সরকারি চারটি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি দাঁড়িয়েছে দেড় লাখ কোটি টাকায়। ফলে বেসরকারি খাতের মতো সরকারি ব্যাংকেরও সম্পদ মূল্যায়ন করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার। এতে কারিগরি সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
বিগত কয়েক দশকে সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি মিলিয়ে ৬১টি তফসিলি ব্যাংকে প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকার আমানত থাকলেও এর চারভাগের এক ভাগ নানাভাবে লুটপাটে বেহাত হয়েছে ব্যাংক থেকেই।
এমন প্রেক্ষাপটে দুর্বল হয়ে পড়া ৫টি বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। আরও কয়েকটির চলছে অডিট কার্যক্রম। এই অনিয়মের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই সরকারি শীর্ষ ব্যাংকগুলো।
গত ডিসেম্বরে রাষ্ট্রের চার ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৩৩ হাজার ২৫ কোটি টাকা। জুনে তা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৩৬২ কোটি টাকায়। ছয় মাসের ব্যবধানে এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৩ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। এরমধ্যে সোনালী ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ১৯ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা। জনতা ব্যাংকে ৭২ হাজার ১০৭ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
এবার রাষ্ট্রীয় সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রুপালী এই চারটি ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়ন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। এতে কারিগরি সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। প্রাথমিকভাবে সরকারি চারটি ব্যাংকের সম্পদের অবস্থা পর্যালোচনা করলেও এসবের মধ্যে কোনো ব্যাংক একীভূত বা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে সব সম্ভব নয়। ব্যাংকগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকারকে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারি ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়ন করব। এতে বিশ্বব্যাংক কারিগরি সহায়তা দেবে। সম্পদ মূল্যায়ন করা হবে প্রফেশনাল অডিট ফার্ম দিয়ে। এতে কয়েকমাস সময় লাগবে।
তবে অনিয়মে দিশাহারা বেসিক ও পদ্মা ব্যাংক নিয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নেই অন্তর্বর্তী সরকারের।
বিগত কয়েক দশকে সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি মিলিয়ে ৬১টি তফসিলি ব্যাংকে প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকার আমানত থাকলেও এর চারভাগের এক ভাগ নানাভাবে লুটপাটে বেহাত হয়েছে ব্যাংক থেকেই।
এমন প্রেক্ষাপটে দুর্বল হয়ে পড়া ৫টি বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। আরও কয়েকটির চলছে অডিট কার্যক্রম। এই অনিয়মের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই সরকারি শীর্ষ ব্যাংকগুলো।
গত ডিসেম্বরে রাষ্ট্রের চার ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৩৩ হাজার ২৫ কোটি টাকা। জুনে তা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৩৬২ কোটি টাকায়। ছয় মাসের ব্যবধানে এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৩ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। এরমধ্যে সোনালী ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ১৯ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা। জনতা ব্যাংকে ৭২ হাজার ১০৭ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
এবার রাষ্ট্রীয় সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রুপালী এই চারটি ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়ন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। এতে কারিগরি সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। প্রাথমিকভাবে সরকারি চারটি ব্যাংকের সম্পদের অবস্থা পর্যালোচনা করলেও এসবের মধ্যে কোনো ব্যাংক একীভূত বা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে সব সম্ভব নয়। ব্যাংকগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকারকে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারি ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়ন করব। এতে বিশ্বব্যাংক কারিগরি সহায়তা দেবে। সম্পদ মূল্যায়ন করা হবে প্রফেশনাল অডিট ফার্ম দিয়ে। এতে কয়েকমাস সময় লাগবে।
তবে অনিয়মে দিশাহারা বেসিক ও পদ্মা ব্যাংক নিয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নেই অন্তর্বর্তী সরকারের।