‘একসঙ্গে আন্দোলন এবং নির্বাচন’-এমন লক্ষ্য নিয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ভোটের লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাম দলগুলো। এ লক্ষ্যে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে নতুন একটি জোট গঠন করছেন তারা।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর যুক্তফ্রন্টের আদলে বাম ঘরানার কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে নতুন এ জোট গঠন হতে পারে।
জনজীবনের সংকট মোকাবিলার ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণার কথাও রয়েছে তাদের। এজন্য ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে বামপন্থি দলগুলো। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসাবে জোটের সম্ভাব্য শরিক দলগুলো এরই মধ্যে নিজ নিজ দলের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বামপন্থিদের এই জোট গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ছয়টি বামদল নিয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং শরীফ নূরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাসদ বৃহত্তর এ জোট গঠনের মূল উদ্যোক্তা।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ (মার্কসবাদী)।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, দলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একাধিক সংগঠন এবং গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক গণসংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠন নতুন এই জোটে শরিক হতে সম্মতি দিয়েছে। এর বাইরে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, ঐক্য ন্যাপ, জাতীয় গণফ্রন্ট, বামপন্থিদের আরেকটি জোট ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র শরিক দলগুলোর সঙ্গেও জোট গঠন নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার শরিক দলের মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মাহবুব) এবং গণমুক্তি ইউনিয়ন।
নয়া এই জোটের উদ্যোক্তারা জানান, গত ৮-৯ মাস ধরে তারা একে অন্যের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলাপ-আলোচনা করে নতুন জোট গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনেকেই এই জোটে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
বামপন্থি কয়েকজন নেতা জানান, গত ১৫ নভেম্বর রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘কনভেনশনে’র মাধ্যমে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল। তবে ওইদিন অন্য একটি সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ ডাকায় কনভেনশন স্থগিত করা হয়।
এ অবস্থায় চলতি মাসের ২৯ নভেম্বর কনভেনশন করে জোটের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হবে। ওইদিন দিনব্যাপী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে নতুন এই জোটের নাম কী হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। ‘নয়া যুক্তফ্রন্ট’ কিংবা ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ নামে জোটের যাত্রা শুরু করা যায় কিনা, এমন প্রস্তাব দিয়েছেন কোনো কোনো দলের নেতা। কেউ কেউ বলছেন, ১৯৫৪ সালে যে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠিত হয়েছিল, তার সঙ্গে বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। ফলে জোটের নাম কী হবে কিংবা কোন কাঠামোয় তা চলবে, সেটা সবার মতামত নিয়েই ঠিক করা উচিত। এ কারণে কনভেনশনেই নাম ঠিক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পাশাপাশি একটি সনদ চূড়ান্ত করার দায়িত্বও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কনভেনশনের হাতে। এই সনদের নাম হবে ‘জনতার সনদ’। অনেকটা জুলাই জাতীয় সনদের অনুরূপ ‘জনতার সনদ’ নিয়ে মাঠে নামবে বামপন্থিদের এই জোট। একসঙ্গে আন্দোলন এবং নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে জনজীবনের বিভিন্ন সংকট নিরসনের দাবিতে তারা মাঠে সোচ্চার থাকবেন।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম প্রধান শরিক দল সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন যুগান্তরকে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে দক্ষিণপন্থি সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান ঘটেছে। এ অবস্থায় বাম প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে এক মঞ্চে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। একসঙ্গে নির্বাচন ছাড়াও জনজীবনের সংকট নিয়ে রাজপথে তারা কথা বলবেন এই জোটের ব্যানারে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ যুগান্তরকে জানান, বিকল্প একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন করতে যাচ্ছেন তারা। জোটের ব্যানারে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেষ্টাও রয়েছে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর যুক্তফ্রন্টের আদলে বাম ঘরানার কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে নতুন এ জোট গঠন হতে পারে।
জনজীবনের সংকট মোকাবিলার ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণার কথাও রয়েছে তাদের। এজন্য ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে বামপন্থি দলগুলো। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসাবে জোটের সম্ভাব্য শরিক দলগুলো এরই মধ্যে নিজ নিজ দলের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বামপন্থিদের এই জোট গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ছয়টি বামদল নিয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং শরীফ নূরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাসদ বৃহত্তর এ জোট গঠনের মূল উদ্যোক্তা।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ (মার্কসবাদী)।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, দলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একাধিক সংগঠন এবং গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক গণসংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠন নতুন এই জোটে শরিক হতে সম্মতি দিয়েছে। এর বাইরে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, ঐক্য ন্যাপ, জাতীয় গণফ্রন্ট, বামপন্থিদের আরেকটি জোট ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র শরিক দলগুলোর সঙ্গেও জোট গঠন নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার শরিক দলের মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মাহবুব) এবং গণমুক্তি ইউনিয়ন।
নয়া এই জোটের উদ্যোক্তারা জানান, গত ৮-৯ মাস ধরে তারা একে অন্যের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলাপ-আলোচনা করে নতুন জোট গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনেকেই এই জোটে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
বামপন্থি কয়েকজন নেতা জানান, গত ১৫ নভেম্বর রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘কনভেনশনে’র মাধ্যমে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল। তবে ওইদিন অন্য একটি সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ ডাকায় কনভেনশন স্থগিত করা হয়।
এ অবস্থায় চলতি মাসের ২৯ নভেম্বর কনভেনশন করে জোটের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হবে। ওইদিন দিনব্যাপী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে নতুন এই জোটের নাম কী হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। ‘নয়া যুক্তফ্রন্ট’ কিংবা ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ নামে জোটের যাত্রা শুরু করা যায় কিনা, এমন প্রস্তাব দিয়েছেন কোনো কোনো দলের নেতা। কেউ কেউ বলছেন, ১৯৫৪ সালে যে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠিত হয়েছিল, তার সঙ্গে বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। ফলে জোটের নাম কী হবে কিংবা কোন কাঠামোয় তা চলবে, সেটা সবার মতামত নিয়েই ঠিক করা উচিত। এ কারণে কনভেনশনেই নাম ঠিক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পাশাপাশি একটি সনদ চূড়ান্ত করার দায়িত্বও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কনভেনশনের হাতে। এই সনদের নাম হবে ‘জনতার সনদ’। অনেকটা জুলাই জাতীয় সনদের অনুরূপ ‘জনতার সনদ’ নিয়ে মাঠে নামবে বামপন্থিদের এই জোট। একসঙ্গে আন্দোলন এবং নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে জনজীবনের বিভিন্ন সংকট নিরসনের দাবিতে তারা মাঠে সোচ্চার থাকবেন।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম প্রধান শরিক দল সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন যুগান্তরকে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে দক্ষিণপন্থি সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান ঘটেছে। এ অবস্থায় বাম প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে এক মঞ্চে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। একসঙ্গে নির্বাচন ছাড়াও জনজীবনের সংকট নিয়ে রাজপথে তারা কথা বলবেন এই জোটের ব্যানারে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ যুগান্তরকে জানান, বিকল্প একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন করতে যাচ্ছেন তারা। জোটের ব্যানারে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেষ্টাও রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক