কোলেস্টেরল কেন বাড়ে, তার কারণ অনেকে। কেবল বাইরের খাবার, ভাজাভুজি বা জ়াঙ্ক ফুডই যে দায়ী তা নয়। কারণ আরও আছে। অনেকেই বলবেন, যে রোজ বাড়ির খাবারই খান, রাস্তার খাবার ছুঁয়েও দেখেন না। মদ্যপান করেন না। তার পরেও পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে কোলেস্টেরল তার নিরাপদ মাত্রা অর্থাৎ,প্রতি ডেসিলিটারে ২০০ মিলিগ্রাম ছাড়িয়ে গিয়েছে। অতএব চিন্তার কারণ রয়েছে। আপনি হয়তো ভেবেই পেলেন না, যে বাড়ির খাবার খেয়েও কোলেস্টেরল এত বাড়ছে কী ভাবে। তার কারণ আছে। রোজের যাপনের কিছু অভ্যাস ও রান্নার কিছু ভুলেও এমন হতে পারে।
কোলেস্টেরল দু’রকম হয়— ভাল ও খারাপ। ভাল কোলেস্টেরল হল হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) যা খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ, লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনকে শোষ করে নেয়। কিন্তু খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি বিপদসীমা ছাড়িয়ে যায়, তখনই হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। আশঙ্কা বাড়বে ব্রেন স্ট্রোকেরও। এই খারাপ কোলেস্টেরল কেন বাড়ে, তার কিছু কারণ আছে।
রান্নার তেলের ভুল ব্যবহার
রান্না করার পর বেঁচে যাওয়া তেল সংরক্ষণ করে রেখে তার পুনর্ব্যবহারের অভ্যাস বেশির ভাগ বাড়িতেই আছে। পাঁপড় ভেজে যে তেলটা বেঁচে গেল তাই দিয়েই আবার পরদিন ভাজাভুজি করা হয়। মাছ ভাজার পোড়া, কালো তেল তো ব্যবহার হয়ই। খাদ্যের গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানাচ্ছে, একই তেল উচ্চতাপে বার বার ফোটালে তার উপাদানগুলি ভেঙে গিয়ে ট্রান্স ফ্যাট তৈরি করে। এই ট্রান্স ফ্যাট শরীরে ঢুকে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে যা উচ্চ রক্তচাপ ও ধমনীতে চর্বি জমার মতো (এথেরোস্ক্লেরোসিস) সমস্যা তৈরি করে। এর থেকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
বেশি ঘি বা মাখন
ঘি খাওয়া তখনই স্বাস্থ্যকর হবে যখন তার পরিমাণ নির্দিষ্ট থাকবে। অর্থাৎ, দিনে দু’চামচের মতো ঘি খাওয়াই যায়, কিন্তু এর বেশি হলেই তা ক্ষতিকর। বেশি পরিমাণে ঘি দিয়ে রান্না, মাখন অত্যধিক পরিমাণে খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে।
ঘন ঘন ভাজা খাওয়া
বাঙালি বাড়িতে ভাজাভুজি হবেই। আজ পকোড়া, বেগুনি হচ্ছে তো কাল লুচি, পরোটা। ডুবো তেলে ভাজা খাবার রোজ খেলে রক্তে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়বে যা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলবে। অনেকেই ভাবেন, বাড়ির তেলে ভেজে খেলে ক্ষতি নেই। কিন্তু রোজ রোজ যদি ছাঁকা তেলে ভাজা খান, তা হলে ক্ষতি হতে বাধ্য। অলিভ অয়েল, ক্যানোলা তেল, বা সয়াবিন তেলের মতো মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ তেল পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
ফাইবার কম খাওয়া
কার্বোহাইড্রেট যেমন ভাত, রুটি ও প্রোটিন যেমন মাছ, মাংস, ডিম বেশি খেয়ে ফাইবার কম খেলেও ক্ষতি। ফাইবার থাকে মরসুমি সব্জি ও ফলে। ব্রোকলি, মটরশুঁটি, গাজর, রাঙা আলু বেশি করে খেতে হবে। দানাশস্য, জোয়ার, বাজরা, রাগি খেলেও ফাইবারের চাহিদা মিটবে।
বেশি নুন ও চিনি
খাবারে বেশি নুন বা মিষ্টি দেওয়া বা বেশি নুন মাখানো ডিপ ফ্রাই করা খাবার কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে। নানা রকম সসে নুনের মাত্রা বেশি থাকে, তা ছাড়া এখন হরেক রকম স্যালাড ড্রেসিং পাওয়া যায় যেগুলিতে নুন, চিনি তো বটেই প্রিজ়ারভেটিভও থাকে ভরপুর পরিমাণে। মনে হতেই পারে, বাড়িতে স্যালাড বানিয়ে খাচ্ছেন বা স্যান্ডইউচ করে খাচ্ছেন। কিন্তু যে মেয়োনিজ় তাতে ব্যবহার করছেন বা স্যালাড ড্রেসিং, সেটি ক্ষতিকর।
কোলেস্টেরল দু’রকম হয়— ভাল ও খারাপ। ভাল কোলেস্টেরল হল হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) যা খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ, লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনকে শোষ করে নেয়। কিন্তু খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি বিপদসীমা ছাড়িয়ে যায়, তখনই হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। আশঙ্কা বাড়বে ব্রেন স্ট্রোকেরও। এই খারাপ কোলেস্টেরল কেন বাড়ে, তার কিছু কারণ আছে।
রান্নার তেলের ভুল ব্যবহার
রান্না করার পর বেঁচে যাওয়া তেল সংরক্ষণ করে রেখে তার পুনর্ব্যবহারের অভ্যাস বেশির ভাগ বাড়িতেই আছে। পাঁপড় ভেজে যে তেলটা বেঁচে গেল তাই দিয়েই আবার পরদিন ভাজাভুজি করা হয়। মাছ ভাজার পোড়া, কালো তেল তো ব্যবহার হয়ই। খাদ্যের গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানাচ্ছে, একই তেল উচ্চতাপে বার বার ফোটালে তার উপাদানগুলি ভেঙে গিয়ে ট্রান্স ফ্যাট তৈরি করে। এই ট্রান্স ফ্যাট শরীরে ঢুকে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে যা উচ্চ রক্তচাপ ও ধমনীতে চর্বি জমার মতো (এথেরোস্ক্লেরোসিস) সমস্যা তৈরি করে। এর থেকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
বেশি ঘি বা মাখন
ঘি খাওয়া তখনই স্বাস্থ্যকর হবে যখন তার পরিমাণ নির্দিষ্ট থাকবে। অর্থাৎ, দিনে দু’চামচের মতো ঘি খাওয়াই যায়, কিন্তু এর বেশি হলেই তা ক্ষতিকর। বেশি পরিমাণে ঘি দিয়ে রান্না, মাখন অত্যধিক পরিমাণে খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে।
ঘন ঘন ভাজা খাওয়া
বাঙালি বাড়িতে ভাজাভুজি হবেই। আজ পকোড়া, বেগুনি হচ্ছে তো কাল লুচি, পরোটা। ডুবো তেলে ভাজা খাবার রোজ খেলে রক্তে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়বে যা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলবে। অনেকেই ভাবেন, বাড়ির তেলে ভেজে খেলে ক্ষতি নেই। কিন্তু রোজ রোজ যদি ছাঁকা তেলে ভাজা খান, তা হলে ক্ষতি হতে বাধ্য। অলিভ অয়েল, ক্যানোলা তেল, বা সয়াবিন তেলের মতো মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ তেল পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
ফাইবার কম খাওয়া
কার্বোহাইড্রেট যেমন ভাত, রুটি ও প্রোটিন যেমন মাছ, মাংস, ডিম বেশি খেয়ে ফাইবার কম খেলেও ক্ষতি। ফাইবার থাকে মরসুমি সব্জি ও ফলে। ব্রোকলি, মটরশুঁটি, গাজর, রাঙা আলু বেশি করে খেতে হবে। দানাশস্য, জোয়ার, বাজরা, রাগি খেলেও ফাইবারের চাহিদা মিটবে।
বেশি নুন ও চিনি
খাবারে বেশি নুন বা মিষ্টি দেওয়া বা বেশি নুন মাখানো ডিপ ফ্রাই করা খাবার কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে। নানা রকম সসে নুনের মাত্রা বেশি থাকে, তা ছাড়া এখন হরেক রকম স্যালাড ড্রেসিং পাওয়া যায় যেগুলিতে নুন, চিনি তো বটেই প্রিজ়ারভেটিভও থাকে ভরপুর পরিমাণে। মনে হতেই পারে, বাড়িতে স্যালাড বানিয়ে খাচ্ছেন বা স্যান্ডইউচ করে খাচ্ছেন। কিন্তু যে মেয়োনিজ় তাতে ব্যবহার করছেন বা স্যালাড ড্রেসিং, সেটি ক্ষতিকর।
ফারহানা জেরিন