আলুর বাজারদর নিম্নমুখী থাকায় লোকসানের শঙ্কা সত্ত্বেও রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় কৃষকেরা এবারও আলু চাষ করছেন। তবে অনিশ্চিত বাজার পরিস্থিতির প্রভাবে বীজের বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, চলতি রবি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় আলুবীজ বিক্রি প্রায় ৭০ শতাংশ কম। একই সঙ্গে কৃত্রিম সারের সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে দুর্গাপুরে ১ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। তবে বাজারে দামের অনিশ্চয়তা থাকায় অনেক কৃষক আগের তুলনায় কম জমিতে আলু চাষে নেমেছেন।
উপজেলার একাধিক সার ডিলার ও বীজ ব্যবসায়ী জানান, গত মৌসুমে তাদের দোকানে যেখানে প্রায় ৬০ টন আলুবীজ বিক্রি হয়েছিল, সেখানে এবার বিক্রি হয়েছে মাত্র ১২ টন। গত বছর দেশি জাতের আলুবীজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭০ টাকা এবং ডায়মন্ড জাতের ৭৫ টাকা। চলতি মৌসুমে তা কমে যথাক্রমে ৪০ টাকা ও ৪৭ টাকায় নেমেছে।
বখতিয়ারপুর গ্রামের কৃষক আসাদ আলী জানান, আড়াই বিঘা জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলু চাষে জমি প্রস্তুত, বীজ, সার, সেচ ও শ্রমিকের মজুরি মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সম্ভাব্য উৎপাদন ৮ থেকে ১০ টন হলে কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে ২২ থেকে ২৫ টাকা। বাজারদর না বাড়লে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন তিনি।
কৃষকদের মতে, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ মিললেও গত মৌসুমের লোকসানের অভিজ্ঞতায় ঝুঁকি কমাতে অনেকেই স্বল্প জমিতে আবাদ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন লাবনী বলেন, গত মৌসুমের লোকসানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবং কৃষকদের বিকল্প শস্যে উৎসাহিত করতে এবছর আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কম রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান বলেন, কৃষকদের বিকল্প বাজার অনুসন্ধান, আলু গুদামজাতকরণ এবং উৎপাদন পরিকল্পনায় আরও সচেতন হতে হবে।
কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, আলুর বাজারদর সন্তোষজনক না হলে আগামী মৌসুমে দুর্গাপুর উপজেলায় আলু চাষ আরও কমে যেতে পারে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে দুর্গাপুরে ১ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। তবে বাজারে দামের অনিশ্চয়তা থাকায় অনেক কৃষক আগের তুলনায় কম জমিতে আলু চাষে নেমেছেন।
উপজেলার একাধিক সার ডিলার ও বীজ ব্যবসায়ী জানান, গত মৌসুমে তাদের দোকানে যেখানে প্রায় ৬০ টন আলুবীজ বিক্রি হয়েছিল, সেখানে এবার বিক্রি হয়েছে মাত্র ১২ টন। গত বছর দেশি জাতের আলুবীজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭০ টাকা এবং ডায়মন্ড জাতের ৭৫ টাকা। চলতি মৌসুমে তা কমে যথাক্রমে ৪০ টাকা ও ৪৭ টাকায় নেমেছে।
বখতিয়ারপুর গ্রামের কৃষক আসাদ আলী জানান, আড়াই বিঘা জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলু চাষে জমি প্রস্তুত, বীজ, সার, সেচ ও শ্রমিকের মজুরি মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সম্ভাব্য উৎপাদন ৮ থেকে ১০ টন হলে কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে ২২ থেকে ২৫ টাকা। বাজারদর না বাড়লে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন তিনি।
কৃষকদের মতে, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ মিললেও গত মৌসুমের লোকসানের অভিজ্ঞতায় ঝুঁকি কমাতে অনেকেই স্বল্প জমিতে আবাদ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন লাবনী বলেন, গত মৌসুমের লোকসানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবং কৃষকদের বিকল্প শস্যে উৎসাহিত করতে এবছর আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কম রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান বলেন, কৃষকদের বিকল্প বাজার অনুসন্ধান, আলু গুদামজাতকরণ এবং উৎপাদন পরিকল্পনায় আরও সচেতন হতে হবে।
কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, আলুর বাজারদর সন্তোষজনক না হলে আগামী মৌসুমে দুর্গাপুর উপজেলায় আলু চাষ আরও কমে যেতে পারে।
ফরিদ আহমেদ আবির