মণিরামপুরে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের এক মাস পর অনৈতিক কার্যকলাপের সময় স্বামী কর্তৃক আটক হয়েছেন এক গৃহবধূ ও তার কথিত প্রেমিক রাকেশ হৃদয়। আটকের পর তাদের দু'জনকে বেঁধে মারপিটও করা হয়। পরে স্থানীয় এক সালিশি সভায় গৃহবধূকে তালাক দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রোববার (অক্টোবর) বিকালে উপজেলার হরিদাসকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হাজিরহাট বাজারের দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও একজন জুয়েলারি দোকানের মালিকের সঙ্গে ১৬ বছর আগে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া গ্রামের এক কর্মকারের মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১২ বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ওই জুয়েলারি মালিকের স্ত্রীর সঙ্গে মাত্র দেড় মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় অভয়নগর উপজেলার সমসপুর গ্রামের দুই সন্তানের জনক রাকেশ হৃদয় নামের এক যুবকের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এবার দুর্গাপূজা (২৭ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়ে (২ অক্টোবর) শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হাজিরহাটে এর ব্যতিক্রম ঘটে। (২ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জন না দিয়ে উৎসব চলতে থাকে।
প্রতিদিন বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মণ্ডপে যাত্রাপালা-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মণ্ডপ কমিটি। ফলে হরিদাসকাটি এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিকাংশ লোক ওই দুর্গোৎসবে যোগ দেন।
সেই সুযোগে কমিটির সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রী গত শনিবার সন্ধ্যার পর তার প্রেমিক রাকেশকে খবর দিয়ে বাড়িতে আনেন। কিন্তু এ খবর পেয়ে যান ওই গৃহবধূর স্বামী। ফলে রাত ১২টার দিকে ঘরের মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রেমিক রাকেশকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে স্বামী দরজায় তালা মেরে দেন।
পরদিন রোববার সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে স্বামী তালা খুলে কথিত প্রেমিক রাকেশ-সহ তার স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে বেঁধে মারপিট করেন। এ সময় বাড়িতে এলাকার উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। একপর্যায়ে হাজিরহাট পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিকাশ রায়, হরিদাসকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নবিরুজ্জামান আজাদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিকাশ রায় বলেন, সভায় গৃহবধূ তার স্বামীর সঙ্গে সংসার না করার কথা জানিয়ে প্রেমিক রাকেশকে বিয়ে করতে চান। এ সময় স্বামী বলেন, আমি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। আমি কলঙ্কিনী এ স্ত্রীর সঙ্গে আর সংসার করতে চাই না। ফলে রাকেশ এবং ওই গৃহবধূর অভিভাবকদের (পিতা এবং ভাই) খবর দেওয়া হয়। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নবিরুজ্জামান আজাদ বলেন, বিকালের দিকে গৃহবধূ এবং তার স্বামী ও প্রেমিক রাকেশের কাছ থেকে একটি সম্মতিপত্রে (স্ট্যাম্প) স্বাক্ষর নিয়ে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়।
এ ব্যপারে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রোববার (অক্টোবর) বিকালে উপজেলার হরিদাসকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হাজিরহাট বাজারের দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও একজন জুয়েলারি দোকানের মালিকের সঙ্গে ১৬ বছর আগে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া গ্রামের এক কর্মকারের মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১২ বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ওই জুয়েলারি মালিকের স্ত্রীর সঙ্গে মাত্র দেড় মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় অভয়নগর উপজেলার সমসপুর গ্রামের দুই সন্তানের জনক রাকেশ হৃদয় নামের এক যুবকের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এবার দুর্গাপূজা (২৭ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়ে (২ অক্টোবর) শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হাজিরহাটে এর ব্যতিক্রম ঘটে। (২ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জন না দিয়ে উৎসব চলতে থাকে।
প্রতিদিন বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মণ্ডপে যাত্রাপালা-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মণ্ডপ কমিটি। ফলে হরিদাসকাটি এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিকাংশ লোক ওই দুর্গোৎসবে যোগ দেন।
সেই সুযোগে কমিটির সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রী গত শনিবার সন্ধ্যার পর তার প্রেমিক রাকেশকে খবর দিয়ে বাড়িতে আনেন। কিন্তু এ খবর পেয়ে যান ওই গৃহবধূর স্বামী। ফলে রাত ১২টার দিকে ঘরের মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রেমিক রাকেশকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে স্বামী দরজায় তালা মেরে দেন।
পরদিন রোববার সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে স্বামী তালা খুলে কথিত প্রেমিক রাকেশ-সহ তার স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে বেঁধে মারপিট করেন। এ সময় বাড়িতে এলাকার উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। একপর্যায়ে হাজিরহাট পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিকাশ রায়, হরিদাসকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নবিরুজ্জামান আজাদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিকাশ রায় বলেন, সভায় গৃহবধূ তার স্বামীর সঙ্গে সংসার না করার কথা জানিয়ে প্রেমিক রাকেশকে বিয়ে করতে চান। এ সময় স্বামী বলেন, আমি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। আমি কলঙ্কিনী এ স্ত্রীর সঙ্গে আর সংসার করতে চাই না। ফলে রাকেশ এবং ওই গৃহবধূর অভিভাবকদের (পিতা এবং ভাই) খবর দেওয়া হয়। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নবিরুজ্জামান আজাদ বলেন, বিকালের দিকে গৃহবধূ এবং তার স্বামী ও প্রেমিক রাকেশের কাছ থেকে একটি সম্মতিপত্রে (স্ট্যাম্প) স্বাক্ষর নিয়ে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়।
এ ব্যপারে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।