২০০৩ সালের ট্রাক হেলপার আনজু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই ভাই শাহিনুর রহমান শাহিন (৪৮) ও সাদিকুর রহমান ওরফে সুমনকে (৪৫)-কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার সকাল সোয়া ৭টায় রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার চকপাড়া বড় বনগ্রাম এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা।
বুধবার দুপুরে র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়,
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, ২০০৩ সালের (৩ সেপ্টেম্বর) ট্রাকচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে বাবলু পাবনার আত্রাই থেকে সোনা মসজিদের উদ্দেশে একটি ট্রাক নিয়ে রওনা হন। সেখানে পৌঁছানোর পর শাহিন ও সুমন পাথর পরিবহনের জন্য ট্রাকটি ভাড়া করে। সন্ধ্যার পর তারা আরেক সঙ্গী ও হেলপার আনজুকে নিয়ে রাজশাহীর দাসুরিয়ার দিকে রওনা হয়।
পথিমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর পার হওয়ার পর আসামিরা ট্রাকটি থামাতে বলে এবং কিছু সময় পর তিনজন যাত্রী একজন পুরুষ, একজন মহিলা ও একটি কিশোরীকে ট্রাকে তুলে নেয়। বিভিন্ন স্থানে থেমে ও চালককে কোমল পানীয়ের সাথে কিছু মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। ওই দিন রাত পৌনে ১টায় একটি ফাঁকা স্থানে পৌঁছালে আসামিরা রশি দিয়ে চালক বাবলুর গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তবে বাবলু ট্রাক থেকে লাফিয়ে পালিয়ে ধানক্ষেতে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।
পরদিন সকালে বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে তিনি তার ট্রাকটি খুঁজে পান এবং পুলিশের কাছে হেলপার আনজুর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে তিনি হেলপারের রক্তাক্ত মরদেহ শনাক্ত করেন। এই হত্যাকাÐটি সেই সময় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় চালক বাবলু বাদী হয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৮, তারিখ ০৪/০৯/২০০৩। মামলার পর আসামিদের গ্রেফতার করা হলেও তারা ২০১০ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। তাদের অনুপস্থিতিতেই আদালত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শাহিন ও সুমনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তারা নিজেদের নাম পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করে এবং বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। অবশেষে, র্যাব-৫, রাজশাহী সদর কোম্পানীর একটি অভিযানিক দল তাদের অবস্থান শনাক্ত করে এবং বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫ এর একটি দল মহানগরীর শাহমখদুম থানার চকপাড়া বড় বনগ্রাম এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত শাহিন ও সুমন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
বুধবার সকালে তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেছে রাজপাড়া থানা পুলিশ।
বুধবার সকাল সোয়া ৭টায় রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার চকপাড়া বড় বনগ্রাম এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা।
বুধবার দুপুরে র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়,
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, ২০০৩ সালের (৩ সেপ্টেম্বর) ট্রাকচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে বাবলু পাবনার আত্রাই থেকে সোনা মসজিদের উদ্দেশে একটি ট্রাক নিয়ে রওনা হন। সেখানে পৌঁছানোর পর শাহিন ও সুমন পাথর পরিবহনের জন্য ট্রাকটি ভাড়া করে। সন্ধ্যার পর তারা আরেক সঙ্গী ও হেলপার আনজুকে নিয়ে রাজশাহীর দাসুরিয়ার দিকে রওনা হয়।
পথিমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর পার হওয়ার পর আসামিরা ট্রাকটি থামাতে বলে এবং কিছু সময় পর তিনজন যাত্রী একজন পুরুষ, একজন মহিলা ও একটি কিশোরীকে ট্রাকে তুলে নেয়। বিভিন্ন স্থানে থেমে ও চালককে কোমল পানীয়ের সাথে কিছু মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। ওই দিন রাত পৌনে ১টায় একটি ফাঁকা স্থানে পৌঁছালে আসামিরা রশি দিয়ে চালক বাবলুর গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তবে বাবলু ট্রাক থেকে লাফিয়ে পালিয়ে ধানক্ষেতে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।
পরদিন সকালে বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে তিনি তার ট্রাকটি খুঁজে পান এবং পুলিশের কাছে হেলপার আনজুর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে তিনি হেলপারের রক্তাক্ত মরদেহ শনাক্ত করেন। এই হত্যাকাÐটি সেই সময় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় চালক বাবলু বাদী হয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৮, তারিখ ০৪/০৯/২০০৩। মামলার পর আসামিদের গ্রেফতার করা হলেও তারা ২০১০ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। তাদের অনুপস্থিতিতেই আদালত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শাহিন ও সুমনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তারা নিজেদের নাম পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করে এবং বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। অবশেষে, র্যাব-৫, রাজশাহী সদর কোম্পানীর একটি অভিযানিক দল তাদের অবস্থান শনাক্ত করে এবং বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫ এর একটি দল মহানগরীর শাহমখদুম থানার চকপাড়া বড় বনগ্রাম এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত শাহিন ও সুমন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
বুধবার সকালে তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেছে রাজপাড়া থানা পুলিশ।