রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দার পিড়াকৈর-শংকরপুর রাস্তার মরাঘাটি এলাকায় সরকারি মালিকানাধীন প্রায় দুই লাখ টাকার ২৮টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের অনুমতি ও ইজারা ছাড়াই তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনছার আলী ভুট্টো এবং পিড়াকৈর গ্রামের প্রাণী চিকিৎসক সানোয়ার হোসেন গাছগুলো কেটে নিয়েছেন।
সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় ২০০৪ সালে রাস্তার দু’ধারে এসব গাছ লাগানো হয়। পরিচর্যার দায়িত্ব দেওয়া হয় পিড়াকৈর গ্রামের ছয় নারী উপকারভোগীর ওপর। তবে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় রোপণের পর থেকেই কিছু জমির মালিক গাছ নষ্ট করেন। পরে যেগুলো টিকে ছিল, সেগুলোও সম্প্রতি রাতে কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন উপকারভোগীরা।
উপকারভোগী আবেদা বেগম ও নাসিমা বিবি বলেন, “যে গাছগুলো বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল, সেগুলোও কেটে নেওয়া হয়েছে। আর যেগুলো বাকি ছিল, সেগুলো ইউপি সদস্য ভুট্টো বিক্রি করে দিয়েছেন। আমাদের কোনো টাকা দেওয়া হয়নি।”
আরেক উপকারভোগী মমেনা বেগম বলেন, “গাছ বড় হলে কিছু টাকা পাব, এই আশায় ছিলাম। এখন মনে হচ্ছে কিছুই পাওয়া হবে না।”
গাছ ব্যবসায়ী ও সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল হক জানান, ভুট্টো তাঁর কাছে গাছগুলো বিক্রি করেছেন। কত টাকায় বিক্রি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি কোনো জবাব দেননি।
ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, গাছ বিক্রির বিষয়টি শুনেছেন, তবে বিস্তারিত কিছু জানেন না।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আনছার আলী ভুট্টো ৫০ হাজার টাকায় গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, এ টাকা স্থানীয় মসজিদ, মন্দির ও উপকারভোগীদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। তবে সরকারি অনুমোদন ছাড়া গাছ বিক্রির বৈধতা সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সার্থী বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় ২০০৪ সালে রাস্তার দু’ধারে এসব গাছ লাগানো হয়। পরিচর্যার দায়িত্ব দেওয়া হয় পিড়াকৈর গ্রামের ছয় নারী উপকারভোগীর ওপর। তবে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় রোপণের পর থেকেই কিছু জমির মালিক গাছ নষ্ট করেন। পরে যেগুলো টিকে ছিল, সেগুলোও সম্প্রতি রাতে কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন উপকারভোগীরা।
উপকারভোগী আবেদা বেগম ও নাসিমা বিবি বলেন, “যে গাছগুলো বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল, সেগুলোও কেটে নেওয়া হয়েছে। আর যেগুলো বাকি ছিল, সেগুলো ইউপি সদস্য ভুট্টো বিক্রি করে দিয়েছেন। আমাদের কোনো টাকা দেওয়া হয়নি।”
আরেক উপকারভোগী মমেনা বেগম বলেন, “গাছ বড় হলে কিছু টাকা পাব, এই আশায় ছিলাম। এখন মনে হচ্ছে কিছুই পাওয়া হবে না।”
গাছ ব্যবসায়ী ও সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল হক জানান, ভুট্টো তাঁর কাছে গাছগুলো বিক্রি করেছেন। কত টাকায় বিক্রি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি কোনো জবাব দেননি।
ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, গাছ বিক্রির বিষয়টি শুনেছেন, তবে বিস্তারিত কিছু জানেন না।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আনছার আলী ভুট্টো ৫০ হাজার টাকায় গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, এ টাকা স্থানীয় মসজিদ, মন্দির ও উপকারভোগীদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। তবে সরকারি অনুমোদন ছাড়া গাছ বিক্রির বৈধতা সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সার্থী বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
আলিফ হোসেন