রাজশাহীর বাগমারায় স্বামীর দেওয়া বিষাক্ত রাসায়নিক 'ড্যামফিক্স' পানে সাত মাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন আসমানি খাতুন (৩২)।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় তার স্বামী আব্দুর রশিদ কারাগারে থাকলেও, হত্যাচেষ্টায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া শ্বশুর রফিকুল ইসলাম বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২নং নরদাশ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে আসমানির সঙ্গে একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রশিদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো।
ঘটনার সূত্রপাত হয় প্রায় সাত মাস আগে। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী আব্দুর রশিদ তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আসমানির মুখে জোর করে ড্যামফিক্স নামক এসিড জাতীয় তরল পরিষ্কারক ঢেলে দেয়। আসমানির চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রাজশাহী মেডিকেলে টানা ১৭ দিন চিকিৎসার পর তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রভাবে তার খাদ্যনালী সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে। বেঁচে থাকার জন্য কৃত্রিম উপায়ে পেটের পাশে ছিদ্র করে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছিল তাকে। এভাবেই গত কয়েক মাস ধরে তার জীবন চলছিল।
গত ২২ এপ্রিল আসমানির বাবা আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে বাগমারা থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-২৪/৯৬)। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আসমানির মৃত্যুতে তার ৮ বছর বয়সী সন্তান মাতৃহারা হলো।
হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জহিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে আসমানির লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই নৃশংস ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় তার স্বামী আব্দুর রশিদ কারাগারে থাকলেও, হত্যাচেষ্টায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া শ্বশুর রফিকুল ইসলাম বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২নং নরদাশ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে আসমানির সঙ্গে একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রশিদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো।
ঘটনার সূত্রপাত হয় প্রায় সাত মাস আগে। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী আব্দুর রশিদ তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আসমানির মুখে জোর করে ড্যামফিক্স নামক এসিড জাতীয় তরল পরিষ্কারক ঢেলে দেয়। আসমানির চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রাজশাহী মেডিকেলে টানা ১৭ দিন চিকিৎসার পর তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রভাবে তার খাদ্যনালী সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে। বেঁচে থাকার জন্য কৃত্রিম উপায়ে পেটের পাশে ছিদ্র করে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছিল তাকে। এভাবেই গত কয়েক মাস ধরে তার জীবন চলছিল।
গত ২২ এপ্রিল আসমানির বাবা আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে বাগমারা থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-২৪/৯৬)। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আসমানির মৃত্যুতে তার ৮ বছর বয়সী সন্তান মাতৃহারা হলো।
হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জহিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে আসমানির লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই নৃশংস ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।
নিজস্ব প্রতিবেদক