ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধভাবে অবস্থানকারী অভিবাসীদের ওপর ৫ হাজার ডলারের 'গ্রেপ্তার ফি' আরোপ করতে যাচ্ছে বলে এক শীর্ষ বর্ডার প্যাট্রোল কর্মকর্তা ঘোষণা করেছেন।
মার্কিন বর্ডার প্যাট্রোল প্রধান মাইকেল ব্যাঙ্কস জানান, প্রবেশবন্দর ব্যতীত সীমান্ত অতিক্রম করে আটক হওয়া অভিবাসীদের ওপর এ চার্জ আরোপ করা হবে। অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আর্থিক জরিমানা বাড়ানোর অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অননুমোদিতভাবে প্রবেশের পর যাদের হেফাজতে নেওয়া হবে এমন ১৪ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ওপর এই ফি প্রযোজ্য হবে। এটি ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ (ওবিবিবিএ)-এর নীতিমালার অংশ, যা চলতি বছর রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে পাস হয়।
ব্যাঙ্কস এক্স-এ পোস্টে লিখেছেন,এ বার্তা সকল অবৈধ অভিবাসীর জন্য প্রযোজ্য,তারা কোথা দিয়ে প্রবেশ করেছে, কতদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছে, বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছে কিংবা তাদের চলমান ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আছে কি-না কোনোটাই বিবেচ্য নয়।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) সাম্প্রতিক নীতিগত সংস্কারের অংশ হিসেবে অভিবাসন সম্পর্কিত নতুন চার্জ এবং পূর্বের বিভিন্ন ফি বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই পরিবর্তনগুলো সাম্প্রতিক আইন অনুযায়ী কার্যকর হয়েছে এবং বছরের মধ্যে অভিবাসন শাস্তিমূলক আর্থিক নীতিতে সবচেয়ে বড় রদবদলের একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে কম সক্ষমতা সম্পন্ন অভিবাসী, শিশু ও আশ্রয়প্রার্থী ব্যক্তিদের ওপর এর প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ওবিবিবিএ অনুযায়ী ২০২৫ অর্থবছর থেকে এই ফি’র ন্যূনতম সীমা ৫ হাজার ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব এই চার্জ বাড়াতে পারবেন।
আইনটিতে নতুন প্রয়োগ ক্ষমতা, জরিমানা ও বেশ কিছু ফি বৃদ্ধির বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে আইসিই-র জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন ও সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ নজরদারির জন্য আরও সরঞ্জাম বরাদ্দ করা হয়েছে।
এতে মানবিক সুরক্ষার কিছু প্রক্রিয়ার জন্যও নতুন ফি আরোপ করা হয়েছে যেমন আশ্রয় আবেদন (অ্যাসাইলাম) করতে ন্যূনতম ১০০ ডলার ফি, যা মওকুফযোগ্য নয়, এবং আবেদন প্রক্রিয়া চলতে থাকলে প্রতি বছর বাড়তি ১০০ ডলার দিতে হবে। শিশু নির্যাতন বা অবহেলার শিকার শিশুদের জন্য মানবিক সুরক্ষার একটি পথ ‘স্পেশাল ইমিগ্রান্ট জুভেনাইল স্ট্যাটাস’-এর জন্যও ন্যূনতম ২৫০ ডলার ফি নির্ধারিত হয়েছে।
এদিকে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা মঙ্গলবার অভিবাসী নাবালকদের ওপর এই ফি আরোপের বিষয়টি বাতিলের লক্ষ্যে নতুন বিল উপস্থাপন করেছেন। নিউ ইয়র্কের কংগ্রেসম্যান ড্যান গোল্ডম্যান, নেভাডার সিনেটর ক্যাথরিন কর্টেজ মাস্টো ও ইলিনয়ের কংগ্রেসওম্যান ডেলিয়া রামিরেজ এই বিল উত্থাপন করেন। তাদের দাবি, এসব ফি শিশুদের সুরক্ষা ও আইনি পথের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
‘দ্য আপহোল্ডিং প্রোটেকশনস ফর আনঅ্যাকম্পানিড চিলড্রেন অ্যাক্ট’ প্রস্তাবিত এই আইন নাবালকদের জন্য ৫ হাজার ডলারের নতুন সীমান্ত গ্রেপ্তার ফি, আশ্রয় আবেদন ফি, বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি এবং ইমিগ্রেশন কোর্ট ফি থেকে অব্যাহতি দেবে। দ্য ইন্টারসেপ্ট জানিয়েছে, অক্টোবর থেকেই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের কিশোর-কিশোরীরা এই ফি-সংক্রান্ত নোটিশ পেতে শুরু করেছে।
এই আইন শিশুদের জন্য ন্যায্য ও মানবিক সুরক্ষার পথ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে, যারা ইতিমধ্যে সহিংসতা, শোষণ ও পাচারের অভিজ্ঞতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে, নিউজউইকে দেয়া বিবৃতিতে বলেন শিশু অধিকার সংস্থা কাইন্ড-এর প্রেসিডেন্ট ওয়েন্ডি ইয়াং।
তিনি আরও বলেন, 'ওবিবিবিএ নজিরবিহীন এবং ভারী ফি আরোপ করছে, যা অনেক শিশুর জন্য জীবনরক্ষাকারী সাহায্যের পথ বন্ধ করে দেবে এবং পাচারচক্র ও দালালদের সুযোগ করে দেবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতিতে দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ সীমান্তে অননুমোদিত প্রবেশ কমেছে। ডিএইচএস জানায়, নভেম্বর মাসে সারাদেশে সীমান্ত আটক সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ৩ শত ৬৭ যা অক্টোবরের ৩০ হাজার ৫শত ৭৩ থেকেও কম। সংস্থার দাবি, এটি অর্থবছরের শুরুর জন্য রেকর্ড সর্বনিম্ন সংখ্যা। অক্টোবর ও নভেম্বর মিলিয়ে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৯শত ৪০ যা পূর্বের যেকোনো অর্থবছরের শুরু থেকে কম এবং ২০১২ সালের রেকর্ডের তুলনায় ২৮% কম।
ডিএইচএস নিউজউইককে আরও জানায়, ট্রাম্পের মেয়াদের প্রথম বছরে ৬ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংস্থার মতে, গত বছরে দুই মিলিয়নের বেশি অননুমোদিত ব্যক্তি দেশ ছেড়েছেন যার মধ্যে প্রায় ১৯ লাখ স্বেচ্ছায় এবং প্রায় ৫৯৩ হাজারকে জোরপূর্বক ডিপোর্ট করা হয়েছে। ২০ জানুয়ারি থেকে প্রায় ৫ লাখ ৭৯ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
কে কী বলছেন
ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ল’ সেন্টার জানায়, '(ওবিবিবিএ অভিবাসন ফি ব্যবস্থাকে অস্ত্রের মতো ব্যবহার করছে। মানবিক সুরক্ষা ও অভিবাসন প্রক্রিয়ার ওপর অযৌক্তিক ও অত্যধিক ফি আরোপ করা হচ্ছে, যা অনেকের জন্য অক্ষমতার পর্যায়ে নিয়ে যাবে। ফি-গুলো ন্যূনতম হার হিসেবে নির্ধারিত, ফলে ডিএইচএস ও ইমিগ্রেশন কোর্ট চাইলে আরও বাড়াতে পারবে। আরও উদ্বেগজনক হলো অনেকক্ষেত্রে ফি মওকুফের সুযোগও বাতিল করা হয়েছে।'
সিনেটর কর্টেজ মাস্টো বলেন, অভিযুক্ত শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। তারা পাচার ও নির্যাতন এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসে— তাই রিপাবলিকান ট্যাক্স আইনের এই নির্মম ধারা বাতিল করা জরুরি।'
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোমে বলেন, আমরা আবারও সীমান্তে রেকর্ড নিম্নসংখ্যক অনুপ্রবেশ দেখছি। পরপর সাত মাস দেশে কারও রিলিজ হয়নি। আমরা সীমান্ত নিরাপত্তায় অভূতপূর্ব সাফল্য দেখাচ্ছি।
সিবিপি কমিশনার রডনি স্কট বলেন, এই সংখ্যাগুলো আমাদের অফিসারদের নিরলস প্রচেষ্টার প্রতিফলন। আমরা থামছি না, আমরা ভবিষ্যতের গতি নির্ধারণ করছি।
মার্কিন বর্ডার প্যাট্রোল প্রধান মাইকেল ব্যাঙ্কস জানান, প্রবেশবন্দর ব্যতীত সীমান্ত অতিক্রম করে আটক হওয়া অভিবাসীদের ওপর এ চার্জ আরোপ করা হবে। অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আর্থিক জরিমানা বাড়ানোর অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অননুমোদিতভাবে প্রবেশের পর যাদের হেফাজতে নেওয়া হবে এমন ১৪ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ওপর এই ফি প্রযোজ্য হবে। এটি ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ (ওবিবিবিএ)-এর নীতিমালার অংশ, যা চলতি বছর রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে পাস হয়।
ব্যাঙ্কস এক্স-এ পোস্টে লিখেছেন,এ বার্তা সকল অবৈধ অভিবাসীর জন্য প্রযোজ্য,তারা কোথা দিয়ে প্রবেশ করেছে, কতদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছে, বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছে কিংবা তাদের চলমান ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আছে কি-না কোনোটাই বিবেচ্য নয়।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) সাম্প্রতিক নীতিগত সংস্কারের অংশ হিসেবে অভিবাসন সম্পর্কিত নতুন চার্জ এবং পূর্বের বিভিন্ন ফি বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই পরিবর্তনগুলো সাম্প্রতিক আইন অনুযায়ী কার্যকর হয়েছে এবং বছরের মধ্যে অভিবাসন শাস্তিমূলক আর্থিক নীতিতে সবচেয়ে বড় রদবদলের একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে কম সক্ষমতা সম্পন্ন অভিবাসী, শিশু ও আশ্রয়প্রার্থী ব্যক্তিদের ওপর এর প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ওবিবিবিএ অনুযায়ী ২০২৫ অর্থবছর থেকে এই ফি’র ন্যূনতম সীমা ৫ হাজার ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব এই চার্জ বাড়াতে পারবেন।
আইনটিতে নতুন প্রয়োগ ক্ষমতা, জরিমানা ও বেশ কিছু ফি বৃদ্ধির বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে আইসিই-র জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন ও সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ নজরদারির জন্য আরও সরঞ্জাম বরাদ্দ করা হয়েছে।
এতে মানবিক সুরক্ষার কিছু প্রক্রিয়ার জন্যও নতুন ফি আরোপ করা হয়েছে যেমন আশ্রয় আবেদন (অ্যাসাইলাম) করতে ন্যূনতম ১০০ ডলার ফি, যা মওকুফযোগ্য নয়, এবং আবেদন প্রক্রিয়া চলতে থাকলে প্রতি বছর বাড়তি ১০০ ডলার দিতে হবে। শিশু নির্যাতন বা অবহেলার শিকার শিশুদের জন্য মানবিক সুরক্ষার একটি পথ ‘স্পেশাল ইমিগ্রান্ট জুভেনাইল স্ট্যাটাস’-এর জন্যও ন্যূনতম ২৫০ ডলার ফি নির্ধারিত হয়েছে।
এদিকে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা মঙ্গলবার অভিবাসী নাবালকদের ওপর এই ফি আরোপের বিষয়টি বাতিলের লক্ষ্যে নতুন বিল উপস্থাপন করেছেন। নিউ ইয়র্কের কংগ্রেসম্যান ড্যান গোল্ডম্যান, নেভাডার সিনেটর ক্যাথরিন কর্টেজ মাস্টো ও ইলিনয়ের কংগ্রেসওম্যান ডেলিয়া রামিরেজ এই বিল উত্থাপন করেন। তাদের দাবি, এসব ফি শিশুদের সুরক্ষা ও আইনি পথের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
‘দ্য আপহোল্ডিং প্রোটেকশনস ফর আনঅ্যাকম্পানিড চিলড্রেন অ্যাক্ট’ প্রস্তাবিত এই আইন নাবালকদের জন্য ৫ হাজার ডলারের নতুন সীমান্ত গ্রেপ্তার ফি, আশ্রয় আবেদন ফি, বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি এবং ইমিগ্রেশন কোর্ট ফি থেকে অব্যাহতি দেবে। দ্য ইন্টারসেপ্ট জানিয়েছে, অক্টোবর থেকেই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের কিশোর-কিশোরীরা এই ফি-সংক্রান্ত নোটিশ পেতে শুরু করেছে।
এই আইন শিশুদের জন্য ন্যায্য ও মানবিক সুরক্ষার পথ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে, যারা ইতিমধ্যে সহিংসতা, শোষণ ও পাচারের অভিজ্ঞতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে, নিউজউইকে দেয়া বিবৃতিতে বলেন শিশু অধিকার সংস্থা কাইন্ড-এর প্রেসিডেন্ট ওয়েন্ডি ইয়াং।
তিনি আরও বলেন, 'ওবিবিবিএ নজিরবিহীন এবং ভারী ফি আরোপ করছে, যা অনেক শিশুর জন্য জীবনরক্ষাকারী সাহায্যের পথ বন্ধ করে দেবে এবং পাচারচক্র ও দালালদের সুযোগ করে দেবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতিতে দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ সীমান্তে অননুমোদিত প্রবেশ কমেছে। ডিএইচএস জানায়, নভেম্বর মাসে সারাদেশে সীমান্ত আটক সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ৩ শত ৬৭ যা অক্টোবরের ৩০ হাজার ৫শত ৭৩ থেকেও কম। সংস্থার দাবি, এটি অর্থবছরের শুরুর জন্য রেকর্ড সর্বনিম্ন সংখ্যা। অক্টোবর ও নভেম্বর মিলিয়ে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৯শত ৪০ যা পূর্বের যেকোনো অর্থবছরের শুরু থেকে কম এবং ২০১২ সালের রেকর্ডের তুলনায় ২৮% কম।
ডিএইচএস নিউজউইককে আরও জানায়, ট্রাম্পের মেয়াদের প্রথম বছরে ৬ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংস্থার মতে, গত বছরে দুই মিলিয়নের বেশি অননুমোদিত ব্যক্তি দেশ ছেড়েছেন যার মধ্যে প্রায় ১৯ লাখ স্বেচ্ছায় এবং প্রায় ৫৯৩ হাজারকে জোরপূর্বক ডিপোর্ট করা হয়েছে। ২০ জানুয়ারি থেকে প্রায় ৫ লাখ ৭৯ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
কে কী বলছেন
ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ল’ সেন্টার জানায়, '(ওবিবিবিএ অভিবাসন ফি ব্যবস্থাকে অস্ত্রের মতো ব্যবহার করছে। মানবিক সুরক্ষা ও অভিবাসন প্রক্রিয়ার ওপর অযৌক্তিক ও অত্যধিক ফি আরোপ করা হচ্ছে, যা অনেকের জন্য অক্ষমতার পর্যায়ে নিয়ে যাবে। ফি-গুলো ন্যূনতম হার হিসেবে নির্ধারিত, ফলে ডিএইচএস ও ইমিগ্রেশন কোর্ট চাইলে আরও বাড়াতে পারবে। আরও উদ্বেগজনক হলো অনেকক্ষেত্রে ফি মওকুফের সুযোগও বাতিল করা হয়েছে।'
সিনেটর কর্টেজ মাস্টো বলেন, অভিযুক্ত শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। তারা পাচার ও নির্যাতন এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসে— তাই রিপাবলিকান ট্যাক্স আইনের এই নির্মম ধারা বাতিল করা জরুরি।'
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোমে বলেন, আমরা আবারও সীমান্তে রেকর্ড নিম্নসংখ্যক অনুপ্রবেশ দেখছি। পরপর সাত মাস দেশে কারও রিলিজ হয়নি। আমরা সীমান্ত নিরাপত্তায় অভূতপূর্ব সাফল্য দেখাচ্ছি।
সিবিপি কমিশনার রডনি স্কট বলেন, এই সংখ্যাগুলো আমাদের অফিসারদের নিরলস প্রচেষ্টার প্রতিফলন। আমরা থামছি না, আমরা ভবিষ্যতের গতি নির্ধারণ করছি।
ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক