


আমেরিকাকে জানিয়েই গাজায় হামলা শুরু ইজরায়েলের, দাবি হোয়াইট হাউসের!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৩-২০২৫
আমেরিকাকে জানিয়েই গাজায় হামলা শুরু ইজরায়েলের, দাবি হোয়াইট হাউসের! সংগৃহিত ছবি


গাজা ভূখণ্ডে নতুন করে হামলা চালানোর আগে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করেছিল ইজরায়েল! এমনটাই দাবি করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট। মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজায় আবার হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল। পর পর গোলাবর্ষণে ২০০ জনেরও বেশি প্যালেস্টাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। লেভিট জানিয়েছেন, গাজায় হামলা করার বিষয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এবং হোয়াইট হাউসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ইজরায়েলি প্রতিনিধিরা।

আমেরিকান সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে লেভিট বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন স্পষ্টই করে দিয়েছেন হামাস, হুথি, ইরান— যারা শুধু ইজরায়েলেই নয়, আমেরিকাতেও সন্ত্রাস পাকাতে চায়, তাদের মূল্য চোকাতে হবে, তাদের উপর নরক বর্ষিত হবে।” বস্তুত, এই ‘নরক বর্ষিত হওয়া’র হুঁশিয়ারি এর আগেও শোনা গিয়েছিল ট্রাম্পের গলায়। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রকাশ্যে হামাস গোষ্ঠীর উদ্দেশে তিনি জানিয়েছিলেন, হয় হামাস সব পণবন্দিকে মুক্তি দেবে, নয়তো তাদের উপর ‘নরক বর্ষিত’ হবে।

ইজরায়েলের পর পর হামলার মু‌খে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে হামাস গোষ্ঠীও। হামাস নেতা ইজ্জত আল-রিশেক বলেছেন, নতুন করে হামলা চালিয়ে ইজরায়েল নিজেদের পণবন্দিদের বলি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই হামলা হামাসের হাতে বন্দি থাকা বাকি ইজরায়েলিদের ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ হতে পারে বলে সতর্ক করছে প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী। তিনি আরও জানান, দর কষাকষি করে ইজরায়েল যা পায়নি, যুদ্ধ করেও তা পাবে না। গত জানুয়ারি মাসে আমেরিকা, মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইজরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। গত ১৯ জানুয়ারি তা কার্যকর হয়। দু’পক্ষই বন্দিমুক্তি প্রক্রিয়াও শুরু করে। তবে গত ১ মার্চ যুদ্ধবিরতির প্রথম দফার মেয়াদ ফুরিয়েছে। ইজরায়েল চাইছে ওই মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করতে। কিন্তু দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও আলোচনা এখনও পর্যন্ত হয়নি। এই অবস্থায় মঙ্গলবার বেশি রাতের দিকে গাজা ভূখণ্ডে পুনরায় হামলা শুরু করে ইজরায়েল। তাদের দাবি, সেখানে হামাসের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে হামলা চালানো হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুসারে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরবর্তী আলোচনায় কোনও অগ্রগতি না-হওয়াতেই এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর দফতর থেকে বলা হয়েছে, ইজরায়েল এখন থেকে আরও বেশি সামরিক শক্তি নিয়ে হামাসের বিরুদ্ধে হামলা চালাবে। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ইজরায়েলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যত ক্ষণ প্রয়োজন, তত ক্ষণ হামলা চালিয়ে যাবে তারা। রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজরায়েলের কূটনীতিক ড্যানি ড্যানন জানিয়েছেন, যতক্ষণ ইজরায়েলি পণবন্দিরা গাজায় আটকে থাকবেন, ততক্ষণ ইজরায়েল কোনও দয়া দেখাবে না।