ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কোথায় রাখা হবে, সে সিদ্ধান্ত কারা কর্তৃপক্ষের বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। বুধবার অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তাদেরকে কাস্টডিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মানে হলো, কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে তারা চলে যাবেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কোথায় রাখবেন—জেলে রাখবেন না সাবজেলে রাখবেন, ঢাকায় রাখবেন না চট্টগ্রামে পাঠাবেন, নাকি অন্য কোথাও রাখবেন—এটার অ্যাবসোলিউট অথরিটি কারা কর্তৃপক্ষের। হত্যা মামলার চারজন আসামির মধ্যে দুজন পলাতক আছেন। তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এর আগে, গুমের মামলায় অভিযুক্ত ১৩ সেনা কর্মকর্তা ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার ট্রাইব্যুনাল–১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে গুমের মামলায় পলাতক ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে. এম. আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ঢাকা সেনানিবাসের এমইএস ভবন নম্বর ৫৪–কে অস্থায়ী কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের এই ভবনেই রাখা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম–নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হয়েছে দুটি মামলা। আর জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় হয়েছে একটি মামলা। এসব মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাঁদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন সেনা হেফাজতে; আজ তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৮ অক্টোবর গুমের দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তাদেরকে কাস্টডিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মানে হলো, কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে তারা চলে যাবেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কোথায় রাখবেন—জেলে রাখবেন না সাবজেলে রাখবেন, ঢাকায় রাখবেন না চট্টগ্রামে পাঠাবেন, নাকি অন্য কোথাও রাখবেন—এটার অ্যাবসোলিউট অথরিটি কারা কর্তৃপক্ষের। হত্যা মামলার চারজন আসামির মধ্যে দুজন পলাতক আছেন। তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এর আগে, গুমের মামলায় অভিযুক্ত ১৩ সেনা কর্মকর্তা ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার ট্রাইব্যুনাল–১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে গুমের মামলায় পলাতক ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে. এম. আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ঢাকা সেনানিবাসের এমইএস ভবন নম্বর ৫৪–কে অস্থায়ী কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের এই ভবনেই রাখা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম–নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হয়েছে দুটি মামলা। আর জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় হয়েছে একটি মামলা। এসব মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাঁদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন সেনা হেফাজতে; আজ তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৮ অক্টোবর গুমের দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।