ডাল পুষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, বিশেষ করে যারা মাছ-মাংস-ডিম খান না তাদের জন্য। দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী লোকেরা দুপুরের খাবারে ডাল ও ভাত খেতে পছন্দ করে। আজকে আমরা এক মাস ডাল খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করলে স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব পড়বে তা নিয়ে আলোচনা করব।
ডাল খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?
ডালে উদ্ভিদ ভিত্তিক প্রোটিন রয়েছে, যা পেশীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডাল প্রোটিনের একটি ভালো উৎস, বিশেষ করে নিরামিষাশীদের জন্য।
ডাল ফাইবার এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ - ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমের জন্য খুবই ভালো। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় এবং পেটে মাইক্রোবায়োমকেও বাড়িয়ে তোলে। এটি ভিটামিনের পাশাপাশি এই সমস্ত খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ, যেমন- আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি ইত্যাদি।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে - ডালের কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে হজম হয়।যার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হার্ট সুস্থ রাখে - প্রতিদিন ডাল খাওয়া শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।এছাড়া এটি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে - ডালে প্রোটিন এবং ফাইবার থাকার কারণে এটি খেলে পূর্ণতা অনুভব করা যায়,যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হাড় শক্তিশালী করে - হাড় মজবুত রাখতে ডালে উপস্থিত ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস অপরিহার্য।
এক মাস ডাল না খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়বে?
প্রোটিনের অভাব - যারা আমিষ খান না তাদের প্রোটিনের জন্য ডালের ওপর নির্ভর করতে হয়। যদি আপনি সম্পূর্ণরূপে ডাল ছেড়ে দেন তাহলে দুর্বলতা,পেশী ব্যথা এবং ক্র্যাম্প হতে পারে।
হজমের সমস্যা - ফাইবার কম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা হতে পারে।
পুষ্টির ঘাটতি - ডাল না খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয় ও শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এটি ইমিউন সিস্টেমের উপরও সরাসরি প্রভাব ফেলবে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে - ডাল খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ,কারণ এটি চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ডাল খাওয়া ছেড়ে দেওয়া জীবনধারা এবং স্বাস্থ্যের উপর সম্পূর্ণ প্রভাব ফেলে। নিরামিষাশীরা টফু, বাদাম, বীজ এবং বিনস খেয়ে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।