রাজশাহী নগরীর মোল্লাপাড়া মৌজায় ভরাটককৃত পুকুরটি পুনঃখননের উদ্যোগ গ্রহণ করায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, রাজশাহীর জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সাংবাদিক, পরিবেশ আন্দোলনকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে উন্নয়ন গবেষণাধর্মী যুব সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ (ইয়্যাস)।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইয়্যাসের সভাপতি মো. শামীউল আলীম শাওন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিক এসব তথ্য জানান।
সংগঠনটি জানায়, ভরাটকৃত পুকুরটির পুনঃখনন অবৈধভাবে জলাধার ভরাটকারীদের জন্য একটি সুস্পষ্ট বার্তা বহন করবে। একই সঙ্গে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃক্ষকে রাজশাহীর প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা। বিগত সময়ে অবৈধভাবে ভরাট হওয়া অন্যান্য পুকুরও দ্রুত উদ্ধার করে পুনঃখননের দাবি জানানো হয়েছে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য, কৃষি, পর্যটনসহ নানা ক্ষেত্রে পুকুর, জলাশয় ও জলাধার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একসময় রাজশাহী মহানগরীতে কয়েক হাজার পুকুর থাকলেও বর্তমানে টিকে আছে কয়েকশটি মাত্র। ২০২২ সালের ৮ আগস্ট উ”চ আদালত রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় থাকা ৯৫২টি পুকুর সংরক্ষণে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিলেও অবৈধভাবে পুকুর ভরাট দমে যায়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিগত সরকারের পতনের পর নগরে পুকুর ভরাট, গ্রামে কৃষি জমিতে পুকুর খনন ও জমির শ্রেণী পরিবর্তনের প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ইয়্যাস বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রায় ২৫টি পুকুর ভরাট বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
মোল্লাপাড়া মৌজার পুকুর ভরাটের তথ্য পাওয়া মাত্র গত শনিবার জেলা প্রশাসন ও পরবর্তীতে পরিবেশ উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে পুকুর ভরাট বন্ধ এবং পুনঃখননের ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করে। ইয়্যাস মনে করে, প্রশাসন শুরুতেই তৎপর হলে পুনঃখননে অতিরিক্ত ব্যয় এড়ানো যেত।
নগরীর অবশিষ্ট সব পুকুর সিএস ও আরএস খতিয়ান অনুযায়ী চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ জমির শ্রেণী পরিবর্তন কঠোর নজরদারিতে আনা এবং অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন বন্ধ।
ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরুজলাশয় সংরক্ষণে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা; প্রয়োজনে অধিগ্রহণ।
অধিগ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত জলাধার মালিকদের উপযুক্ত প্রণোদনা প্রদান।
নগরের জলাধার সংরক্ষণে ভবিষ্যতে অধিগ্রহণের নীতিমালা প্রণয়ন এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন জলাভূমির জন্য প্রণোদনা বরাদ্দ।
সংগঠনটি মনে করে, এসব কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে রাজশাহীর পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও নগরবাসীর জীবনযাত্রা সুরক্ষিত থাকবে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইয়্যাসের সভাপতি মো. শামীউল আলীম শাওন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিক এসব তথ্য জানান।
সংগঠনটি জানায়, ভরাটকৃত পুকুরটির পুনঃখনন অবৈধভাবে জলাধার ভরাটকারীদের জন্য একটি সুস্পষ্ট বার্তা বহন করবে। একই সঙ্গে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃক্ষকে রাজশাহীর প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা। বিগত সময়ে অবৈধভাবে ভরাট হওয়া অন্যান্য পুকুরও দ্রুত উদ্ধার করে পুনঃখননের দাবি জানানো হয়েছে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য, কৃষি, পর্যটনসহ নানা ক্ষেত্রে পুকুর, জলাশয় ও জলাধার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একসময় রাজশাহী মহানগরীতে কয়েক হাজার পুকুর থাকলেও বর্তমানে টিকে আছে কয়েকশটি মাত্র। ২০২২ সালের ৮ আগস্ট উ”চ আদালত রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় থাকা ৯৫২টি পুকুর সংরক্ষণে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিলেও অবৈধভাবে পুকুর ভরাট দমে যায়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিগত সরকারের পতনের পর নগরে পুকুর ভরাট, গ্রামে কৃষি জমিতে পুকুর খনন ও জমির শ্রেণী পরিবর্তনের প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ইয়্যাস বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রায় ২৫টি পুকুর ভরাট বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
মোল্লাপাড়া মৌজার পুকুর ভরাটের তথ্য পাওয়া মাত্র গত শনিবার জেলা প্রশাসন ও পরবর্তীতে পরিবেশ উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে পুকুর ভরাট বন্ধ এবং পুনঃখননের ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করে। ইয়্যাস মনে করে, প্রশাসন শুরুতেই তৎপর হলে পুনঃখননে অতিরিক্ত ব্যয় এড়ানো যেত।
নগরীর অবশিষ্ট সব পুকুর সিএস ও আরএস খতিয়ান অনুযায়ী চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণ ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ জমির শ্রেণী পরিবর্তন কঠোর নজরদারিতে আনা এবং অনুমতি ছাড়া পরিবর্তন বন্ধ।
ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরুজলাশয় সংরক্ষণে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা; প্রয়োজনে অধিগ্রহণ।
অধিগ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত জলাধার মালিকদের উপযুক্ত প্রণোদনা প্রদান।
নগরের জলাধার সংরক্ষণে ভবিষ্যতে অধিগ্রহণের নীতিমালা প্রণয়ন এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন জলাভূমির জন্য প্রণোদনা বরাদ্দ।
সংগঠনটি মনে করে, এসব কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে রাজশাহীর পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও নগরবাসীর জীবনযাত্রা সুরক্ষিত থাকবে।
মোঃ মাসুদ রানা রাব্বানী :