ঢাকা , সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
​লালমনিরহাটের দু্র্গাপুরে ৬ বছরে শিশুকে ধর্ষণ করেছে ৫৫ বছরের এক বৃদ্ধ মতিহারে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল চারঘাটে আমবাগান থেকে ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ রাণীনগরে দুই ধান ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা ও কৃষকের তিনটি গরু চুরি নওগাঁ এসপির নেতৃত্বে বিশেষ অভিযানে ৭০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি আটক তানোরে শিশু সাজিদের পরিবারকে জামায়াতের আর্থিক সহায়তা বাড়ির উঠানে মাটি ভরাটকে কেন্দ্র করে মারপিট ও অগ্নিসংযোগ অভিযোগ পবার পর নিয়ামতপুরে ৬ শতাধিক গাছ কেটেছে দুর্বৃত্তরা পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে টাকার বিনিময়ে চাকরি, দালালি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত, জেলা তথ্য অফিস রাজশাহীতে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করলেন, উপদেষ্টা পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে প্রয়োজন সততা, সৃজনশীলতা এবং দৃঢ় চরিত্র- সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা খেয়াঘাটে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় কীটনাশক জব্দ মতিহারে মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন পিতা রাবিতে চারুকলায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন ও কুশপুত্তলিকা দাহ লোকসানের ঝুঁকিতেও দুর্গাপুরে আলু চাষ দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, সততা ও জনগণের আস্থা অর্জনের আহ্বান জানালেন-পুলিশ সুপার নিয়ামতপুরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত কোরআনে বর্ণিত হজরত ঈসা (আ.)-এর ৭ মুজিজা

তানোরে গো-খাদ্যর সংকট বিপাকে গৃহস্থ-খামারি

  • আপলোড সময় : ০৩-১১-২০২৫ ০২:০২:১৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-১১-২০২৫ ০২:০২:১৩ অপরাহ্ন
তানোরে গো-খাদ্যর সংকট বিপাকে গৃহস্থ-খামারি ফাইল ফটো
রাজশাহীর তানোরে গবাদিপশু খাদ্যর (খড়) তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকেরা নির্ভর করছে কচুরিপানা ও ঘাষের ওপর। তবে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে অকাল বন্য। গত ২৯ অক্টোবর বুধবার থেকে ৩১ অক্টোবর শুক্রবার রাতে স্মরণকালের ভয়াবহ ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে, অকাল বন্য ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টির ফলে,গোচারণভূমি ও ফসলের মাঠ ডুবে যাওয়ায় জমির আইল থেকে ঘাস কাটতে পারছে না।এতে গোখাদ্যর সংকট আরো প্রকট হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, বর্তমান সময় খড়ের কেজি ও আঁটির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ কৃষকের পক্ষে তা কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে। মেশিনে কাটা এক কেজি খড় বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ফলে গরুর জন্য সহজলভ্য খাবার হিসেবে কচুরিপানা (দল) কেটে ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে অকাল বন্যার কারণে সেটাও বন্ধের পথে।

তানোরের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা মাঠ ও পুকুর-ডোবা থেকে কচুরিপানা (দল) সংগ্রহ করছেন। কেউ বাঁশ বা লাঠির সাহায্যে পানির ভেতর থেকে টেনে তুলছেন, আবার কেউ নৌকা ব্যবহার করছেন। কৃষকদের মতে, কচুরিপানা (দল) গরুর জন্য খুব একটা পুষ্টিকর খাবার নয়, তবে খড়ের চড়া দামের কারণে বিকল্প হিসেবে এটি একমাত্র ভরসা।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল ও আয়ুব বলেন, “আগে খড়ই ছিল গরুর প্রধান খাবার। কিন্তু এখন ১৪ হাজার টাকা কাউন ও মেশিনে কাটা খড় ৩০ টাকা কেজি। এত দামে আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। তাই কচুরিপানাই (দল) ভরসা।”

কৃষকরা জানান, খড়ের সংকট অব্যাহত থাকলে গরু মোটাতাজাকরণ ও কৃষি কাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তারা সরকারের কাছে খড়ের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং বিকল্প পশুখাদ্য সহজলভ্য করার দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ বন্যায় আধাপাকা আমণখেত পানির নিচে।আবার গো-খাদ্যর অন্যতম উৎস্য ঘাস নষ্ট। অন্যদিকে টি-আমণ ধান কিছুটা আধা পাকা অবস্থায় হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে কাটা মাড়াই করায় গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দেয়। কিছু কিছু এলাকায় খড় পাওয়া গেলেও প্রান্তিক গবাদিপশু পালনকারীদের হাতের নাগালে নেই দাম। বাজারে বিক্রি করা গো-খাদ্যের দামও আকাশচুম্বী। যার ফলে প্রান্তিক গবাদিপশু পালনকারী গৃহস্থরা পড়েছেন চরম বিপাকে। গবাদিপশু (গরু) বাঁচিয়ে রাখতে তারা বাড়ির পাশের খাল, বিল ডোবায় জন্মানো কচুরিপানা দল তুলছেন। গো-খাদ্য হিসেবে কচুরিপানাই এখন তাদের শেষ ভরসা। কেউ কেউ নিজেদের বাড়ির কাছাকাছি কচুরিপানা না পেয়ে রিকশাভ্যান ভাড়া করে কেউবা পায়ে হেঁটেই দূর-দূরান্ত থেকে সংগ্রহ করছেন কচুরিপানা। অনেক খামারিও গো-খাদ্য সংকটের কারণে শ্রমিক দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে কচুরিপানা(দল)সংগ্রহ করছেন।

গ্রামীণ জনপদে কচুরিপানার এ ব্যবহার নতুন কিছু নয়, তবে এবার খড়ের অস্বাভাবিক দামের কারণে তা গরুর প্রধান খাবারে পরিণত হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা(এএও) আকবর হোসেন বলেন, কচুরিপানা (দল) একধরনের বহুবর্ষজীবী ভাসমান উদ্ভিদ।  উদ্ভিদটি গো-খাদ্যের চাহিদা মেটানোসহ নানাবিধ কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে কৃষিতাত্ত্বিকভাবে বিবেচনা করলে এটি একটি আগাছা। কচুরিপানা খুব দ্রুত বংশবিস্তার করে। এজন্য নিচু ফসলি জমিতে বিশেষ করে ধানের জমিতে এই উদ্ভিদকে আগাছা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গো-খাদ্য হিসেবে কচুরিপানা  ব্যবহৃত হচ্ছে। এর ফলে এক দিকে যেমন নিচু ফসলি জমিতে কচুরিপানা নিয়ন্ত্রণে থাকবে অন্যদিকে গো-খাদ্যের চাহিদাও মিটবে।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ওয়াজেদ আলী বলেন, শুধু কচুরিপানার ওপর নির্ভর করে গবাদিপশু লালন পালন করা অত্যন্ত কষ্টের। তবে এ মৌসুমে খাল-বিলে প্রচুর কচুরিপানা পাওয়া যাচ্ছে। এতে গবাদিপশু পালনকারীদের জন্য উপকার হয়েছে। তবে কচুরিপানা গরু বা মহিষকে খাওয়ানোর পূর্বে রোদে শুকিয়ে খড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো ভালো।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Admin News

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
পবার পর নিয়ামতপুরে ৬ শতাধিক গাছ কেটেছে দুর্বৃত্তরা

পবার পর নিয়ামতপুরে ৬ শতাধিক গাছ কেটেছে দুর্বৃত্তরা