ঢাকা , সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ , ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চট্টগ্রামে আমেরিকান প্রবাসী হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বাবুল বড়ুয়া গ্রেপ্তার রাজশাহীর পদ্মায় বিলুপ্তপ্রায় মিঠাপানির কুমিরের বিস্ময়কর প্রত্যাবর্তন রাজশাহীতে বিউটি বেগম হত্যা মামলা: আসামী তারার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গাইবান্ধায় ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক বিশেষ কাজে বিশেষ মানুষদের জন্য উপাত্ত বেশি জরুরি - পরিসংখ্যান দিবসে বিভাগীয় কমিশনার শাহজালালের আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি আসছে রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলা বাড়ছে সময় ও পরিসর হত্যার পর মরদেহ ফেলা হচ্ছে নদীতে, ২২ মাসে মিলেছে ৭৩টিরও বেশি সবার শেষে জান্নাতে যাওয়া ব্যক্তিকে আল্লাহ যেভাবে পুরস্কৃত করবেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন সিনেমা ‘অন্তর্যামী’-তে ফিরছেন মাহিয়া মাহি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা মাউশির গাজা পুনর্গঠনে ৫০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন ৩ মাসের ব্যবধানে শ্বশুরবাড়িতে লাশ হলেন সুমী নবীজির (সা.) অন্তর প্রশান্ত হতো যে আমলে ফাইনালে হারের পর আর্জেন্টাইন যুবাদের পাশে মেসি, দিলেন আবেগঘন বার্তা অবশেষে জানা গেল জুবায়েদ হত্যার আসল কারণ নির্বাচন ঘিরে এআই ও ড্রোনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসির কর্মপরিকল্পনা থানায় মামলা করতে গেলে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওসি, আদালতে কাঁদলেন ভুক্তভোগী তরুণী গ্রেফতার করা হলো আলোচিত সেই বাংলাদেশি পর্ন তারকা যুগলকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে মানসম্মত পরিসংখ্যান অপরিহার্য: ড. ইউনূস

গণহত্যার নীলনকশা: রায়ের অপেক্ষায় হাসিনা-কামালের মামলা

  • আপলোড সময় : ২০-১০-২০২৫ ১২:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-১০-২০২৫ ১২:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন
গণহত্যার নীলনকশা: রায়ের অপেক্ষায় হাসিনা-কামালের মামলা ছবি: সংগৃহীত
এক বছর আগেও ক্ষমতার চূড়ায় ছিলেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্র কিংবা রাজনীতি— সবই চলত তার হুকুমে। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে আশ্রয় নেন ভারতে। এরপর তার বিরুদ্ধে দায়ের হয় অসংখ্য মামলা। দীর্ঘ শাসনামলে গুম-খুন, দুর্নীতি, গণহত্যাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার রায় হতে যাচ্ছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এ মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে— জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল সূত্র।

মানবতাবিরোধী অপরাধের ওই মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আসামি করা হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে। ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-জেরার পর শেষ হয়েছে প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক। স্টেট ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক শেষ হলেই রায়ের তারিখ নির্ধারণ করবেন ট্রাইব্যুনাল। চলতি সপ্তাহে স্টেট ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক ও প্রসিকিউশনের যুক্তি খণ্ডন শেষ হতে পারে। সেই হিসাবে ২৩ অক্টোবরের পর পাওয়া যাবে রায়ের দিনক্ষণ।

প্রসিকিউশনের তথ্যমতে, শেখ হাসিনার এ মামলায় মোট ৮৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তবে, রাজসাক্ষীসহ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৪ জন। এর মধ্যে চাক্ষুষ সাক্ষী সাতজন, আহত ভুক্তভোগী দুজন, ভুক্তভোগীর পরিবারের আটজন, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সাতজন, আহতদের চিকিৎসক সাক্ষী তিনজন এবং জব্দ তালিকার সাক্ষী রয়েছেন ১৪ জন। সাংবাদিক হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন একজন। ময়নাতদন্তকারী একজন, ঘটনার সমর্থন সাক্ষী দুজন, রাজসাক্ষী একজন, বিশেষ তদন্তকারী একজন ও মূল তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে একজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট, বিশেষজ্ঞ, ওয়ারল্যাস বার্তার সাক্ষী হিসেবে একজন করে; ফরেনসিক, ঘটনার পটভূমির সাক্ষী হিসেবে দুজন করে জবানবন্দি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালে।

তথ্য বলছে, শেখ হাসিনা-কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ৩ আগস্ট। প্রথম সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বীভৎসতার চিত্র তুলে ধরেন খোকন চন্দ্র বর্মণ। বাঁ চোখ নষ্ট আর নাক-মুখ না থাকলেও দৃঢ় মনে সাক্ষ্য দেন ২৩ বছরের এই তরুণ। গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশের ছোড়া গুলিতে তার পুরো চেহারা বিকৃত হয়ে যায়। তিনিই হন জুলাই গণহত্যার মামলার প্রথম সাক্ষী। ৮ অক্টোবর মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরার মাধ্যমে শেষ হয় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের ধাপ। তিনি ৫৪তম সাক্ষী ছিলেন।

মাঝে ৪৬ নম্বর তথা তারকা সাক্ষী হিসেবে আওয়ামী দুঃশাসনের পটভূমি তুলে ধরেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। একইসঙ্গে জুলাই-আগস্টে গণহত্যাসহ গত ১৬ বছরের গুম-খুনেরও বর্ণনা দেন তিনি। মাহমুদুর রহমানের পরই জবানবন্দি দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনিও বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। লেখক-গবেষক বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুর আগে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিও এ মামলায় সাক্ষ্য হিসেবে নেওয়া হয়। এছাড়া, ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৬ বছরের শাসনামলের অজানা সব তথ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে আনেন রাজসাক্ষী হওয়া চৌধুরী মামুন। একইসঙ্গে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।

এ মামলায় দালিলিক হিসেবে ৯০টি তথ্যচিত্র ও ৩৫টি বস্তুগত প্রমাণ জমা দেওয়া হয় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে তৎকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত, গুলির নির্দেশনা, অডিও-ভিডিওসহ জব্দ করা বিভিন্ন নথিপত্র রয়েছে। মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহার সাক্ষ্যের দিন চারটি ফোনালাপের অডিও রেকর্ড বাজিয়ে শোনানো হয় ট্রাইব্যুনালে; যা যুক্তিতর্কে শক্তভাবে উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন। ফোনালাপের একটি শেখ হাসিনা-শেখ ফজলে নূর তাপসের, একটি হাসিনার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি মাকসুদ কামালের এবং দুটি হাসিনার সঙ্গে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর। তাদের কথোপকথনে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন দমনের নীলনকশা, নৃশংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত মেলে। এছাড়া, সাক্ষীদের জবানবন্দিতেও উঠে আসে নানা তথ্য-উপাত্ত। ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত— দাবি প্রসিকিউশনের।

সর্বশেষ ১৬ অক্টোবর টানা পাঁচদিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শেখ হাসিনাকে সব অপরাধীর ‘প্রাণভোমরা’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেন তিনি। তবে, হাসিনা-কামালের সর্বোচ্চ সাজা চাইলেও রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেওয়া মামুনের শাস্তির বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেন চিফ প্রসিকিউটর। ফলে সাবেক এই আইজিপিকে দণ্ড নাকি ক্ষমা করা হবে, এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, যুক্তিতর্কে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণ করেছে প্রসিকিউশন। কারণ, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ঘটনার মধ্যে ওয়াইড স্প্রেড (বিস্তৃত) ও সিস্টেম্যাটিক (পদ্ধতিগত) অপরাধ ছিল। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এসব অপরাধ ক্রাইমস অ্যাগেইনস্ট হিউম্যানিটি হিসেবে চিহ্নিতযোগ্য। এছাড়া, শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশ ও নেতৃত্বেই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এসব হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলন দমনে পুলিশ, বিজিবি, আনসার, গোয়েন্দা সংস্থাসহ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে ১৪০০-এরও বেশি মানুষ নিহতের পাশাপাশি হাজারও ছাত্র-জনতা আহত হন। সবমিলিয়ে এসব অপরাধের দায়ে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা তথা মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা বা তার দলের শাসন-ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতেই এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। কমান্ড স্ট্রাকচারের শীর্ষে বসে তিনি নিজেই হুকুম দিয়েছিলেন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহার, হেলিকপ্টার থেকে গুলি-বোম্বিংসহ নানাভাবে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন সরকারপ্রধান হিসেবে। তার বিভিন্ন ফোনালাপে এসব জিঘাংসা মনোবৃত্তি উঠে এসেছে। যুক্তিতর্কে আদালতের কাছে আমরা সেসব ফোনালাপসহ নানা তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছি।’

তিনি বলেন, “হাসিনা ও কামাল, কারও ক্ষেত্রেই মিটিগেটিং ফ্যাক্টর নেই। বরং সবগুলোই এগ্রাভেটিং ফ্যাক্টর, যা সর্বোচ্চ দণ্ড নিশ্চিতের পক্ষে যুক্তি দেয়। কারণ, প্রধান আসামি শেখ হাসিনা ছিলেন অপরাধের নিউক্লিয়াস। এমনকি এত সব অপরাধেও তার কোনো অনুশোচনা নেই। উল্টো তিনি ‘হার্ড-নাট ক্রিমিনাল’ হিসেবে আচরণ করছেন। ভারতে বসেও নানা আস্ফালন দেখাচ্ছেন। এছাড়া, কমান্ড স্ট্রাকচারে দ্বিতীয় পজিশনে ছিলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাই তাদের ব্যাপারে চরম দণ্ড চাওয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালে।”

সাবেক আইজিপি মামুনের সাজা কেমন হতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি মামুন যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাতে সত্য উন্মোচিত হয়েছে। অর্থাৎ রাজসাক্ষী হওয়ার সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন তিনি। পুরোপুরি সত্য উদঘাটনেও তিনি কথা দিয়েছিলেন। অতএব, আমাদের দৃষ্টিতে তিনি সবকিছু তুলে ধরেছেন। তাই আইনের চোখে অভিযুক্ত হিসেবে তার সাজা কমানো হবে নাকি খালাস দেওয়া হবে, তা ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনেও আমরা প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে তার ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’

মামলার কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীর যুক্তিতর্ক ও প্রসিকিউশনের খণ্ডনের পর্ব সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর কতদিন লাগবে তা তিনিই বলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে চলতি সপ্তাহ বা এ মাসের বাকি দিনগুলো লাগতে পারে। এরপর রায়ের জন্য দিন ধার্য করবেন ট্রাইব্যুনাল। এখানে প্রসিকিউশনের কোনো এখতিয়ার নেই।

অন্যদিকে, নিজের মক্কেলরা খালাস পাবেন বলে আশাবাদী শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমার মক্কেল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলা হয়েছে নির্দেশদাতা। প্রসিকিউশনের পক্ষে নির্দেশদাতা হিসেবে আনলেও আমি মনে করি ঢালাওভাবে তিনি নির্দেশ দেননি। একটি আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে হলে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই করেছেন। আইনি বিধান হিসেবেই তিনি সবকিছু করার নির্দেশ দিয়েছেন।’

লেথাল ওয়েপন বা মারণাস্ত্র ব্যবহার প্রসঙ্গে আমির হোসেন বলেন, ‘একটি ভিডিও দিয়ে লেথাল ওয়েপনের যে কথাটা বলা হচ্ছে, এই ভিডিও সঠিকভাবে করা হয়েছে বলে আমি মনে করি না। এটা এআই দিয়ে তৈরি বলে আমি মনে করি। তবে, সাক্ষীদের জেরায় যেসব উপাদান পেয়েছি তা আমি যুক্তিতর্কে উপস্থাপন করব। আমি হতাশ নই। আশা করি আমার মক্কেলদের মুক্ত করতে পারব। তবে, যুক্তিতর্কের পর আরও ভালো বলা যাবে।’

শেখ হাসিনার পতনের পর গত বছরের ১৪ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই মাস পর অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর তদন্তকাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তদন্তে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দেশজুড়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, লাশ পুড়িয়ে ফেলাসহ সব মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান ‘মাস্টারমাইন্ড’ বা ‘সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উঠে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টে গণহত্যার হুকুমদাতা হিসেবে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১২ মে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এরপর ট্রাইব্যুনাল-১ এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।

দুই ধাপে শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়। ১০ জুলাই এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল। এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Admin News

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীর পদ্মায় বিলুপ্তপ্রায় মিঠাপানির কুমিরের বিস্ময়কর প্রত্যাবর্তন

রাজশাহীর পদ্মায় বিলুপ্তপ্রায় মিঠাপানির কুমিরের বিস্ময়কর প্রত্যাবর্তন