নাটোরের লালপুর উপজেলার ‘পানঘাটা স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার’ বর্তমান কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ইয়াসিন আলীর স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে পানঘাটা গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন হাফিজিয়া মাদ্রাসার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আসাদুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের সদস্য জুবায়ের রহমান এবং ১৫ বছর স্বেচ্ছায় পাঠদান করেও নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষক মোঃ আয়জুদ্দিন।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গ্রামবাসীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বহু প্রতিক‚লতার মধ্যেও স্থানীয়দের সহযোগিতায় টিকে আছে। কিন্তু গত ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর সভাপতি ইয়াসিন আলী গোপনে একটি পকেট কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটির কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই তৎকালীন লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান এবং উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সাদ আহমেদ শিবলী অনুমোদন দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বর্তমান সভাপতি ইয়াসিন আলী বিপুল অর্থের বিনিময়ে পাঁচজন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সদস্য জুবায়ের রহমান জানান, গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পকেট কমিটি বাতিল ও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের আবেদন করেন। কিন্তু নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান অভিযোগপত্রটি ছুড়ে ফেলেন এবং তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, সভাপতি ইয়াসিন আলী মাদ্রাসার জমিদাতার নাম পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন। এ নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) বরাবর কাগজপত্র দাখিল করা হলে তা বাতিল করা হয়েছিল, কিন্তু অদৃশ্য কারণে পুনরায় তা চালু করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বর্তমান সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা ও সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তারা প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তদন্তপূর্বক বর্তমান পকেট কমিটি বাতিল এবং গ্রামবাসীর সহযোগিতায় একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনের দাবি জানান। একই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহবান জানান।
গ্রামবাসীর অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব ইয়াসিন আলী বলেন, “অনেক কষ্টে প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রেখেছি। নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু গ্রামবাসীর দাবি-যোগ্যতা না থাকলেও গ্রামের দু-একজনকে শিক্ষক বানাতে হবে-যা নিয়মবহির্ভ‚ত এবং আমার ক্ষমতার বাইরে। আমি চাই সবাইকে নিয়ে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে। গ্রামবাসী যদি আমার দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারে, আমি স্বেচ্ছায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে সরে দাঁড়াব।” তবে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সাদ আহমেদ শিবলীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, “আমি বিষয়টি জানি না। অভিযোগকারীরা আমার কাছে এলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-ইব্রাহিম হোসেন, মনির মাস্টার, বদরু মেম্বার, আঃ রহিম প্রামাণিক, আফজাল সরদার, জাহিদুল ইসলামসহ শতাধিক গ্রামবাসী।
সোমবার বিকেলে পানঘাটা গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন হাফিজিয়া মাদ্রাসার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আসাদুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের সদস্য জুবায়ের রহমান এবং ১৫ বছর স্বেচ্ছায় পাঠদান করেও নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষক মোঃ আয়জুদ্দিন।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গ্রামবাসীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বহু প্রতিক‚লতার মধ্যেও স্থানীয়দের সহযোগিতায় টিকে আছে। কিন্তু গত ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর সভাপতি ইয়াসিন আলী গোপনে একটি পকেট কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটির কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই তৎকালীন লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান এবং উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সাদ আহমেদ শিবলী অনুমোদন দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বর্তমান সভাপতি ইয়াসিন আলী বিপুল অর্থের বিনিময়ে পাঁচজন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সদস্য জুবায়ের রহমান জানান, গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পকেট কমিটি বাতিল ও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের আবেদন করেন। কিন্তু নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান অভিযোগপত্রটি ছুড়ে ফেলেন এবং তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, সভাপতি ইয়াসিন আলী মাদ্রাসার জমিদাতার নাম পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন। এ নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) বরাবর কাগজপত্র দাখিল করা হলে তা বাতিল করা হয়েছিল, কিন্তু অদৃশ্য কারণে পুনরায় তা চালু করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বর্তমান সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা ও সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তারা প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তদন্তপূর্বক বর্তমান পকেট কমিটি বাতিল এবং গ্রামবাসীর সহযোগিতায় একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনের দাবি জানান। একই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহবান জানান।
গ্রামবাসীর অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব ইয়াসিন আলী বলেন, “অনেক কষ্টে প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রেখেছি। নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু গ্রামবাসীর দাবি-যোগ্যতা না থাকলেও গ্রামের দু-একজনকে শিক্ষক বানাতে হবে-যা নিয়মবহির্ভ‚ত এবং আমার ক্ষমতার বাইরে। আমি চাই সবাইকে নিয়ে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে। গ্রামবাসী যদি আমার দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারে, আমি স্বেচ্ছায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে সরে দাঁড়াব।” তবে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সাদ আহমেদ শিবলীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, “আমি বিষয়টি জানি না। অভিযোগকারীরা আমার কাছে এলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-ইব্রাহিম হোসেন, মনির মাস্টার, বদরু মেম্বার, আঃ রহিম প্রামাণিক, আফজাল সরদার, জাহিদুল ইসলামসহ শতাধিক গ্রামবাসী।
নাহিদ হোসেন, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি