নভেম্বরের মাঝামাঝি এই সময়টায় তাই অনেকেরই ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি-হাঁচির প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। সকালে উঠে নাক বুজেও থাকছে কারও কারও। যা আদতে অ্যালার্জির লক্ষণ। শীতের আগে এবং শীত পড়ার পরেও এই যে ছোটখাটো সমস্যা, তা জটিল না হলেও সারা দিনের ভাল থাকার উপর প্রভাব ফেলে। কারও শরীরে ঝিমুনি আসে, কারও মাথা ধরে থাকে।
এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মূলত ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধির উপরেই জোর দেন চিকিৎসকেরা। পরামর্শ দেন খাওয়াদাওয়ার প্রতি যত্নবান হতে। প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু রাখতে হবে, যা শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের জোগান দিয়ে শরীরকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করবে। তারকা পুষ্টিবিদ রুজুতা দ্বিবেকর জানাচ্ছেন, তাঁর মায়ের হাতে তৈরি পোড়া আমলকির চাটনি সেই অভাব পূরণ করতে পারে।
আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি যে রোগ প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধি করে, সে ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারও। তবে রুজুতা বলছেন, তাঁর মায়ের হাতে তৈরি ওই চাটনিতে আমলকির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে এমন আরও অনেক প্রাকৃতিক উপাদন রয়েছে। যেমন, রসুন, জিরে, আদা, কাঁচা লঙ্কা ইত্যাদি।
অনেকেই আমলকির কষাটে এবং টক স্বাদের জন্য ওই ফল কাঁচা খেতে পারেন না। তাঁদের জন্য এই চাটনি প্রয়োজনীয় উপকারিতা জোগাবে আবার স্বাদেরও জোগান দেবে। রুজুতা বলছেন, ‘‘শীতে বাড়িতে এই চাটনি বানিয়ে রাখলে এবং নিয়মিত খাবারের সঙ্গে খেলে, তা শরীরকে ভাল রাখতে সাহায্য করবে।’’
কী ভাবে বানাতে হবে?
পোড়া আমলকির চাটনি বানাতে লাগবে— ৭-৮টি মাঝারি মাপের কাঁচা আমলকি, ২টি কাঁচা লঙ্কা, ২ গাঁট মাপের আদা, ৫-৬ কোয়া রসুন, এক মুঠো ধনেপাতা, ১ চা চামচ ভাজা জিরের গুঁড়ো, ১ চা চামচ লেবুর রস, স্বাদমতো নুন এবং ১ চা চামচ তেল।
প্রণালী: আমলকি ভাল ভাবে ধুয়ে এবং মুছে নিয়ে তার গায়ে সামান্য তেল লাগিয়ে উনুনে সেঁকে নিন। রুজুতা জানাচ্ছেন, এটি সবচেয়ে ভাল হয় মাটির উনুনে কয়লার উপর রাখলে। তবে তা সম্ভব না হলে বেগুন বা টম্যাটো সেঁকার মতো করে সেঁকে নিতে পারেন।
ঝলসে নেওয়া আমলকির বীজ বার করে একটি মিক্সারের জারে বা শিলে বেটে নিন। ওর মধ্যে দিন আদা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা এবং ধনেপাতা। অল্প জল দিয়ে বেটে নেওয়া হয়ে গেলে তার সঙ্গে লেবু, নুন জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে একটি কাচের জারে রেখে দিন।
এটি ভাত-রুটি-পরোটার সঙ্গে খেতে পারেন। রুজুতা বলছেন, ‘‘এই চাটনি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি হজম ক্ষমতাও ভাল রাখবে।’’
এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মূলত ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধির উপরেই জোর দেন চিকিৎসকেরা। পরামর্শ দেন খাওয়াদাওয়ার প্রতি যত্নবান হতে। প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু রাখতে হবে, যা শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের জোগান দিয়ে শরীরকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করবে। তারকা পুষ্টিবিদ রুজুতা দ্বিবেকর জানাচ্ছেন, তাঁর মায়ের হাতে তৈরি পোড়া আমলকির চাটনি সেই অভাব পূরণ করতে পারে।
আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি যে রোগ প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধি করে, সে ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারও। তবে রুজুতা বলছেন, তাঁর মায়ের হাতে তৈরি ওই চাটনিতে আমলকির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে এমন আরও অনেক প্রাকৃতিক উপাদন রয়েছে। যেমন, রসুন, জিরে, আদা, কাঁচা লঙ্কা ইত্যাদি।
অনেকেই আমলকির কষাটে এবং টক স্বাদের জন্য ওই ফল কাঁচা খেতে পারেন না। তাঁদের জন্য এই চাটনি প্রয়োজনীয় উপকারিতা জোগাবে আবার স্বাদেরও জোগান দেবে। রুজুতা বলছেন, ‘‘শীতে বাড়িতে এই চাটনি বানিয়ে রাখলে এবং নিয়মিত খাবারের সঙ্গে খেলে, তা শরীরকে ভাল রাখতে সাহায্য করবে।’’
কী ভাবে বানাতে হবে?
পোড়া আমলকির চাটনি বানাতে লাগবে— ৭-৮টি মাঝারি মাপের কাঁচা আমলকি, ২টি কাঁচা লঙ্কা, ২ গাঁট মাপের আদা, ৫-৬ কোয়া রসুন, এক মুঠো ধনেপাতা, ১ চা চামচ ভাজা জিরের গুঁড়ো, ১ চা চামচ লেবুর রস, স্বাদমতো নুন এবং ১ চা চামচ তেল।
প্রণালী: আমলকি ভাল ভাবে ধুয়ে এবং মুছে নিয়ে তার গায়ে সামান্য তেল লাগিয়ে উনুনে সেঁকে নিন। রুজুতা জানাচ্ছেন, এটি সবচেয়ে ভাল হয় মাটির উনুনে কয়লার উপর রাখলে। তবে তা সম্ভব না হলে বেগুন বা টম্যাটো সেঁকার মতো করে সেঁকে নিতে পারেন।
ঝলসে নেওয়া আমলকির বীজ বার করে একটি মিক্সারের জারে বা শিলে বেটে নিন। ওর মধ্যে দিন আদা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা এবং ধনেপাতা। অল্প জল দিয়ে বেটে নেওয়া হয়ে গেলে তার সঙ্গে লেবু, নুন জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে একটি কাচের জারে রেখে দিন।
এটি ভাত-রুটি-পরোটার সঙ্গে খেতে পারেন। রুজুতা বলছেন, ‘‘এই চাটনি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি হজম ক্ষমতাও ভাল রাখবে।’’
ফারহানা জেরিন