রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু এবং বিসিএস পরীক্ষায় টেকনিক্যাল ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন। এর আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই শাটডাউন চলবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সম্প্রতি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, যা আগে শুধুমাত্র চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। তারা এই পরিবর্তনকে বৈষম্যমূলক বলে শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপের জন্য ঢাকায় অবস্থান করতে হয়, ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। বিভাগ প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।
মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা রাখলেও বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানকে এখনও টেকনিক্যাল ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে সরকারি চাকরিতে তাদের সুযোগ সীমিত। শিক্ষার্থীরা এই বৈষম্যের অবসান চান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এনামুল হক মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং তার সময়েই শিক্ষক নিয়োগের নিয়ম পরিবর্তন করে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
সুমন আলী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল শুধু চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ও মাস্টার্স করা শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান আসার পর সেই শর্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।
ফারহানা জেবিন নামে আরেক শিক্ষার্থী ইন্টার্নশিপের কষ্টের কথা তুলে ধরে বলেন, ইন্টার্নশিপের জন্য আমাদের ঢাকায় থাকতে হয়। ভাতা না থাকায় আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য খরচ চালানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
কর্মসূচি চলাকালীন শিক্ষার্থীরা আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম, সাইকোলজির আধিপত্য, মানি না মানব না, এবং ‘ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর, বৈষম্য নো মোর ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে। এর আগে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বড় ধরনের আন্দোলন হয়েছিল, যার ফলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন। এর আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই শাটডাউন চলবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সম্প্রতি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, যা আগে শুধুমাত্র চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। তারা এই পরিবর্তনকে বৈষম্যমূলক বলে শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপের জন্য ঢাকায় অবস্থান করতে হয়, ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। বিভাগ প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।
মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা রাখলেও বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানকে এখনও টেকনিক্যাল ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে সরকারি চাকরিতে তাদের সুযোগ সীমিত। শিক্ষার্থীরা এই বৈষম্যের অবসান চান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এনামুল হক মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং তার সময়েই শিক্ষক নিয়োগের নিয়ম পরিবর্তন করে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
সুমন আলী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল শুধু চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ও মাস্টার্স করা শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান আসার পর সেই শর্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।
ফারহানা জেবিন নামে আরেক শিক্ষার্থী ইন্টার্নশিপের কষ্টের কথা তুলে ধরে বলেন, ইন্টার্নশিপের জন্য আমাদের ঢাকায় থাকতে হয়। ভাতা না থাকায় আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য খরচ চালানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
কর্মসূচি চলাকালীন শিক্ষার্থীরা আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম, সাইকোলজির আধিপত্য, মানি না মানব না, এবং ‘ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর, বৈষম্য নো মোর ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে। এর আগে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বড় ধরনের আন্দোলন হয়েছিল, যার ফলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে।