থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের ছুটিতে পরিবারকে চমকে দিতে বাড়ি ফেরার পথে নির্বাসিত হওয়া এক কলেজছাত্রী প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প প্রশাসন কেন তার মতো মানুষদের ‘লক্ষ্যবস্তু’ করছে।
১৯ বছর বয়সী এনি লুসিয়া লোপেজ বেলোজা ২০ নভেম্বর বোস্টন লোগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তিনি টেক্সাসে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যাচ্ছিলেন।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি (ট্রাম্প) কেন এমন মানুষদের ধরছেন যারা যুক্তরাষ্ট্রে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করছে, আমার মতো যেসব মানুষ কলেজে পড়ে, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে, শিক্ষা নিচ্ছে?
হন্ডুরাস থেকে আসা এবং ব্যাবসন কলেজের শিক্ষার্থী লোপেজ বেলোজা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা মেয়াদে নির্বাসিত হওয়া পাঁচ লাখ অভিবাসীর একজন।
দলিল অনুযায়ী, আদালতের নির্দেশে তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপসারণ না করতে বলা হলেও আটক হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তাকে হন্ডুরাসে ফেরত পাঠানো হয়।
এটা অন্যায় মনে হচ্ছে, বলেন লোপেজ বেলোজা। যদি আদেশ ছিল, তবে সবকিছু আমার সঙ্গে এত দ্রুত ঘটল কেন মাত্র তিন দিনের মধ্যে?
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) জানায়, ২০১৫ সালের পুরনো বহিষ্কার আদেশের কারণেই তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এক ডিএইচএস মুখপাত্র বলেন, এই অবৈধ অভিবাসী ২০১৪ সালে দেশে ঢোকে এবং ২০১৫ সালে ইমিগ্রেশন জজ তাকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি দেশে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ অভিবাসীরা সিবিপি হোম অ্যাপ ব্যবহার করে বিনা খরচে দেশে ফিরতে পারে এবং ১ হাজার ডলার ভাতা পেতে পারে, এরপর চাইলে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার সুযোগ থাকবে। অথবা অপেক্ষা করুন প্রতিদিন ১ হাজার ডলার জরিমানা, গ্রেপ্তার এবং ভবিষ্যতে বৈধভাবে ফেরার সুযোগ ছাড়াই সরাসরি বহিষ্কার।
গ্রেপ্তারের আগে পর্যন্ত তিনি ‘আমেরিকান ড্রিম’ এর জীবন যাপন করছিলেন বলে জানান লোপেজ বেলোজা।
তিনি বলেন, আমার বাবা-মা কঠোর পরিশ্রম করে আমাকে কলেজে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি ভালো আর্থিক সহায়তাও পেয়েছিলাম। আমি এমন এক কলেজে ভর্তি হয়েছি যারা আমাকে চাইত এবং আমিও তাদের চাইতাম।
আমার স্বপ্ন ছিল কলেজে পড়া, আমার এবং পরিবাররের স্বপ্ন পূরণ করা, আমাদের পরিবারে প্রথমদের একজন হওয়া। মনে হয়েছিল ওয়াও আমি এটা করতে পারছি। সত্যিই ঘটছে।
১৯ বছর বয়সী এনি লুসিয়া লোপেজ বেলোজা ২০ নভেম্বর বোস্টন লোগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তিনি টেক্সাসে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যাচ্ছিলেন।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি (ট্রাম্প) কেন এমন মানুষদের ধরছেন যারা যুক্তরাষ্ট্রে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করছে, আমার মতো যেসব মানুষ কলেজে পড়ে, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে, শিক্ষা নিচ্ছে?
হন্ডুরাস থেকে আসা এবং ব্যাবসন কলেজের শিক্ষার্থী লোপেজ বেলোজা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা মেয়াদে নির্বাসিত হওয়া পাঁচ লাখ অভিবাসীর একজন।
দলিল অনুযায়ী, আদালতের নির্দেশে তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপসারণ না করতে বলা হলেও আটক হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তাকে হন্ডুরাসে ফেরত পাঠানো হয়।
এটা অন্যায় মনে হচ্ছে, বলেন লোপেজ বেলোজা। যদি আদেশ ছিল, তবে সবকিছু আমার সঙ্গে এত দ্রুত ঘটল কেন মাত্র তিন দিনের মধ্যে?
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) জানায়, ২০১৫ সালের পুরনো বহিষ্কার আদেশের কারণেই তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এক ডিএইচএস মুখপাত্র বলেন, এই অবৈধ অভিবাসী ২০১৪ সালে দেশে ঢোকে এবং ২০১৫ সালে ইমিগ্রেশন জজ তাকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি দেশে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ অভিবাসীরা সিবিপি হোম অ্যাপ ব্যবহার করে বিনা খরচে দেশে ফিরতে পারে এবং ১ হাজার ডলার ভাতা পেতে পারে, এরপর চাইলে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার সুযোগ থাকবে। অথবা অপেক্ষা করুন প্রতিদিন ১ হাজার ডলার জরিমানা, গ্রেপ্তার এবং ভবিষ্যতে বৈধভাবে ফেরার সুযোগ ছাড়াই সরাসরি বহিষ্কার।
গ্রেপ্তারের আগে পর্যন্ত তিনি ‘আমেরিকান ড্রিম’ এর জীবন যাপন করছিলেন বলে জানান লোপেজ বেলোজা।
তিনি বলেন, আমার বাবা-মা কঠোর পরিশ্রম করে আমাকে কলেজে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি ভালো আর্থিক সহায়তাও পেয়েছিলাম। আমি এমন এক কলেজে ভর্তি হয়েছি যারা আমাকে চাইত এবং আমিও তাদের চাইতাম।
আমার স্বপ্ন ছিল কলেজে পড়া, আমার এবং পরিবাররের স্বপ্ন পূরণ করা, আমাদের পরিবারে প্রথমদের একজন হওয়া। মনে হয়েছিল ওয়াও আমি এটা করতে পারছি। সত্যিই ঘটছে।
ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক