আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা হল চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। বৃহস্পতিবার বেশ কিছুক্ষণ ফোনে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে কথা হয়েছে, তা এখনও সরকারি ভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প আমেরিকার নতুন শুল্কনীতি ঘোষণার পর থেকে এই প্রথম ফোনে কথা হল দুই রাষ্ট্রনেতার।
জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপ নিয়ে এখনও পর্যন্ত আমেরিকার তরফে কোনও বিবৃতি আসেনি। সমাজমাধ্যমেও কোনও মন্তব্য করেননি ট্রাম্প। বস্তুত, অন্য দেশগুলির পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর আগে থেকেই চিনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ট্রাম্পের। শুরু হয়েছিল, আমেরিকার বাজারে নিষিদ্ধ ওষুধ ফেন্টানিলকে কেন্দ্র করে। ট্রাম্পের অভিযোগ, আমেরিকায় যত ফেন্টানিল পাওয়া যায়, তার বেশির ভাগই পাচার হয় চিন থেকে। ওই অভিযোগে আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও সেই অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিল চিন।
২ এপ্রিল অন্য দেশগুলির পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করার সময় চিনের উপরে আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপায় আমেরিকা। পাল্টা চিনা বাজারে আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্ক চাপায় বেজিংও। তাতে দু’দেশের মধ্যে শুল্ক সংঘাত আরও বৃদ্ধি পায়। চিন পাল্টা শুল্ক চাপালে ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন এবং মোট শুল্কের পরিমাণ হয় ৮৪ শতাংশ। তার সঙ্গে পূর্বের ২০ শতাংশ শুল্ক যুক্ত করলে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ১০৪ শতাংশে। ট্রাম্প দফায় দফায় চিনা পণ্যের উপ শুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। ১২৫ শতাংশ করা হয়েছিল, পরে সেই শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে গত মাসেই শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনেভায় দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্তারা বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকের আগেই শুল্ক কমানোর ব্যাপারে আভাস দিয়েছিলেন ট্রাম্প। জানিয়েছিলেন চিনা পণ্যের উপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮০ শতাংশ করা হতে পারে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে জেনেভার বৈঠকের উপরে। ওই বৈঠকের পরে দু’দেশই ৯০ দিনের জন্য শুল্কযুদ্ধ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সম্প্রতি ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, চিনা প্রেসিডেন্টকে শি-কে আমি পছন্দ করি। সবসময়ই করি এবং করবও। কিন্তু তিনি খুবই কঠোর। তাঁর সঙ্গে ব্যবসা করা অত্যন্ত কঠিন।”
ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘিরে আমেরিকার জনতারই একাংশের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। বন্ধুরাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন দেশের উপর ট্রাম্পের শুল্কনীতির জন্য আমেরিকার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন অনেকে। তা নিয়ে আমেরিকার রাস্তাতেই শহরে শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার এক আদালতও ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। ওই শুল্কনীতি রদ করে দিয়েছে আমেরিকার প্রশাসন। যদিও তাতে দমে যাননি ট্রাম্প। তাঁর দাবি, আদালত শুল্কে বাধা দিলে আমেরিকার অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করারও চিন্তাভাবনা করছে আমেরিকার প্রশাসন। আমেরিকার শুল্কনীতি ঘিরে এই টলমল পরিস্থিতির মাঝেই বৃহস্পতিবার চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা হল ট্রাম্পের।
জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপ নিয়ে এখনও পর্যন্ত আমেরিকার তরফে কোনও বিবৃতি আসেনি। সমাজমাধ্যমেও কোনও মন্তব্য করেননি ট্রাম্প। বস্তুত, অন্য দেশগুলির পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর আগে থেকেই চিনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ট্রাম্পের। শুরু হয়েছিল, আমেরিকার বাজারে নিষিদ্ধ ওষুধ ফেন্টানিলকে কেন্দ্র করে। ট্রাম্পের অভিযোগ, আমেরিকায় যত ফেন্টানিল পাওয়া যায়, তার বেশির ভাগই পাচার হয় চিন থেকে। ওই অভিযোগে আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও সেই অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিল চিন।
২ এপ্রিল অন্য দেশগুলির পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করার সময় চিনের উপরে আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপায় আমেরিকা। পাল্টা চিনা বাজারে আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্ক চাপায় বেজিংও। তাতে দু’দেশের মধ্যে শুল্ক সংঘাত আরও বৃদ্ধি পায়। চিন পাল্টা শুল্ক চাপালে ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন এবং মোট শুল্কের পরিমাণ হয় ৮৪ শতাংশ। তার সঙ্গে পূর্বের ২০ শতাংশ শুল্ক যুক্ত করলে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ১০৪ শতাংশে। ট্রাম্প দফায় দফায় চিনা পণ্যের উপ শুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। ১২৫ শতাংশ করা হয়েছিল, পরে সেই শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে গত মাসেই শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনেভায় দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্তারা বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকের আগেই শুল্ক কমানোর ব্যাপারে আভাস দিয়েছিলেন ট্রাম্প। জানিয়েছিলেন চিনা পণ্যের উপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮০ শতাংশ করা হতে পারে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে জেনেভার বৈঠকের উপরে। ওই বৈঠকের পরে দু’দেশই ৯০ দিনের জন্য শুল্কযুদ্ধ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সম্প্রতি ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, চিনা প্রেসিডেন্টকে শি-কে আমি পছন্দ করি। সবসময়ই করি এবং করবও। কিন্তু তিনি খুবই কঠোর। তাঁর সঙ্গে ব্যবসা করা অত্যন্ত কঠিন।”
ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘিরে আমেরিকার জনতারই একাংশের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। বন্ধুরাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন দেশের উপর ট্রাম্পের শুল্কনীতির জন্য আমেরিকার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন অনেকে। তা নিয়ে আমেরিকার রাস্তাতেই শহরে শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার এক আদালতও ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। ওই শুল্কনীতি রদ করে দিয়েছে আমেরিকার প্রশাসন। যদিও তাতে দমে যাননি ট্রাম্প। তাঁর দাবি, আদালত শুল্কে বাধা দিলে আমেরিকার অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করারও চিন্তাভাবনা করছে আমেরিকার প্রশাসন। আমেরিকার শুল্কনীতি ঘিরে এই টলমল পরিস্থিতির মাঝেই বৃহস্পতিবার চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা হল ট্রাম্পের।