ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সরকারের কাছে ‘নতজানু’ না হয়ে নির্বাচন কমিশনকে ‘শক্ত’ অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এছাড়া নির্বাচনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে দলটির প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এসব কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেন। এতে মঈন খান বলেন, আমরা আপনাদের (ইসি) সব সহযোগিতা করব। আমরা চাই আপনারা শক্ত থাকেন, আপনারা সিদ্ধান্তগুলো নেন। ইউ হ্যাভ দ্য পাওয়ার অ্যান্ড দ্য অথোরিটি (আপনার ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব আছে)। সরকার দিয়েছে, সংবিধান আপনাদের সেই অথোরিটি (কর্তৃত্ব) দিয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মতো পরিস্থিতি এখন নেই, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সরকারের কাছে কোনো সুবিধা নেই, যেটা অতীতে আমরা দেখেছি। সরকারের কাছে নির্বাচন কমিশন নতজানু হয়ে থাকবে-এভাবে কোনো দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।
ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব তুলে ধরে মঈন খান বলেন, আপনারা একবার সাহস করে এই সিদ্ধান্তটা নেন যে, রিটার্নিং অফিসার আপনাদের নির্বাচন কমিশন থেকে থাকবে, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার আপনাদের কমিশনের কর্মকর্তাদের থেকে হবে। দেখবেন এই একটা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, এই পয়েন্টটা আমি জোর দিয়ে কেন বলছি, দেখেন অতীতে আমরা দেখেছি এবং আমি পাবলিকলি বলেছি-এটা কিন্তু পত্রিকায় হেডলাইন হয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রীর অফিসে কম্পিউটারে চারটা বাটন আছে। একটা হচ্ছে ডিসি, একটা এসপি, একটা টিএনও আরেকটা ওসি। বাটন চারটা টেপা হয় প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে, নির্বাচনি এলাকায় ফলাফল প্রিন্ট আউট হয়ে বের হয়ে আসে।
মঈন খান আরও বলেন, এই পদ্ধতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আপনারা এই নির্বাচনে এই সিদ্ধান্তটা নেন যে, কোনো রিটার্নিং অফিসার, কোনো অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার আপনাদের নির্বাচন কমিশনের বাইরে হবে না। আমি বিশ্বাস করি, এতে নির্বাচনে একটা গুণগত পরিবর্তন আসবে। এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, আপনারা করেন, আমরা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা করব।
বাংলাদেশ ‘ক্রান্তিকাল পার করছে’ মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, এই সময় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নিয়মকানুন মেনে নির্বাচন করব। নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলব। প্রার্থীর অঙ্গীকারনামার বিষয়ে তিনি বলেন, অঙ্গীকারনামা এবার দিতে হবে, এটা আগে ছিল না। ইসির নিয়মকানুনের বেড়াজাল যত বাড়াবে, তত বিষয়টি জটিল হবে। ধর্মকে যাতে কোথাও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা না হয়, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে লক্ষ্য রাখতে বলেন তিনি।
সংলাপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন বলেন, ভোটের মাঠের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও সবার জন্য সমান সুযোগ গুরুত্বপূর্ণ। নানাভাবে অনেকের চরিত্র হনন, মিস ইনফরমেশন (মিথ্যা তথ্য), ডিস ইনফরমেশন (অপতথ্য), এআই ব্যবহার করে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি ইসির অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে এবং উপজেলা পর্যায়ে ফ্যাক্ট চেকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা; প্রয়োজনে ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলা এবং বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
বিএনপির প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল ও সাবেক সচিব মো. জাকারিয়া।
সংলাপে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেন। এতে মঈন খান বলেন, আমরা আপনাদের (ইসি) সব সহযোগিতা করব। আমরা চাই আপনারা শক্ত থাকেন, আপনারা সিদ্ধান্তগুলো নেন। ইউ হ্যাভ দ্য পাওয়ার অ্যান্ড দ্য অথোরিটি (আপনার ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব আছে)। সরকার দিয়েছে, সংবিধান আপনাদের সেই অথোরিটি (কর্তৃত্ব) দিয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মতো পরিস্থিতি এখন নেই, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সরকারের কাছে কোনো সুবিধা নেই, যেটা অতীতে আমরা দেখেছি। সরকারের কাছে নির্বাচন কমিশন নতজানু হয়ে থাকবে-এভাবে কোনো দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।
ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব তুলে ধরে মঈন খান বলেন, আপনারা একবার সাহস করে এই সিদ্ধান্তটা নেন যে, রিটার্নিং অফিসার আপনাদের নির্বাচন কমিশন থেকে থাকবে, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার আপনাদের কমিশনের কর্মকর্তাদের থেকে হবে। দেখবেন এই একটা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, এই পয়েন্টটা আমি জোর দিয়ে কেন বলছি, দেখেন অতীতে আমরা দেখেছি এবং আমি পাবলিকলি বলেছি-এটা কিন্তু পত্রিকায় হেডলাইন হয়েছিল যে, প্রধানমন্ত্রীর অফিসে কম্পিউটারে চারটা বাটন আছে। একটা হচ্ছে ডিসি, একটা এসপি, একটা টিএনও আরেকটা ওসি। বাটন চারটা টেপা হয় প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে, নির্বাচনি এলাকায় ফলাফল প্রিন্ট আউট হয়ে বের হয়ে আসে।
মঈন খান আরও বলেন, এই পদ্ধতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আপনারা এই নির্বাচনে এই সিদ্ধান্তটা নেন যে, কোনো রিটার্নিং অফিসার, কোনো অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার আপনাদের নির্বাচন কমিশনের বাইরে হবে না। আমি বিশ্বাস করি, এতে নির্বাচনে একটা গুণগত পরিবর্তন আসবে। এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, আপনারা করেন, আমরা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা করব।
বাংলাদেশ ‘ক্রান্তিকাল পার করছে’ মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, এই সময় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নিয়মকানুন মেনে নির্বাচন করব। নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলব। প্রার্থীর অঙ্গীকারনামার বিষয়ে তিনি বলেন, অঙ্গীকারনামা এবার দিতে হবে, এটা আগে ছিল না। ইসির নিয়মকানুনের বেড়াজাল যত বাড়াবে, তত বিষয়টি জটিল হবে। ধর্মকে যাতে কোথাও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা না হয়, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে লক্ষ্য রাখতে বলেন তিনি।
সংলাপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন বলেন, ভোটের মাঠের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও সবার জন্য সমান সুযোগ গুরুত্বপূর্ণ। নানাভাবে অনেকের চরিত্র হনন, মিস ইনফরমেশন (মিথ্যা তথ্য), ডিস ইনফরমেশন (অপতথ্য), এআই ব্যবহার করে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি ইসির অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে এবং উপজেলা পর্যায়ে ফ্যাক্ট চেকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা; প্রয়োজনে ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলা এবং বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
বিএনপির প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল ও সাবেক সচিব মো. জাকারিয়া।
অনলাইন ডেস্ক