রাজশাহী দেশের সবচেয়ে সুন্দর নগরী। দেশের অন্য যে-কোনো নগরীর চাইতে রাজশাহী অধিক বাসযোগ্য। এ নগরীর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সমস্যা চিহ্নিত করে একে আরও সুন্দর করতে হবে।
রাজশাহীতে বিশ্ব বসতি দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে বিশ^ বসতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসন ও রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিাত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাাপন করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান। আরডিএ চেয়ারম্যান এস. এম. তুহিনুর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, গণপূর্ত রাজশাহী জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী ও জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বক্তৃতা করেন।
বক্তাগণ বলেন, এখনও দেশের সবাই স্বীকার করে, রাজশাহী ভালো শহর। ছোটো শিশুকে জিজ্ঞাসা করলেও সে বলবে রাজশাহী সবচেয়ে সুন্দর শহর। কিন্তু নগর পরিষেবা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সক্ষমতার কিছু ঘাটতি এবং দুর্বলতা রয়েছে। নগরীর সমস্যাগুলো শুধু পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চিহ্নিত করলে হবে না, নগরবাসীকে নিয়ে চিহ্নিত করতে হবে।
নগরীর সাহেব বাজার, লক্ষীপুর ও ভদ্রা মোড়ের যানজটের কথা উল্লেখ করে বক্তাগণ বলেন, রাজশাহীতে পার্কিং ব্যবস্থা একেবারেই অপতুুল। অটোরিক্সা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকায় তিন-চার লেন ধরে জায়গা দখল করে রাখছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার ঘাটতির ফলে অনেক রাস্তায় পানি জমে যায়। নগরীতে অপরিকল্পিত ভাবে কিছু ভবন তৈরি হচ্ছে। এসব ভবনে উঠার জন্য ফুটপাতকে ব্যবহার করছে যা মোটেও ঠিক নয়। ম্যানহোলের ঢাকনা ঘনঘন চুরি হচ্ছে। রাজশাহীতে যে গাড়ি চলাচল করে সে সংখ্যা বিবেচনায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার গুলোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বক্তারা।
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান ও পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান নগর পরিকল্পনায় নিরাপত্তা ভবনের জন্য জায়গা বরাদ্দ রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধারেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমরা নগরের সকল সুবিধা এখনও সবাইকে দিতে পারিনি। নগরীতে ইজিবাইক অনেক বেড়ে গেছে। এটা একটা বড়ো সমস্যা।
আবার এটাও মনে রাখতে হবে, একটা ইজিবাইক মানে একেকটা পরিবারের চালিকা শক্তি। তাই এই সমস্যা সমাধান করা একটু কঠিন। এসময় তিনি রাজশাহী শহরকে আরও ভালো রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে সকাল ১০টায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় হতে বিশ্ব দিবস উপলক্ষে এক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীতে বিশ্ব বসতি দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে বিশ^ বসতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসন ও রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিাত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাাপন করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান। আরডিএ চেয়ারম্যান এস. এম. তুহিনুর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, গণপূর্ত রাজশাহী জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী ও জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বক্তৃতা করেন।
বক্তাগণ বলেন, এখনও দেশের সবাই স্বীকার করে, রাজশাহী ভালো শহর। ছোটো শিশুকে জিজ্ঞাসা করলেও সে বলবে রাজশাহী সবচেয়ে সুন্দর শহর। কিন্তু নগর পরিষেবা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সক্ষমতার কিছু ঘাটতি এবং দুর্বলতা রয়েছে। নগরীর সমস্যাগুলো শুধু পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চিহ্নিত করলে হবে না, নগরবাসীকে নিয়ে চিহ্নিত করতে হবে।
নগরীর সাহেব বাজার, লক্ষীপুর ও ভদ্রা মোড়ের যানজটের কথা উল্লেখ করে বক্তাগণ বলেন, রাজশাহীতে পার্কিং ব্যবস্থা একেবারেই অপতুুল। অটোরিক্সা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকায় তিন-চার লেন ধরে জায়গা দখল করে রাখছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার ঘাটতির ফলে অনেক রাস্তায় পানি জমে যায়। নগরীতে অপরিকল্পিত ভাবে কিছু ভবন তৈরি হচ্ছে। এসব ভবনে উঠার জন্য ফুটপাতকে ব্যবহার করছে যা মোটেও ঠিক নয়। ম্যানহোলের ঢাকনা ঘনঘন চুরি হচ্ছে। রাজশাহীতে যে গাড়ি চলাচল করে সে সংখ্যা বিবেচনায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার গুলোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বক্তারা।
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান ও পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান নগর পরিকল্পনায় নিরাপত্তা ভবনের জন্য জায়গা বরাদ্দ রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধারেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমরা নগরের সকল সুবিধা এখনও সবাইকে দিতে পারিনি। নগরীতে ইজিবাইক অনেক বেড়ে গেছে। এটা একটা বড়ো সমস্যা।
আবার এটাও মনে রাখতে হবে, একটা ইজিবাইক মানে একেকটা পরিবারের চালিকা শক্তি। তাই এই সমস্যা সমাধান করা একটু কঠিন। এসময় তিনি রাজশাহী শহরকে আরও ভালো রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে সকাল ১০টায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় হতে বিশ্ব দিবস উপলক্ষে এক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।