ঢাকা , সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ , ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শাহজালালের আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি আসছে রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলা বাড়ছে সময় ও পরিসর হত্যার পর মরদেহ ফেলা হচ্ছে নদীতে, ২২ মাসে মিলেছে ৭৩টিরও বেশি সবার শেষে জান্নাতে যাওয়া ব্যক্তিকে আল্লাহ যেভাবে পুরস্কৃত করবেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন সিনেমা ‘অন্তর্যামী’-তে ফিরছেন মাহিয়া মাহি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা মাউশির গাজা পুনর্গঠনে ৫০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন ৩ মাসের ব্যবধানে শ্বশুরবাড়িতে লাশ হলেন সুমী নবীজির (সা.) অন্তর প্রশান্ত হতো যে আমলে ফাইনালে হারের পর আর্জেন্টাইন যুবাদের পাশে মেসি, দিলেন আবেগঘন বার্তা অবশেষে জানা গেল জুবায়েদ হত্যার আসল কারণ নির্বাচন ঘিরে এআই ও ড্রোনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসির কর্মপরিকল্পনা থানায় মামলা করতে গেলে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওসি, আদালতে কাঁদলেন ভুক্তভোগী তরুণী গ্রেফতার করা হলো আলোচিত সেই বাংলাদেশি পর্ন তারকা যুগলকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে মানসম্মত পরিসংখ্যান অপরিহার্য: ড. ইউনূস কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মহাসমাবেশ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মরক্কো গেটাফেকে হারিয়ে লা লিগার শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ হংকংয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগরে পড়ল বিমান শাহজালালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

শাহজালালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

  • আপলোড সময় : ২০-১০-২০২৫ ০১:০৯:২৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-১০-২০২৫ ০১:০৯:২৬ অপরাহ্ন
শাহজালালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের (পণ্য রাখার স্থান) আগুন পুরোপুরি নিভেছে। প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর গতকাল রোববার বিকালে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস। এ দুর্ঘটনায় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার পণ্য-সরঞ্জাম পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে তৈরি পোশাক, ওষুধশিল্পের কাঁচামাল, কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। এতে অনেক ব্যবসায়ী পথে বসে গেছেন। গতকাল অনেক ব্যবসায়ী তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য এসেছিলেন বিমানবন্দরে। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। আগুনে পুড়ে যাওয়ায় অন্তত এক মাস রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। এতে বিদেশি অর্ডারগুলো বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

গতকাল সকালে বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশপথেই কড়াকড়ি আরোপ করেছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। শুধু বিদেশগামী এবং বিমানবন্দরে যাতায়াতের গাড়ি ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছিল পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী। ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ভেতরে কাজ করছিলেন। তখনো দুই পাশ থেকে পানি দিচ্ছিলেন তারা।

কয়েকজন ফায়ার ফাইটার বলেন, কার্গো ভিলেজের ভেতরে মিথেন গ্যাস আছে। এজন্য তারা অক্সিজেন নিয়ে কাজ করছিলেন। আগুন পুরো নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে আরো কদিন সময় লাগবে। এদিন বিমানবন্দরের সামনে অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা যায়। তবে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক আছে।

কার্গো ভিলেজের আট নম্বর ফটকের সামনে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, শনিবার দুপুর সোয়া ২টায় আগুন লাগে। প্রথমদিকে সামান্য ধোঁয়া বের হয়। ওই সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি । তাদের দাবি, যে আগুন ছিল, তা আধঘণ্টার মধ্যেই নেভানো সম্ভব ছিল। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এলেও অনুমতির জন্য অনেকক্ষণ তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। এর মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, যা পরবর্তী সময়ে আশপাশে গড়ায়। শুরুতে গুরুত্ব দিলে এমনটি হতো না।

কার্গো ভিলেজ-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পোশাকের স্যাম্পল (নমুনা) পুড়ে যাওয়ার কারণে রপ্তানিতে লিড টাইমে অন্তত এক মাস পিছিয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ। এখন আবার নতুন করে স্যাম্পল আনা, তৈরি এবং ব্র্যান্ড-ক্রেতাদের অনুমোদন নেওয়া পর্যন্ত অন্তত এক মাস সময়ের প্রয়োজন।

সূত্র জানায়, দুদিন শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি ছিল। এ দুদিনে উড়োজাহাজে যত পণ্য এসেছে, সেগুলো হস্তান্তরে কোনো কাজ হয়নি। আগুনে সবই পুড়ে গেছে। কুরিয়ার সার্ভিস সেকশন শেডের বাইরেও উড়োজাহাজ থেকে অনেক পণ্য নামিয়ে রাখা হয়েছিল। সেগুলোও ছাই হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকার পণ্য পুড়ে গেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম জানান, আগুনে সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

কার্গো ভিলেজে আট নম্বর গেটে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কথা জানা গেছে। স্কাইলাইন গেটে ছিল এর মজুত। সেখান থেকেই মূলত আগুন লাগে। পরে ধীরে ধীরে প্রথম গেট পর্যন্ত চলে আসে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাসায়নিক মজুতের যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা দরকার, তা করেনি বলে জানা গেছে।

এছাড়া দুই দশক পর বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটল শাহজালাল বিমানবন্দরে। আগুন প্রতিরোধে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির আবেদন করেও পাননি। শনিবার আগুন লাগার পর বিমানবন্দর ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি আগুন নেভাতে যায়। পরে অন্য স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এনে আগুন নির্বাপণ করা হয়। এতে দ্রুতই পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।

অগ্নিকাণ্ডে পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা বেশকিছু বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়ে গেছে। এগুলো গতকাল কার্গো ভিলেজ থেকে খালাস হওয়ার কথা ছিল। যে অংশে আগুন লেগেছিল, সেখানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়। রূপপুর প্রকল্পের জন্য রাশিয়া থেকে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আনা হয়। বিমানবন্দরে আমদানি পণ্য খালাসে সিঅ্যান্ডএফের কাজ করে মমতা ট্রেডিং কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

মমতা ট্রেডিংয়ের কর্মকর্তা সরকার বিপ্লব হোসাইন বলেন, ছয়দিন আগে রাশিয়া থেকে সাতটি শিপমেন্টে ১৮ টনের মতো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এসেছিল।

কার্গো ভিলেজে নিয়মিত আসা-যাওয়া করা কুইক এক্সপ্রেসের কর্মী সাঈদ বলেন, শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের রাসায়নিকের গুদামে প্রথম আগুন দেখতে পাই। কিছুক্ষণ পর দেখি ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি গাড়ি আসে। কিন্তু আট নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করতে পারছিল না সেসব গাড়ি। কী কারণে যেন গাড়িগুলো প্রায় আধঘণ্টার মতো দাঁড়িয়ে ছিল।

একটি কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আনোয়ার হোসেন বলেন, কার্গো ভিলেজে আমার প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাত টন পণ্য ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেছে বলে ধারণা করছি; কারণ এখনো কোনো কিছুর হদিস পাইনি। এতে আমাদের বহু ক্ষতি হয়েছে, যা কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে।

শনিবার রাতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আনসার বাহিনীর ২৫ সদস্যসহ ৩৫ জন আহত হন।

বিজিএমইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলে অনুমান তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতাদের। তারা বলেছেন, এ দুর্ঘটনায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খানের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি মিজানুর রহমান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ প্রমুখ। পরে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এগুলো হাইভেল্যু পণ্য। এগুলো আকাশপথে পাঠানো হয়। অগ্নিকাণ্ডের জন্য এগুলো পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া পণ্যের মধ্যে আছে পোশাক ও কাঁচামাল। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা করছি। সম্পূর্ণ আমদানি পণ্যের কার্গোটাই পুড়ে গেছে। উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও শিপমেন্টের কাজ চলবে। কোনো সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ক্যাপ্টেন হেলাল বলেন, আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশনের আইন (আইকা) অনুযায়ী সব বিমানবন্দরে যেকোনো উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ও ফায়ার ফাইটিংয়ের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সিভিল অ্যাভিয়েশনের কাজ। এজন্য সিভিল অ্যাভিয়েশনকে এয়ারলাইনস থেকে টাকা দেওয়া হয়। শাহজালালেই তো অনেকগুলো ইউনিট আছে; তাহলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের এত সময় লাগল কেন?

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রোববার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ২৭ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিভেছে। আমাদের চারটি ইউনিট এখানে অবস্থান করবে- যতক্ষণ পর্যন্ত এই ধোঁয়াগুলো থাকবে। তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই, কোনো আগুনের শিখা এখন আর নেই।

তিনি বলেন, শনিবার আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা একে একে ৩৭টি ইউনিট নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে শনিবার রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আমরা ৪টা ৫৫ মিনিটে (রোববার) আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ ঘোষণা করেছি।

তাজুল ইসলাম বলেন, কার্গো ভিলেজের যে অংশে আগুন লেগেছিল, প্রতিটি জায়গাতেই আসলে খোপ খোপ করে ভাগ করা ছিল এবং ভেতরে অনেকগুলো অংশ স্টিলের তৈরি। স্টিল স্ট্রাকচার দিয়ে একতলা থেকে দোতলা পর্যন্ত আছে; যার জন্য আমাদের আগুন নেভাতে এত সময় লেগেছে।

তার ভাষ্য অনুযায়ী, এখানে যদি অ্যাকটিভ অথবা প্যাসিভ, মানে আমাদের যেকোনো ধরনের ডিটেকশন সিস্টেম এবং তার সঙ্গে প্রোটেকশন সিস্টেম থাকত, তাহলে হয়তো এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত না। আমাদের তদন্ত করে বের করতে হবে আসলে কখন কীভাবে এই আগুনটা লাগে। ঘটনাস্থলে এখনো ধোঁয়া ওড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তাজুল বলেন, যেহেতু এখানে স্টিল স্ট্রাকচার ইস্যুটা অনেক বেশি, এটা অনেক হিট অ্যাবজর্ভ করেছে এবং হিট এখনো রিলিজ করছে। এজন্য ধোঁয়া কিছুটা দেখা যাচ্ছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Admin News

কমেন্ট বক্স
আসছে রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলা বাড়ছে সময় ও পরিসর

আসছে রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলা বাড়ছে সময় ও পরিসর