তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা এবং তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে ‘তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’ ব্যানারে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস।
মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক গণজমায়েত ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন কর্মস‚চির আয়োজন করে।
বিকেল ৫টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা দাবি মোদের একটাই, তিস্তা নদীর পানি চাই, জাগো বাহে কণ্ঠে সবাই, ইত্যাদি ¯েøাগানে মুখর করে তোলেন। গানের মাধ্যমেও তারা তাদের দাবি তুলে ধরেন এবং প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাকে বেছে নেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, তিস্তার পানি বন্টনে ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল আজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে, আবার বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়ায় বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই বলে তারা মনে করেন শিক্ষার্থীরা।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, আমরা তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা চাই। সেটা হোক তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে, উঁচু বাঁধ নির্মাণ করে বা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে আমাদের দাবি একটাই, তিস্তা নদীর পানি চাই।
নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী স্বায়ন্তী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের খরস্রোতা তিস্তা আজ মরুভ‚মিতে পরিণত হয়েছে। যখন পানির প্রয়োজন নেই তখন আমাদের পানি দিয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছে, আর যখন পানির দরকার সবচেয়ে বেশি তখনই পানির স্রোত আটকে দিচ্ছে। আমাদের ন্যায্য হিস্যা ফিরিয়ে দিতে হবে।
সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি ফাহিম রেজা ভারতের সাথে করা তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়নের সমালোচনা করে বলেন, তিস্তা আমাদের প্রাণের দাবি ও অস্তিত্বের অংশ। অথচ ভারতের সঙ্গে করা তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন হয়নি, প্রতিশ্রæতিতে কিছুই আমরা পাইনি। তিনি দেশের স্বার্থবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করে নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তিনি আরও যোগ করেন, তিস্তা প্রকল্প ও চীনের সঙ্গে করা চুক্তি দ্রæত বাস্তবায়ন করলে উত্তরবঙ্গের কৃষি, পরিবেশ ও মানুষের জীবনযাত্রায় টেকসই পরিবর্তন আসবে।
এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারাও বক্তব্য রাখেন। শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, বাইরের কেউ এসে আমাদের পানি সম্পদ ও নদী নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করলে তা কখনই মেনে নেওয়া হবে না। তিনি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষক ও কৃষির স্বার্থে সকল চুক্তি পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শেখ নূর উদ্দীন আবীর বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে এই বাংলাদেশ আর পূর্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নেই। এই দেশ এখন সম্পূর্ণভাবে জেন-জি এর বাংলাদেশ। আমরা কোনো ধরনের আধিপত্য বা বড় ভাই সুলভ আচরণ মেনে নেব না এবং সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করব।
শিক্ষার্থীদের এই স্বতঃস্ফ‚র্ত আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নবনির্বাচিত ভিপি, জিএস ও এজিএসসহ কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। তাদের উপস্থিতি আন্দোলনকে আরও অনুপ্রাণিত করে।
মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক গণজমায়েত ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন কর্মস‚চির আয়োজন করে।
বিকেল ৫টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা দাবি মোদের একটাই, তিস্তা নদীর পানি চাই, জাগো বাহে কণ্ঠে সবাই, ইত্যাদি ¯েøাগানে মুখর করে তোলেন। গানের মাধ্যমেও তারা তাদের দাবি তুলে ধরেন এবং প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাকে বেছে নেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, তিস্তার পানি বন্টনে ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল আজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে, আবার বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়ায় বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই বলে তারা মনে করেন শিক্ষার্থীরা।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, আমরা তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা চাই। সেটা হোক তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে, উঁচু বাঁধ নির্মাণ করে বা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে আমাদের দাবি একটাই, তিস্তা নদীর পানি চাই।
নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী স্বায়ন্তী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের খরস্রোতা তিস্তা আজ মরুভ‚মিতে পরিণত হয়েছে। যখন পানির প্রয়োজন নেই তখন আমাদের পানি দিয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছে, আর যখন পানির দরকার সবচেয়ে বেশি তখনই পানির স্রোত আটকে দিচ্ছে। আমাদের ন্যায্য হিস্যা ফিরিয়ে দিতে হবে।
সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি ফাহিম রেজা ভারতের সাথে করা তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়নের সমালোচনা করে বলেন, তিস্তা আমাদের প্রাণের দাবি ও অস্তিত্বের অংশ। অথচ ভারতের সঙ্গে করা তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন হয়নি, প্রতিশ্রæতিতে কিছুই আমরা পাইনি। তিনি দেশের স্বার্থবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করে নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তিনি আরও যোগ করেন, তিস্তা প্রকল্প ও চীনের সঙ্গে করা চুক্তি দ্রæত বাস্তবায়ন করলে উত্তরবঙ্গের কৃষি, পরিবেশ ও মানুষের জীবনযাত্রায় টেকসই পরিবর্তন আসবে।
এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারাও বক্তব্য রাখেন। শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, বাইরের কেউ এসে আমাদের পানি সম্পদ ও নদী নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করলে তা কখনই মেনে নেওয়া হবে না। তিনি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষক ও কৃষির স্বার্থে সকল চুক্তি পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শেখ নূর উদ্দীন আবীর বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে এই বাংলাদেশ আর পূর্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নেই। এই দেশ এখন সম্পূর্ণভাবে জেন-জি এর বাংলাদেশ। আমরা কোনো ধরনের আধিপত্য বা বড় ভাই সুলভ আচরণ মেনে নেব না এবং সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করব।
শিক্ষার্থীদের এই স্বতঃস্ফ‚র্ত আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নবনির্বাচিত ভিপি, জিএস ও এজিএসসহ কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। তাদের উপস্থিতি আন্দোলনকে আরও অনুপ্রাণিত করে।