নরসিংদীর রায়পুরায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন চাচার হাতে দুই ভাই নির্মমভাবে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার চরসুবুদ্ধি গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন চরসুবুদ্ধি গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে ফুরা মিয়া (৪০) ও শাকিল মিয়া (২৫), ফুরা মিয়া পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাড়ির মাত্র এক শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাচা আউয়াল মিয়ার সঙ্গে নিহতদের পরিবারের বিরোধ চলছিল। নিহতদের বাবা আবু তাহের প্রায় ২০ বছর আগে তার ভাই আউয়ালের কাছ থেকে ১৭০০ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকার সূত্র ধরে আউয়াল মিয়া ওই জমি দাবি করে আসছিলেন এবং একটি জাল দলিলও তৈরি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতদের পরিবার জানায়, শনিবার সকালে ফুরা মিয়া ও শাকিল বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণের জন্য খুঁটি গাড়তে গেলে চাচা আউয়াল মিয়া বাধা দেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে আউয়াল মিয়া, তার ছেলে শিপন, রিপন এবং মেয়ে শাহানা, আজিনা, আছমা, সুমাইয়াসহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র, দা ও লাঠিসোটা নিয়ে ফুরা মিয়াদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ফুরা মিয়া ও তার ভাই শাকিল বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
হামলায় ফুরা মিয়া ও শাকিলসহ চারজন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফুরা মিয়া ও শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলায় আহত মনিরা বেগম নামে এক নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরিদা গুলশান আরা জানান, বেলা পৌনে ১টার দিকে আহতদের হাসপাতালে আনা হয়, কিন্তু ফুরা মিয়া ও শাকিল হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
খবর পেয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার ও রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আদিল মাহমুদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওসি আদিল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার চরসুবুদ্ধি গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন চরসুবুদ্ধি গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে ফুরা মিয়া (৪০) ও শাকিল মিয়া (২৫), ফুরা মিয়া পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাড়ির মাত্র এক শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাচা আউয়াল মিয়ার সঙ্গে নিহতদের পরিবারের বিরোধ চলছিল। নিহতদের বাবা আবু তাহের প্রায় ২০ বছর আগে তার ভাই আউয়ালের কাছ থেকে ১৭০০ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকার সূত্র ধরে আউয়াল মিয়া ওই জমি দাবি করে আসছিলেন এবং একটি জাল দলিলও তৈরি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতদের পরিবার জানায়, শনিবার সকালে ফুরা মিয়া ও শাকিল বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণের জন্য খুঁটি গাড়তে গেলে চাচা আউয়াল মিয়া বাধা দেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে আউয়াল মিয়া, তার ছেলে শিপন, রিপন এবং মেয়ে শাহানা, আজিনা, আছমা, সুমাইয়াসহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র, দা ও লাঠিসোটা নিয়ে ফুরা মিয়াদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ফুরা মিয়া ও তার ভাই শাকিল বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
হামলায় ফুরা মিয়া ও শাকিলসহ চারজন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফুরা মিয়া ও শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলায় আহত মনিরা বেগম নামে এক নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরিদা গুলশান আরা জানান, বেলা পৌনে ১টার দিকে আহতদের হাসপাতালে আনা হয়, কিন্তু ফুরা মিয়া ও শাকিল হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
খবর পেয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার ও রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আদিল মাহমুদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওসি আদিল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতিনিধি :