ব্রাজিলে মাদক ব্যবসা দমনে পুলিশি অভিযানে মৃত্যু হয়েছে ১২১ জনের। রিও ডি জেনেইরোতে সংগঠিত মাদক চক্রের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষে গুলি চলে। এই ঘটনায় চারজন পুলিশ কর্মীরও মৃত্যু হয়। পুলিশের মৃত্যুতে গণহত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ব্রাজিলের রাজধানীতে বিরাট বিক্ষোভ হয়। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদক চক্রের বিরুদ্ধে একটি সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। তাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ শুরু হয়। এরা ব্রাজিলের সংগঠিত অপরাধ চক্রের দলবল।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোর মাদক চক্রের সর্ববৃহৎ গ্যাংয়ের নাম হল- কমান্ডো ভারমেলহো বা রেড কমান্ডো। এই গ্যাংয়েরই কবজায় রয়েছে বিশাল মাদক ব্যবসা। কিন্তু, একদিনে এইভাবে পুলিশের গুলিতে ১২১ জনে মৃত্যুর আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াও পড়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ ব্রাজিলের এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার পুলিশ রিও ডি জেনেইরোতে রেড কমান্ডো গোষ্ঠীকে উঠেপড়ে লাগে। এই কাজে তারা হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া গাড়ি ও প্রচুর পুলিশকে রাস্তায় নামায়। অভিযান চলাকালীন গুলিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। রাস্তাঘাট তখন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারিতে মুহূর্তে ঝাঁপ পড়ে যায়। প্রতিটি গলি থেকে আসতে থাকে গুলির শব্দ। রিও ডি জেনেইরোর গভর্নর একে যুদ্ধের শুরু বলে ব্যাখ্যা করেন।
রিও পুলিশ জানিয়েছে, ১২১ জনের নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চার পুলিশ রয়েছেন। তবে বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ১৩২-র বেশি। রিওরও এক পুলিশ কর্তার কথায়, এরকম ঘটনা ঘটবে জানা থাকলেও তা আকাঙ্ক্ষিত নয়। পুলিশি অন্যায়ের কোনও অভিযোগ থাকলে তার তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এই গণহত্যার জন্য ব্রাজিল সরকারের ভিতরেও নাড়চাড়া পড়ে গিয়েছে। দেশের বিচারমন্ত্রী এই ঘটনার সমালোচনায় বলেন, এটা নৃশংস ক্ষমতা প্রদর্শনের নজির হয়ে থাকবে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভাও এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
মন্ত্রী আরও জানান, দেশের সরকারকে না জানিয়েই রিও পুলিশ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অনেক আগে থেকে গোয়েন্দাদের সাহায্য নিয়ে সুসংগঠিতভাবে অপারেশন চালানো যেত। প্রেসিডেন্ট লুলাও এই ঘটনার পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেন। তিনি একটি কমিটি গঠন করে রিওর গভর্নরের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্রাজিলের মানবাধিকার সংগঠনগুলি পুলিশের এই মারণ অভিযানকে গণহত্যা বলে বর্ণনা করেছে।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোর মাদক চক্রের সর্ববৃহৎ গ্যাংয়ের নাম হল- কমান্ডো ভারমেলহো বা রেড কমান্ডো। এই গ্যাংয়েরই কবজায় রয়েছে বিশাল মাদক ব্যবসা। কিন্তু, একদিনে এইভাবে পুলিশের গুলিতে ১২১ জনে মৃত্যুর আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াও পড়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ ব্রাজিলের এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার পুলিশ রিও ডি জেনেইরোতে রেড কমান্ডো গোষ্ঠীকে উঠেপড়ে লাগে। এই কাজে তারা হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া গাড়ি ও প্রচুর পুলিশকে রাস্তায় নামায়। অভিযান চলাকালীন গুলিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। রাস্তাঘাট তখন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারিতে মুহূর্তে ঝাঁপ পড়ে যায়। প্রতিটি গলি থেকে আসতে থাকে গুলির শব্দ। রিও ডি জেনেইরোর গভর্নর একে যুদ্ধের শুরু বলে ব্যাখ্যা করেন।
রিও পুলিশ জানিয়েছে, ১২১ জনের নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চার পুলিশ রয়েছেন। তবে বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ১৩২-র বেশি। রিওরও এক পুলিশ কর্তার কথায়, এরকম ঘটনা ঘটবে জানা থাকলেও তা আকাঙ্ক্ষিত নয়। পুলিশি অন্যায়ের কোনও অভিযোগ থাকলে তার তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এই গণহত্যার জন্য ব্রাজিল সরকারের ভিতরেও নাড়চাড়া পড়ে গিয়েছে। দেশের বিচারমন্ত্রী এই ঘটনার সমালোচনায় বলেন, এটা নৃশংস ক্ষমতা প্রদর্শনের নজির হয়ে থাকবে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভাও এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
মন্ত্রী আরও জানান, দেশের সরকারকে না জানিয়েই রিও পুলিশ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অনেক আগে থেকে গোয়েন্দাদের সাহায্য নিয়ে সুসংগঠিতভাবে অপারেশন চালানো যেত। প্রেসিডেন্ট লুলাও এই ঘটনার পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেন। তিনি একটি কমিটি গঠন করে রিওর গভর্নরের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্রাজিলের মানবাধিকার সংগঠনগুলি পুলিশের এই মারণ অভিযানকে গণহত্যা বলে বর্ণনা করেছে।
আন্তজার্তিক ডেস্ক