দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে হত্যার পর ত্রি-খন্ডিত করে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া সাব্বির হোসেন সবুজ (২৫) নামে এক যুবকের মস্তক বিহীন (মাথা) উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনও করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে ফুলবাড়ী থানা চত্বরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, বাড়ির কাজের লোকের কোদালের আঘাতে সবুজের মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে গোপন করতে মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়।
নিহত সাব্বির হোসেন সবুজ উপজেলার ৩নং কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের মৃত ইবনে সাউদ সরকারের ছেলে। তিনি গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর পুলিশ দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর হত্যার রহস্য উদঘাটন করে এবং সাব্বিরের বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর জব্বারের ছেলে আব্দুর হামেদ ২০০৫ সাল থেকে সাব্বির হোসেন সবুজকে বাড়ীতে কাজ করে আসছেন। ঘটনার দিন ২৩ সেপ্টেম্বর সবুজ তাদের ঘাসারে জমিতে আগাছা পরিষ্কার করার জন্য আব্দুর হামেদকে ডেকে নিয়ে যান। জমির আগাছা পরিস্কার করার সময় সবুজ ও হামেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হামেদ কোদাল দিয়ে সবুজের মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই সবুজের মৃত্যু হয়।
পবর্তীতে সবুজের মরদেহ লুকানোর জন্য হামেদ প্রথমে ঘাস দিয়ে মরদেহটি ঢেকে রাখেন। এরপর মরদেহটি পাশের একটি পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে রাখার এক পর্যায়ে বাড়ী থেকে একটি হাসুয়া এনে মরদেহটি তিন টুকরো করে উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের অনাবাদী একটি ধান খেতের ডোবায় বস্তায় করে পানির নিচে মরদেহের দুটো টুকরো পুতে রাখেন এবং মাথাটি পাশে একটি বরেন্দ্র গভীর নলকুপের পাইপের ভিতরে রেখে দেন।
পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন বলেন, রিমান্ডে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আটককৃত আব্দুর হামেদ। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া মাথাসহ (মস্তক) হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া ও কোঁদাল উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে এ ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে সাব্বির হোসেন সবুজ নিজ বাড়ী থেকে উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের আটপুকুরহাটে ব্যাংকে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী বের হয়ে আর বাড়ী ফিরে আসেনি। এতে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর সবুজের ছোটভাই সাদেক হাসান সজিব থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। জিডি দায়েরের পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের একটি ধান খেতের ডোবা থেকে সাব্বির হোসেন সবুজের মাথা বিহীন দ্বি-খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজন শরীরের একটি বিশেষ চিহ্ন দেখে মরদেহটি সাব্বির হোসেন সবুজের বলে পরিচয় সনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় পরদিন (১৬ অক্টোবর) নিহতের ছোটভাই সাদেক হাসান সজিব বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামী করে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্র ধরে থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই রাতেই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।
আটককৃতদের মধ্যে মামলার ৬ নম্বর আসামী উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর জব্বারের ছেলে আব্দুর হামেদকে (৫২) তিনদিনের রিমান্ডে থানায় নেয় পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) ওই আসামীর দেয়া তথ্য মোতাবেক ঘটনা স্থলের একটি গভির নলকুপের পাইপের ভেতর থেকে মরদেহের বিচ্ছিন্ন মস্তকটি উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে ফুলবাড়ী থানা চত্বরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, বাড়ির কাজের লোকের কোদালের আঘাতে সবুজের মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে গোপন করতে মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়।
নিহত সাব্বির হোসেন সবুজ উপজেলার ৩নং কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের মৃত ইবনে সাউদ সরকারের ছেলে। তিনি গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর পুলিশ দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর হত্যার রহস্য উদঘাটন করে এবং সাব্বিরের বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর জব্বারের ছেলে আব্দুর হামেদ ২০০৫ সাল থেকে সাব্বির হোসেন সবুজকে বাড়ীতে কাজ করে আসছেন। ঘটনার দিন ২৩ সেপ্টেম্বর সবুজ তাদের ঘাসারে জমিতে আগাছা পরিষ্কার করার জন্য আব্দুর হামেদকে ডেকে নিয়ে যান। জমির আগাছা পরিস্কার করার সময় সবুজ ও হামেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হামেদ কোদাল দিয়ে সবুজের মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই সবুজের মৃত্যু হয়।
পবর্তীতে সবুজের মরদেহ লুকানোর জন্য হামেদ প্রথমে ঘাস দিয়ে মরদেহটি ঢেকে রাখেন। এরপর মরদেহটি পাশের একটি পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে রাখার এক পর্যায়ে বাড়ী থেকে একটি হাসুয়া এনে মরদেহটি তিন টুকরো করে উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের অনাবাদী একটি ধান খেতের ডোবায় বস্তায় করে পানির নিচে মরদেহের দুটো টুকরো পুতে রাখেন এবং মাথাটি পাশে একটি বরেন্দ্র গভীর নলকুপের পাইপের ভিতরে রেখে দেন।
পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন বলেন, রিমান্ডে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আটককৃত আব্দুর হামেদ। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া মাথাসহ (মস্তক) হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া ও কোঁদাল উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে এ ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে সাব্বির হোসেন সবুজ নিজ বাড়ী থেকে উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের আটপুকুরহাটে ব্যাংকে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী বের হয়ে আর বাড়ী ফিরে আসেনি। এতে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর সবুজের ছোটভাই সাদেক হাসান সজিব থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। জিডি দায়েরের পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের একটি ধান খেতের ডোবা থেকে সাব্বির হোসেন সবুজের মাথা বিহীন দ্বি-খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজন শরীরের একটি বিশেষ চিহ্ন দেখে মরদেহটি সাব্বির হোসেন সবুজের বলে পরিচয় সনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় পরদিন (১৬ অক্টোবর) নিহতের ছোটভাই সাদেক হাসান সজিব বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামী করে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্র ধরে থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই রাতেই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।
আটককৃতদের মধ্যে মামলার ৬ নম্বর আসামী উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর জব্বারের ছেলে আব্দুর হামেদকে (৫২) তিনদিনের রিমান্ডে থানায় নেয় পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) ওই আসামীর দেয়া তথ্য মোতাবেক ঘটনা স্থলের একটি গভির নলকুপের পাইপের ভেতর থেকে মরদেহের বিচ্ছিন্ন মস্তকটি উদ্ধার করা হয়।