ঢাকা , শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ , ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজশাহীতে সাপে কাটা বৃদ্ধিমূখী: র‌্যামেক এ চালু হতে যাচ্ছে দেশসেরা স্নেক-বাইট ওয়ার্ড নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর 'বিসমিল্লায় ভুল' রাণীনগরে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল বিনষ্ট সিরাজগঞ্জে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ! গ্রেপ্তার ধর্ষক নাইম বাল্যবিয়ে ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সভা গুরুদাসপুরে আর্থিক স্বাক্ষরতা কর্মসূচি পালিত সবাই বলতো আমার স্তন নেই, মসৃণ বুক: অনন্যা পাণ্ডে ‘কৃত্রিম বাধা’র মাধ্যমে গাজা শান্তি পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে চায় ইসরায়েল সিরাজগঞ্জে বাড়ছে এইডস রোগী, ২৬ জনের মৃত্যু ১৫ সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী হিসেবে থাকবেন না ব্যারিস্টার সরোয়ার হাসিনার বিচার না হলে জুলাই শহীদদের ওপর অবিচার হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির ১০ বছর পর মিরপুরে উদ্বোধনী জুটিতে শতরান বাংলাদেশের নরসিংদীতে পেট্রোল ঢেলে স্ত্রী-সন্তানের গায়ে আগুন, দগ্ধ ৫ সুস্থ ও নেক সন্তান লাভের ৪ দোয়া সহজ কিছু ডিটক্স টিপসে শরীর থাকবে ঝরঝরে বেটার কোয়ালিটির ভিডিও দিচ্ছি একটু পরেই: চমক পাবনায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০ সহমর্মিতার গুণ অর্জন করবেন যেভাবে মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় অস্থির? মাত্র ১৫ মিনিটে মিলবে উপশম

মহানবীর (সা.) পরে যেভাবে কোরআন সংরক্ষণ করা হয়

  • আপলোড সময় : ২২-১০-২০২৫ ০৪:৪৭:৪৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-১০-২০২৫ ০৪:৪৭:৪৫ অপরাহ্ন
মহানবীর (সা.) পরে যেভাবে কোরআন সংরক্ষণ করা হয় প্রতিকী ছবি
মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকালের পর সাহাবায়ে কিরাম আল্লাহর বাণী কোরআনকে কীভাবে সংরক্ষণ ও একত্র করেছিলেন সে ইতিহাস আজও ইসলামী ঐতিহ্যের গৌরবময় অধ্যায়। কোরআন সংরক্ষণের এই প্রক্রিয়া ছিল একদিকে মানবিক প্রজ্ঞা, অন্যদিকে ঐশী প্রেরণার অনন্য উদাহরণ।

নবীজির সময়ে কোরআন যেভাবে সংরক্ষিত ছিল
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকালের সময় ওহীর সব অংশই সাহাবিদের কাছে ছিল, কেউ লিখে রেখেছিলেন, আবার কেউ মুখস্থ করেছিলেন। সেই সময় কোরআনের আয়াতগুলো আলাদা আলাদা লেখার উপকরণে সংরক্ষিত ছিল। যেমন, চামড়া, হাড়ের টুকরা বা খেজুর পাতায় লেখা ছিল।

সাহাবিরা শুধু আয়াত নয়, সূরাগুলোর ক্রমও মুখস্থ রেখেছিলেন। অর্থাৎ কোরআন একদিকে লিখিত ছিল, অন্যদিকে মানুষের হৃদয়ে সংরক্ষিত ছিল।

আবু বকর (রা.)-এর উদ্যোগে কোরআন সংকলন
নবীজির ইন্তেকালের কিছুদিন পর খলিফা আবু বকর (রা.)-এর সময়  ইয়ামামার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সে যুদ্ধে বহু হাফেজ সাহাবি শহিদ হন। এতে আশঙ্কা দেখা দেয় যে, যদি লিখিত আকারে কোরআন একত্র না করা হয়, তবে ভবিষ্যতে এর কিছু অংশ হারিয়ে যেতে পারে।

ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বিষয়টি আবু বকর (রা.)-এর কাছে উত্থাপন করেন। শুরুতে আবু বকর (রা.) দ্বিধায় ছিলেন যে, নবীজির জীবদ্দশায় যা করা হয়নি, তা করা কি ঠিক হবে? কিন্তু পরে তিনিও উপলব্ধি করেন, এটি কল্যাণকর কাজ।

তিনি নবীজির ওহী লেখক জায়েদ ইবন সাবিত (রা.)-কে দায়িত্ব দেন কোরআনের সব অংশ সংগ্রহ করার জন্য।

কোরআন সংগ্রহের কঠিন ও পবিত্র কাজ
জায়েদ ইবন সাবিত (রা.) পরে বলেন, ‘আল্লাহর কসম, যদি আবু বকর (রা.) আমাকে কোনো পাহাড় সরাতে বলতেন, সেটিও আমার কাছে সহজ লাগত—এই দায়িত্বের তুলনায়।’

তিনি খেজুর পাতার ডাঁটি, চামড়া, কাঁধের হাড়সহ বিভিন্ন উপকরণে লেখা আয়াত এবং হাফেজদের মুখস্থ অংশ মিলিয়ে কোরআনের সব আয়াত সংগ্রহ করেন।

তিনি জানান, সূরা আত-তাওবার শেষের দুই আয়াত তিনি শুধু খুজাইমা ইবনে সাবিত (রা.)-এর কাছেই পান। 

সংগ্রহ শেষে কোরআনের এই লিখিত পাণ্ডুলিপি ‘সুহুফ’ নামে পরিচিত হয়। এটি প্রথমে আবু বকর (রা.)-এর কাছে থাকে, তার ইন্তেকালের পর ওমর (রা.)-এর হাতে যায়। এবং পরে ওমর (রা.)-এর কন্যা হাফসা (রা.)-এর কাছে সংরক্ষিত হয়।

‘সুহুফ’ থেকে ‘মুসহাফ’
আরবি শব্দ ‘সুহুফ’ (একবচন : সাহিফা) অর্থ আলাদা আলাদা পাতায় লেখা অংশ। আর ‘মুসহাফ’ অর্থ সব ‘সুহুফ’ একত্র করে বাঁধাই করা একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ।

খলিফা উসমান ইবনে আফফান (রা.)-এর সময় কোরআনকে সেই রূপেই একীভূত ও মানসম্মত করা হয়, যাতে আয়াত ও সূরার ক্রম একই থাকে, এবং তা পুরো মুসলিম উম্মাহর জন্য আদর্শ প্রতিলিপি হয়ে ওঠে।

কোরআন সংরক্ষণের অনন্যতা
কোরআনের ইতিহাস অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বাইবেল বা তাওরাত শতাব্দীব্যাপী সম্পাদনা ও সংকলনের মাধ্যমে গঠিত হলেও কোরআন ওহী শেষ হওয়ার পর থেকেই অপরিবর্তিত রয়েছে, চৌদ্দ শতাব্দী পেরিয়ে আজও এক অক্ষরও বদলায়নি

সংকলনের তিন ধাপ
ইসলামী ইতিহাসবিদ আহমাদ ভন ডেনফার এই প্রক্রিয়াটিকে তিনটি ধাপে ব্যাখ্যা করেছেন

১️. আবু বকর (রা.)-এর নির্দেশে জায়েদ ইবন সাবিত (রা.) কোরআনের সব অংশ সংগ্রহ করেন।

২. লিখিত উপকরণ ও মুখস্থ সাহাবিদের বর্ণনা অনুযায়ী একত্রিত করে পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করা হয়।

৩️. পরবর্তীতে সংকলিত সেই ‘সুহুফ’ আবু বকর (রা.) থেকে ওমর (রা.)-এর কাছে, তারপর হাফসা (রা.)-এর কাছে সংরক্ষিত থাকে।

নবীজির ইন্তেকালের পর সাহাবায়ে কিরামের দূরদৃষ্টি, আল্লাহর তাওফিক ও মানবিক প্রজ্ঞার মিলিত ফসলই আজকের পবিত্র কোরআন। তাদের প্রচেষ্টাতেই মানবজাতি পেয়েছে এক অবিনাশী, অপরিবর্তিত ঐশী বাণী, যা আজও ঠিক তেমনি রয়েছে, যেমনটি নবীজির হৃদয়ে নাজিল হয়েছিল।

সূত্র :  অ্যাবাউট ইসলাম

নিউজটি আপডেট করেছেন : Admin News

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
সবুজ জ্বালানি নির্ভর খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবিতে রাজশাহীতে জনসমাবেশ

সবুজ জ্বালানি নির্ভর খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবিতে রাজশাহীতে জনসমাবেশ