এটাকে আর ‘মানিয়ে নেওয়ার মরশুম’ বলা চলে না। রিয়াল মাদ্রিদে কিলিয়ান এমবাপের জমানা ধীরে ধীরে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখতে শুরু করেছে। শনিবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে সেভিয়ার বিরুদ্ধে গোল করে ফরাসি স্ট্রাইকার ছুঁয়ে ফেললেন ক্লাবের এক আইকনিক রেকর্ড—এক ক্যালেন্ডার বছরে ৫৯ গোল! যে সংখ্যাটা এতদিন একান্তই ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জিম্মায়।
লা লিগায় ২–০ জয়ের ম্যাচে শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপে। দিনটা আরও বিশেষ, কারণ গতকাল ছিল তাঁর ২৭তম জন্মদিন। গোলের পরেই বের্নাবেউ দেখল পরিচিত দৃশ্য—রোনাল্ডোর বিখ্যাত ‘সিউ’ সেলিব্রেশন। ম্যাচের পর এমবাপে নিজেই জানালেন, এই উদ্যাপন নিছক কাকতালীয় নয়, বরং, স্বপ্নের নায়কের প্রতি একরাশ শ্রদ্ধার প্রকাশ।
ফরাসি তারকার কথায়, ‘প্রথম মরশুমেই ক্রিশ্চিয়ানোর সংখ্যায় পৌঁছনো অবিশ্বাস্য। রোনাল্ডো আমার আইডল, রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সেরা ফুটবলার। সবসময় আমার পাশে থেকেছে। মাদ্রিদ নিয়ে বলেছে, কীভাবে এখানে মানিয়ে নিতে হয়, সেটাও বুঝিয়েছে।’এরপর ছোট্ট সংযোজন, এই গোল আর সেলিব্রেশন ছিল রোনাল্ডোর জন্যই—‘ওঁকে একটা ছোট্ট স্যালুট জানাতে চেয়েছিলাম।’
ময়দানের লড়াই অবশ্য এমবাপের জন্য সহজ ছিল না। সেভিয়া শুরুতে চাপ বাড়ায়, একাধিকবার কোনওক্রমে রক্ষা পেয়েছে রিয়াল। জুড বেলিংহ্যামের হেডে এগিয়ে যাওয়ার পরেও ম্যাচ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিল না। প্রতিপক্ষ দশ জনে নেমে যাওয়ার পর সুযোগ আসে, তার মধ্যে এমবাপে কয়েকটি সুযোগ নষ্টও করেন। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি থেকেই আসে সেই বহু প্রতীক্ষিত গোল—যেটা শুধু ম্যাচ নয়, ক্যালেন্ডার–ইতিহাসও বদলে দিল।
চলতি মরশুমে রিয়ালের নেতৃত্বে রয়েছেন জাভি আলোনসো। তাঁর অধীনে এমবাপের এই গোল কেবল ব্যক্তিগত কীর্তি নয়, বরং ম্যাচ ফিনিশ করার মানসিকতার প্রতিফলন। বড় তারকারা যেটা করেন… খারাপ দিনেও দায়িত্ব নেন।
সংখ্যাটা শুধু নজরকাড়া নয়, তাৎপর্যপূর্ণও। ২০২৫ সালে রিয়াল মাদ্রিদের মোট গোলের বড় অংশই এসেছে এমবাপের পা থেকে। প্যারিস সাঁ জার্মাঁ থেকে ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে আসার পর শুরুটা মসৃণ ছিল না। নতুন লিগ, অগাধ চাপ, বিপুল প্রত্যাশা—সব মিলিয়ে কয়েক মাস সময় লেগেছে ছন্দে ফিরতে। কিন্তু বছরের শুরু থেকেই এমবাপে পরিচিত ফর্মে। রোনাল্ডোর সঙ্গে তুলনা রিয়ালে নতুন কিছু নয়। কিন্তু তরুণ স্ট্রাইকার সেই তুলনার ভার সামলাচ্ছেন অন্যভাবে—খোলা গলায় স্বীকার করছেন তাঁর প্রেরণার উৎসকে। ‘এখন আমার পালা মাদ্রিদকে জেতাতে সাহায্য করার!’ বলছেন তিনি। রেকর্ড ছোঁয়া তাই শেষ নয়, বরং নতুন অধ্যায়ের শুরু।
ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা, নতুন বছরের বার্তা—সবকিছুর মাঝেই পরিষ্কার ইঙ্গিত: রিয়াল মাদ্রিদে এমবাপে-অধ্যায় এখন স্রেফ শুরু। রোনাল্ডোর ছায়া ছুঁয়ে, সেখান থেকেই নিজের আলো খুঁজে নিচ্ছেন ফরাসি সুপারস্টার।
লা লিগায় ২–০ জয়ের ম্যাচে শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপে। দিনটা আরও বিশেষ, কারণ গতকাল ছিল তাঁর ২৭তম জন্মদিন। গোলের পরেই বের্নাবেউ দেখল পরিচিত দৃশ্য—রোনাল্ডোর বিখ্যাত ‘সিউ’ সেলিব্রেশন। ম্যাচের পর এমবাপে নিজেই জানালেন, এই উদ্যাপন নিছক কাকতালীয় নয়, বরং, স্বপ্নের নায়কের প্রতি একরাশ শ্রদ্ধার প্রকাশ।
ফরাসি তারকার কথায়, ‘প্রথম মরশুমেই ক্রিশ্চিয়ানোর সংখ্যায় পৌঁছনো অবিশ্বাস্য। রোনাল্ডো আমার আইডল, রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সেরা ফুটবলার। সবসময় আমার পাশে থেকেছে। মাদ্রিদ নিয়ে বলেছে, কীভাবে এখানে মানিয়ে নিতে হয়, সেটাও বুঝিয়েছে।’এরপর ছোট্ট সংযোজন, এই গোল আর সেলিব্রেশন ছিল রোনাল্ডোর জন্যই—‘ওঁকে একটা ছোট্ট স্যালুট জানাতে চেয়েছিলাম।’
ময়দানের লড়াই অবশ্য এমবাপের জন্য সহজ ছিল না। সেভিয়া শুরুতে চাপ বাড়ায়, একাধিকবার কোনওক্রমে রক্ষা পেয়েছে রিয়াল। জুড বেলিংহ্যামের হেডে এগিয়ে যাওয়ার পরেও ম্যাচ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিল না। প্রতিপক্ষ দশ জনে নেমে যাওয়ার পর সুযোগ আসে, তার মধ্যে এমবাপে কয়েকটি সুযোগ নষ্টও করেন। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি থেকেই আসে সেই বহু প্রতীক্ষিত গোল—যেটা শুধু ম্যাচ নয়, ক্যালেন্ডার–ইতিহাসও বদলে দিল।
চলতি মরশুমে রিয়ালের নেতৃত্বে রয়েছেন জাভি আলোনসো। তাঁর অধীনে এমবাপের এই গোল কেবল ব্যক্তিগত কীর্তি নয়, বরং ম্যাচ ফিনিশ করার মানসিকতার প্রতিফলন। বড় তারকারা যেটা করেন… খারাপ দিনেও দায়িত্ব নেন।
সংখ্যাটা শুধু নজরকাড়া নয়, তাৎপর্যপূর্ণও। ২০২৫ সালে রিয়াল মাদ্রিদের মোট গোলের বড় অংশই এসেছে এমবাপের পা থেকে। প্যারিস সাঁ জার্মাঁ থেকে ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে আসার পর শুরুটা মসৃণ ছিল না। নতুন লিগ, অগাধ চাপ, বিপুল প্রত্যাশা—সব মিলিয়ে কয়েক মাস সময় লেগেছে ছন্দে ফিরতে। কিন্তু বছরের শুরু থেকেই এমবাপে পরিচিত ফর্মে। রোনাল্ডোর সঙ্গে তুলনা রিয়ালে নতুন কিছু নয়। কিন্তু তরুণ স্ট্রাইকার সেই তুলনার ভার সামলাচ্ছেন অন্যভাবে—খোলা গলায় স্বীকার করছেন তাঁর প্রেরণার উৎসকে। ‘এখন আমার পালা মাদ্রিদকে জেতাতে সাহায্য করার!’ বলছেন তিনি। রেকর্ড ছোঁয়া তাই শেষ নয়, বরং নতুন অধ্যায়ের শুরু।
ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা, নতুন বছরের বার্তা—সবকিছুর মাঝেই পরিষ্কার ইঙ্গিত: রিয়াল মাদ্রিদে এমবাপে-অধ্যায় এখন স্রেফ শুরু। রোনাল্ডোর ছায়া ছুঁয়ে, সেখান থেকেই নিজের আলো খুঁজে নিচ্ছেন ফরাসি সুপারস্টার।
ক্রীড়া ডেস্ক