প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী এবং বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনকে প্রায়শই তাঁর শারীরিক পরিবর্তন এবং পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কুরুচিকর মন্তব্যের শিকার হতে হয়। বিশেষ করে, সন্তানধারণের পর তাঁর ওজন বৃদ্ধি নিয়ে নানা ধরনের তির্যক মন্তব্য ধেয়ে এসেছে।
এই পরিস্থিতিতে এবার ঐশ্বর্যার পাশে দাঁড়ালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রেণুকা শাহানে। এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি ঐশ্বর্যার সাফল্যকে উদযাপন করার কথা বলেছেন এবং যাঁরা তা পারেন না, তাঁদের মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
রেণুকা শাহানে বলেন, ঐশ্বর্যা বছরের পর বছর ধরে সাফল্য অর্জন করেছেন। আমাদের কি সেটা উদ্যাপন করা উচিত নয়? তিনি আরও যোগ করেন, কোনো সংস্থাকে বাদ দিতে এক মিনিটও সময় লাগে না, কিন্তু ঐশ্বর্যা বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন সংস্থার 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' হিসেবে কাজ করে চলেছেন।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে বহুবার ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। এরপরেও তাঁর পোশাক এবং চেহারা নিয়ে প্রশ্ন তোলা একেবারেই অনুচিত বলে মনে করেন রেণুকা। তিনি বলেন, "এই সব করা বন্ধ করুন। ভাল কিছু বলার না থাকলে নিজেদের মুখটা বন্ধ করুন।
নেটমাধ্যমের যুগে তারকাদের, বিশেষ করে অভিনেত্রীদের, প্রতিনিয়ত কড়া নজরদারির মধ্যে থাকতে হয়। তাঁদের ওজন বাড়া-কমা থেকে শুরু করে পোশাক সবকিছু নিয়েই চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য। মা হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই নারীদের শরীরে পরিবর্তন আসে, ওজন বাড়ে। কিন্তু এই স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়াকেও সমাজমাধ্যম মেনে নিতে রাজি নয় বলে মনে করেন রেণুকা।
ঐশ্বর্যা নিজেও তাঁর ওজন বৃদ্ধি নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে অবগত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন যে, আরাধ্যা জন্মের পর তাঁর ওজন বেড়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ছিল এবং তিনি বিষয়টিকে সেভাবেই গ্রহণ করেছিলেন। মানুষের নেতিবাচক মন্তব্যে তিনি ক্ষুব্ধ হলেও, নিজের শরীর নিয়ে কখনোই লজ্জিত হননি।[2] বরং, তিনি সেই সময়ে মাতৃত্বকে উপভোগ করার দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছিলেন।
এই বিষয়ে অতীতে মুখ খুলেছিলেন ঐশ্বর্যার স্বামী, অভিনেতা অভিষেক বচ্চনও। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, কাকে কেমন দেখতে লাগছে তা নিয়ে মন্তব্য করা সংবেদনশীলতার পরিচয় নয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক আবারও তাঁর স্ত্রী ও পরিবারকে নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন এবং অপ্রয়োজনীয় সমালোচনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। যদিও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা শোনা যায়, তবে কঠিন সময়ে ঐশ্বর্যার পরামর্শই যে তাঁকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে, সেকথাও স্বীকার করেছেন অভিষেক।
রেণুকা শাহানের এই দৃঢ় অবস্থান ঐশ্বর্যার অনুরাগী এবং চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই প্রশংসা করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে তারকাদের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে তাঁর এই প্রতিবাদ এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে এবার ঐশ্বর্যার পাশে দাঁড়ালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রেণুকা শাহানে। এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি ঐশ্বর্যার সাফল্যকে উদযাপন করার কথা বলেছেন এবং যাঁরা তা পারেন না, তাঁদের মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
রেণুকা শাহানে বলেন, ঐশ্বর্যা বছরের পর বছর ধরে সাফল্য অর্জন করেছেন। আমাদের কি সেটা উদ্যাপন করা উচিত নয়? তিনি আরও যোগ করেন, কোনো সংস্থাকে বাদ দিতে এক মিনিটও সময় লাগে না, কিন্তু ঐশ্বর্যা বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন সংস্থার 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' হিসেবে কাজ করে চলেছেন।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে বহুবার ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। এরপরেও তাঁর পোশাক এবং চেহারা নিয়ে প্রশ্ন তোলা একেবারেই অনুচিত বলে মনে করেন রেণুকা। তিনি বলেন, "এই সব করা বন্ধ করুন। ভাল কিছু বলার না থাকলে নিজেদের মুখটা বন্ধ করুন।
নেটমাধ্যমের যুগে তারকাদের, বিশেষ করে অভিনেত্রীদের, প্রতিনিয়ত কড়া নজরদারির মধ্যে থাকতে হয়। তাঁদের ওজন বাড়া-কমা থেকে শুরু করে পোশাক সবকিছু নিয়েই চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য। মা হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই নারীদের শরীরে পরিবর্তন আসে, ওজন বাড়ে। কিন্তু এই স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়াকেও সমাজমাধ্যম মেনে নিতে রাজি নয় বলে মনে করেন রেণুকা।
ঐশ্বর্যা নিজেও তাঁর ওজন বৃদ্ধি নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে অবগত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন যে, আরাধ্যা জন্মের পর তাঁর ওজন বেড়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ছিল এবং তিনি বিষয়টিকে সেভাবেই গ্রহণ করেছিলেন। মানুষের নেতিবাচক মন্তব্যে তিনি ক্ষুব্ধ হলেও, নিজের শরীর নিয়ে কখনোই লজ্জিত হননি।[2] বরং, তিনি সেই সময়ে মাতৃত্বকে উপভোগ করার দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছিলেন।
এই বিষয়ে অতীতে মুখ খুলেছিলেন ঐশ্বর্যার স্বামী, অভিনেতা অভিষেক বচ্চনও। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, কাকে কেমন দেখতে লাগছে তা নিয়ে মন্তব্য করা সংবেদনশীলতার পরিচয় নয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক আবারও তাঁর স্ত্রী ও পরিবারকে নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন এবং অপ্রয়োজনীয় সমালোচনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। যদিও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা শোনা যায়, তবে কঠিন সময়ে ঐশ্বর্যার পরামর্শই যে তাঁকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে, সেকথাও স্বীকার করেছেন অভিষেক।
রেণুকা শাহানের এই দৃঢ় অবস্থান ঐশ্বর্যার অনুরাগী এবং চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই প্রশংসা করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে তারকাদের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে তাঁর এই প্রতিবাদ এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তামান্না হাবিব নিশু