পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নে নামাজরত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক মাদকাসক্ত ছেলে।
রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ইউনিয়নের পুরাতন ভাদুরডাঙ্গীতে এ ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
নিহত নিজাম প্রামাণিক (৬০) পেশায় কৃষক ছিলেন। তার দুই ছেলে। বড় ছেলে মোস্তফা প্রামাণিকও (বয়স আনুমানিক ২১ বছর) বাবার সঙ্গে কৃষি কাজ করতেন। তবে খারাপ সঙ্গে মিশে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানিয়েছে, নিজাম প্রামাণিক বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধার পর বাসায় ফেরেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘরে নিজের কক্ষে এশার নামাজে দাঁড়ান। এমন সময় দরজা বন্ধ করে হাঁসুয়া দিয়ে বাবা নিজামকে উপর্যুপরি কুপান ছেলে মোস্তফা। এর ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বাবাকে কোপানোর পর পাশের কক্ষে দরজা বন্ধ করে বসে ছিলেন ছেলে মোস্তফা। কিছুক্ষণ পর বাড়ির লোকজন ঘরে গিয়ে নিজামকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর তারা মোস্তফাকে ঘরের ভেতরে তালাবন্দি করে রাখে এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত মোস্তফাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পাবনা সদর থানা পুলিশ জানিয়েছে, আটকের সময় মোস্তফা পুলিশকেও ছুরিকাঘাত করে। এতে এসআই আবু বকর সিদ্দিক, এসআই জিয়াউর রহমান ও এসআই আবু রায়হান আহত হয়েছেন। এর মধ্যে এসআই জিয়াউর রহমানকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের একটি দল এখন ঘটনাস্থলে আছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিহত নিজামের ছোট ছেলে মিজানুর রহমান (১৫) বলেন, ‘আমরা খাওয়া দাওয়া শেষে রুমে শুয়ে ছিলাম। তখন বড় ভাই মোস্তফা কক্ষের দরজা আটকিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে।’
মিজানুর আরও বলেন, ‘এর আগে সে (মোস্তফা) আমাকে মেহগনি ডাল দিয়ে মারধর করে আহত করে। আজ আমাকেও হত্যা করার জন্য গামছার মধ্যে হাঁসুয়া নিয়ে মাঠের মধ্যে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছিল। বাড়ির লোক বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাকে সতর্ক করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের থেকে টাকা চাইত। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাত। আমি বাবার হত্যার বিচার চাই। তাকে এখনই ফাঁসি দেয়া হোক।’
রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ইউনিয়নের পুরাতন ভাদুরডাঙ্গীতে এ ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
নিহত নিজাম প্রামাণিক (৬০) পেশায় কৃষক ছিলেন। তার দুই ছেলে। বড় ছেলে মোস্তফা প্রামাণিকও (বয়স আনুমানিক ২১ বছর) বাবার সঙ্গে কৃষি কাজ করতেন। তবে খারাপ সঙ্গে মিশে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানিয়েছে, নিজাম প্রামাণিক বাজারে দুধ বিক্রি করে সন্ধার পর বাসায় ফেরেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘরে নিজের কক্ষে এশার নামাজে দাঁড়ান। এমন সময় দরজা বন্ধ করে হাঁসুয়া দিয়ে বাবা নিজামকে উপর্যুপরি কুপান ছেলে মোস্তফা। এর ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বাবাকে কোপানোর পর পাশের কক্ষে দরজা বন্ধ করে বসে ছিলেন ছেলে মোস্তফা। কিছুক্ষণ পর বাড়ির লোকজন ঘরে গিয়ে নিজামকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর তারা মোস্তফাকে ঘরের ভেতরে তালাবন্দি করে রাখে এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত মোস্তফাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পাবনা সদর থানা পুলিশ জানিয়েছে, আটকের সময় মোস্তফা পুলিশকেও ছুরিকাঘাত করে। এতে এসআই আবু বকর সিদ্দিক, এসআই জিয়াউর রহমান ও এসআই আবু রায়হান আহত হয়েছেন। এর মধ্যে এসআই জিয়াউর রহমানকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের একটি দল এখন ঘটনাস্থলে আছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিহত নিজামের ছোট ছেলে মিজানুর রহমান (১৫) বলেন, ‘আমরা খাওয়া দাওয়া শেষে রুমে শুয়ে ছিলাম। তখন বড় ভাই মোস্তফা কক্ষের দরজা আটকিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে।’
মিজানুর আরও বলেন, ‘এর আগে সে (মোস্তফা) আমাকে মেহগনি ডাল দিয়ে মারধর করে আহত করে। আজ আমাকেও হত্যা করার জন্য গামছার মধ্যে হাঁসুয়া নিয়ে মাঠের মধ্যে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছিল। বাড়ির লোক বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাকে সতর্ক করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের থেকে টাকা চাইত। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাত। আমি বাবার হত্যার বিচার চাই। তাকে এখনই ফাঁসি দেয়া হোক।’
অনলাইন ডেস্ক