রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ পশুর হাট চৌবাড়িয়া হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁক-ডাকে প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে। কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসায় হাটে গরুর আমদানি ও বেচাকেনা দুই-ই বেড়েছে। সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থাকলেও সেটি হাটের বেচাকেনায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিক্রেতা ও ক্রেতাদের পদচারণায় জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী এই পশুর হাট। শুক্রবার সরেজমিনে হাট ঘুরে দেখা যায়, ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। এসব গরুর দাম তুলনামূলকভাবে নাগালের মধ্যে থাকায় বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। এই পশুর হাটের চিত্র কোরবানির মৌসুমকে ঘিরে ক্রমেই জমজমাট হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
অন্যদিকে বড় গরুর চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম থাকায় প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। অনেক বিক্রেতার অভিযোগ, বড় গরুর খরচ বেশি হলেও ক্রেতারা সেই অনুযায়ী দাম দিতে আগ্রহী নন। সাধারণত কোরবানি ঈদের দু'তিন সপ্তাহ আগে থেকেই এই হাটে বেচাকেনা জমে ওঠে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুক্রবার হওয়ায় এবং ঈদ আরও কাছে চলে আসায় ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হালকা বৃষ্টির পর দুপুরের দিকে আকাশ পরিষ্কার হলে হাটে উপস্থিতি আরও বাড়ে এবং বেচাকেনায় গতি আসে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, এবার হাটে গরুর আমদানি বেশি হলেও ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বড় ব্যবসায়ীরা হাটে আসায় গত সপ্তাহের তুলনায় বেচাকেনা কিছুটা বেড়েছে। অনেকে অগ্রিম চুক্তিতেও গরু কিনে নিচ্ছেন।
নওগাঁর পোরশা উপজেলার ঘাটনগর এলাকা থেকে আসা খামারি বাবু বলেন, ‘আমার খামারে পালন করা তিনটি ষাঁড় নিয়ে হাটে এসেছি। এর মধ্যে একটি এক লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। অপর দুটির দরদাম চলছে। এ দুটিরও বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’
রাজশাহী গোদাগাড়ী থেকে আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি হাটে গরু কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, হাটে প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে। দামও অনেকটা নাগালের মধ্যে আছে। কয়েকটি গরু পছন্দও হয়েছে। সেগুলোর দরদাম চলছে। আমার টার্গেট এক লাখ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে কেনার।’সিরাজগঞ্জ থেকে আসা ব্যাপারী নইম উদ্দিন বলেন, ‘হাটে মাঝারি সাইজের ৪০ থেকে ৫০টি গরু কেনার টার্গেট নিয়ে হাটে এসেছি। এরই মধ্যে ২২টি গরু কেনা হয়েছে। দামও নাগালের মধ্যে। অবশিষ্ট গরুগুলো কেনার চেষ্টা করছি।’
চৌবাড়িয়া পশুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন বলেন, কোরবানি উপলক্ষে মে মাসের শুরু থেকেই হাটে প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে যা গতবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। হাটে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। আগত ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামি সোমবার হাট বসবে।#
অন্যদিকে বড় গরুর চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম থাকায় প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। অনেক বিক্রেতার অভিযোগ, বড় গরুর খরচ বেশি হলেও ক্রেতারা সেই অনুযায়ী দাম দিতে আগ্রহী নন। সাধারণত কোরবানি ঈদের দু'তিন সপ্তাহ আগে থেকেই এই হাটে বেচাকেনা জমে ওঠে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুক্রবার হওয়ায় এবং ঈদ আরও কাছে চলে আসায় ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হালকা বৃষ্টির পর দুপুরের দিকে আকাশ পরিষ্কার হলে হাটে উপস্থিতি আরও বাড়ে এবং বেচাকেনায় গতি আসে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, এবার হাটে গরুর আমদানি বেশি হলেও ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বড় ব্যবসায়ীরা হাটে আসায় গত সপ্তাহের তুলনায় বেচাকেনা কিছুটা বেড়েছে। অনেকে অগ্রিম চুক্তিতেও গরু কিনে নিচ্ছেন।
নওগাঁর পোরশা উপজেলার ঘাটনগর এলাকা থেকে আসা খামারি বাবু বলেন, ‘আমার খামারে পালন করা তিনটি ষাঁড় নিয়ে হাটে এসেছি। এর মধ্যে একটি এক লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। অপর দুটির দরদাম চলছে। এ দুটিরও বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’
রাজশাহী গোদাগাড়ী থেকে আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি হাটে গরু কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, হাটে প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে। দামও অনেকটা নাগালের মধ্যে আছে। কয়েকটি গরু পছন্দও হয়েছে। সেগুলোর দরদাম চলছে। আমার টার্গেট এক লাখ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে কেনার।’সিরাজগঞ্জ থেকে আসা ব্যাপারী নইম উদ্দিন বলেন, ‘হাটে মাঝারি সাইজের ৪০ থেকে ৫০টি গরু কেনার টার্গেট নিয়ে হাটে এসেছি। এরই মধ্যে ২২টি গরু কেনা হয়েছে। দামও নাগালের মধ্যে। অবশিষ্ট গরুগুলো কেনার চেষ্টা করছি।’
চৌবাড়িয়া পশুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন বলেন, কোরবানি উপলক্ষে মে মাসের শুরু থেকেই হাটে প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে যা গতবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। হাটে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। আগত ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামি সোমবার হাট বসবে।#