দীপাবলির কয়েকদিন ধরে মিষ্টি, ভাজাভুজি, এবং রাতভর পার্টিতে মেতে থাকার পর অনেকের শরীরই যেন 'রিসেট' চায়। আলো আর আনন্দের উৎসব শেষ হতেই হজমের গন্ডগোল, পেটভার, ক্লান্তি বা ভারী লাগা - এই উপসর্গগুলো এক এক করে দেখা দেয়। এই সময়েই প্রয়োজন 'পোস্ট-ফেস্টিভ্যাল ডিটক্স', যা শরীরে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে, শক্তি বাড়ায় এবং হজমক্ষমতা স্বাভাবিক করে।
উৎসবের পর শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে কেন?
সিকে বিড়লা হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন ডিরেক্টর মনীষা অরোরা বলেন, দীপাবলির সময় অতিরিক্ত মিষ্টি, ভাজা, এবং প্রসেসড খাবার খাওয়া মানেই তা সামলানো শরীরের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এসব খাবারে রিফাইনড কার্বোহাইড্রেট, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং পেটভার বা অস্বস্তি তৈরি করে।
তিনি আরও বলেন, “অতিরিক্ত চিনি খেলে রক্তে হঠাৎ করে গ্লুকোজের ওঠানামা শুরু হয়, যা ক্লান্তি ও ঘুমঘুম ভাব ডেকে আনে।” এছাড়া অতিরিক্ত চিনি ও ফ্যাট শরীরে ইনফ্লেমেশন তৈরি করে, আর নুন ও অ্যালকোহল ডিহাইড্রেশনের জন্য দায়ী, যা শরীরে ভার-ভাব আনে।
শরীর সারাতে কী খাবেন?
অ্যাস্টার হোয়াইটফিল্ড হাসপাতালের চিফ ডায়েটিশিয়ান বীণা ভি জানান, ডিটক্স ডায়েটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল হাইড্রেশন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোবায়োটিকস।
সকালের শুরুটা সঠিকভাবে করুন: লেবুর জল, নারকেল জল, দইয়ের ঘোল বা হার্বাল চা (আদা, গ্রিন টি, পিপারমিন্ট টি বা মৌরির চা বা ক্যামোমাইল চা)।
পাতাযুক্ত সবজি: পালং শাকের মতো নানারকম পাতাযুক্ত শাক যা লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
ক্রুসিফেরাস সবজি: ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি লিভারের প্রাকৃতিক ডিটক্স প্রক্রিয়া বাড়ায়।
ভাল ফ্যাট ও প্রোটিন: অ্যাভোকাডো, বাদাম, সিডস ও মাছ।
বিটরুট: প্রাকৃতিক লিভার ডিটক্স ফুড।
হোল গ্রেইন: ওটস, ব্রাউন রাইস ডাইজেস্টিভ সিস্টেম ভাল রাখে।
প্রোবায়োটিকস: দই, ঘোল এবং ফারমেন্টেড আচার ভাল ব্যাকটেরিয়া ফিরিয়ে আনে। প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিক (যেমন রসুন, পেঁয়াজ, কলা, ওটস) একসঙ্গে হজমে সাহায্য করে ও পেটভার কমায়। নানারকম খাবারের অত্যাচারের পর পেটকে শান্ত করে।
তাজা ফল: লেবু, কমলা, আপেল, বেরি খান, তা ফাইবার ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
মশলা ও নানারকম হার্বস: আদা, হলুদ, রসুন ও দারচিনি - ডিটক্স প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখে।
জলই সবচেয়ে বড় ডিটক্স
ডাঃ অরোরা বলেন, “যথেষ্ট জল খাওয়াই শরীরের সবচেয়ে প্রাকৃতিক ডিটক্স উপায়। কিডনি ও লিভার কার্যকরভাবে টক্সিন বের করে দেয় যদি শরীর হাইড্রেটেড থাকে।”
প্রতিদিন ৮–১০ গ্লাস জল, নারকেল জল বা লেবুর জল, এবং হারবাল টি ডায়েটে রাখুন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর খাবার
অতিরিক্ত খাবার, ধোঁয়াধুলো ও রাত জাগা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায়। ভিটামিন সি, ই, বিটা-ক্যারোটিন ও পলিফেনলসমৃদ্ধ খাবার এই স্ট্রেস কমিয়ে শক্তি ফিরিয়ে আনে।
কতদিনে শরীর রিসেট হয়?
বীণা বলেন, “শরীর প্রতিনিয়ত নিজে থেকেই ডিটক্স করে। তবে নিয়মিত সঠিক খাবার, জল ও ঘুমের অভ্যাস রাখলে ২–৩ সপ্তাহের মধ্যেই ফল বোঝা যায়।”
তিনি সতর্ক করেন, ক্র্যাশ ডিটক্স বা অতিরিক্ত উপোস বিপজ্জনক হতে পারে। বরং ধীরেসুস্থে শরীরকে বিশ্রাম দিন।
ডিটক্স মানে কঠোর ডায়েট নয়, এটি আপনার শরীরকে আবার ভারসাম্যে ফেরানোর এক কার্যকর প্রক্রিয়া। শরীর ও মনকে রিফ্রেশ করতে সামান্য ডিসিপ্লিন, সচেতন খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত জল খাওয়াই যথেষ্ট।
উৎসবের পর শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে কেন?
সিকে বিড়লা হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন ডিরেক্টর মনীষা অরোরা বলেন, দীপাবলির সময় অতিরিক্ত মিষ্টি, ভাজা, এবং প্রসেসড খাবার খাওয়া মানেই তা সামলানো শরীরের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এসব খাবারে রিফাইনড কার্বোহাইড্রেট, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং পেটভার বা অস্বস্তি তৈরি করে।
তিনি আরও বলেন, “অতিরিক্ত চিনি খেলে রক্তে হঠাৎ করে গ্লুকোজের ওঠানামা শুরু হয়, যা ক্লান্তি ও ঘুমঘুম ভাব ডেকে আনে।” এছাড়া অতিরিক্ত চিনি ও ফ্যাট শরীরে ইনফ্লেমেশন তৈরি করে, আর নুন ও অ্যালকোহল ডিহাইড্রেশনের জন্য দায়ী, যা শরীরে ভার-ভাব আনে।
শরীর সারাতে কী খাবেন?
অ্যাস্টার হোয়াইটফিল্ড হাসপাতালের চিফ ডায়েটিশিয়ান বীণা ভি জানান, ডিটক্স ডায়েটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল হাইড্রেশন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোবায়োটিকস।
সকালের শুরুটা সঠিকভাবে করুন: লেবুর জল, নারকেল জল, দইয়ের ঘোল বা হার্বাল চা (আদা, গ্রিন টি, পিপারমিন্ট টি বা মৌরির চা বা ক্যামোমাইল চা)।
পাতাযুক্ত সবজি: পালং শাকের মতো নানারকম পাতাযুক্ত শাক যা লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
ক্রুসিফেরাস সবজি: ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি লিভারের প্রাকৃতিক ডিটক্স প্রক্রিয়া বাড়ায়।
ভাল ফ্যাট ও প্রোটিন: অ্যাভোকাডো, বাদাম, সিডস ও মাছ।
বিটরুট: প্রাকৃতিক লিভার ডিটক্স ফুড।
হোল গ্রেইন: ওটস, ব্রাউন রাইস ডাইজেস্টিভ সিস্টেম ভাল রাখে।
প্রোবায়োটিকস: দই, ঘোল এবং ফারমেন্টেড আচার ভাল ব্যাকটেরিয়া ফিরিয়ে আনে। প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিক (যেমন রসুন, পেঁয়াজ, কলা, ওটস) একসঙ্গে হজমে সাহায্য করে ও পেটভার কমায়। নানারকম খাবারের অত্যাচারের পর পেটকে শান্ত করে।
তাজা ফল: লেবু, কমলা, আপেল, বেরি খান, তা ফাইবার ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
মশলা ও নানারকম হার্বস: আদা, হলুদ, রসুন ও দারচিনি - ডিটক্স প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখে।
জলই সবচেয়ে বড় ডিটক্স
ডাঃ অরোরা বলেন, “যথেষ্ট জল খাওয়াই শরীরের সবচেয়ে প্রাকৃতিক ডিটক্স উপায়। কিডনি ও লিভার কার্যকরভাবে টক্সিন বের করে দেয় যদি শরীর হাইড্রেটেড থাকে।”
প্রতিদিন ৮–১০ গ্লাস জল, নারকেল জল বা লেবুর জল, এবং হারবাল টি ডায়েটে রাখুন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর খাবার
অতিরিক্ত খাবার, ধোঁয়াধুলো ও রাত জাগা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায়। ভিটামিন সি, ই, বিটা-ক্যারোটিন ও পলিফেনলসমৃদ্ধ খাবার এই স্ট্রেস কমিয়ে শক্তি ফিরিয়ে আনে।
কতদিনে শরীর রিসেট হয়?
বীণা বলেন, “শরীর প্রতিনিয়ত নিজে থেকেই ডিটক্স করে। তবে নিয়মিত সঠিক খাবার, জল ও ঘুমের অভ্যাস রাখলে ২–৩ সপ্তাহের মধ্যেই ফল বোঝা যায়।”
তিনি সতর্ক করেন, ক্র্যাশ ডিটক্স বা অতিরিক্ত উপোস বিপজ্জনক হতে পারে। বরং ধীরেসুস্থে শরীরকে বিশ্রাম দিন।
ডিটক্স মানে কঠোর ডায়েট নয়, এটি আপনার শরীরকে আবার ভারসাম্যে ফেরানোর এক কার্যকর প্রক্রিয়া। শরীর ও মনকে রিফ্রেশ করতে সামান্য ডিসিপ্লিন, সচেতন খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত জল খাওয়াই যথেষ্ট।