টেলিভিশনের চেনা মুখ প্রেরণা ভট্টাচার্য। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি এখন সোশ্যাল মিডিয়ারও প্রিয় মুখ। প্রতিদিনের ছোট ছোট মুহূর্ত ভাগ করে নিতে ভালোবাসেন, যেন পর্দার বাইরেও তাঁর জীবন একটা চলমান গল্প— হাসি, রোদ, বৃষ্টি, আর কিছু নির্ভেজাল উষ্ণতা। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’-তে ‘সাংভি’ চরিত্রে আজ যাঁকে সবাই চেনে, সেই প্রেরণার জীবনেও সম্প্রতি জমে উঠেছিল গুঞ্জন— নাকি নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি!
বহুদিন ধরেই টেলিপাড়ায় এই গুঞ্জন ঘুরে বেড়াচ্ছিল। অভিনেত্রী মুখে কিছু না বললেও, পুজোর সময় তাঁর পোস্ট করা কিছু ছবি যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। ছবিগুলিতে প্রেরণার পাশে দেখা গেল এক বিশেষ মানুষকে। কখনও হাসিমুখে সেলফি, কখনও বন্ধুদের সঙ্গে গানে-হাসিতে জমজমাট আড্ডা— আর তাতেই শুরু হয় নানারকম অনুমান। কেউ বললেন, “প্রেমের ইঙ্গিত স্পষ্ট”, কেউ আবার মজা করে লিখলেন, “নতুন শুরু!”
সেই ব্যক্তি আর কেউ নন, শুভজিৎ কুণ্ডু— প্রেরণার মতোই একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার। তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। একসঙ্গে একাধিক রিলস ভিডিওতেও তাঁদের দেখা গিয়েছে। এমনকি, ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে— দশমীর সকালে দেবী বরণে প্রেরণার কপালে সিঁদুর ছুঁইয়ে দিচ্ছেন শুভজিৎ। দর্শকদের মনে তখন যেন প্রশ্নটা পাক খেতে শুরু করে— এ কি শুধুই বন্ধুত্ব?
প্রেরণার কেরিয়ারের শুরু থেকেই অভিনয়ের জগতে তাঁর আলাদা জায়গা তৈরি হয়েছে। ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’-তে কৃতির চরিত্রে নজর কাড়ার পর, তিনি কাজ করেছেন একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে, কখনও পজিটিভ, কখনও নেগেটিভ ভূমিকায়। আর অভিনয়ের রসদ পেয়েছেন ঘর থেকেই— তাঁর মা-ও একসময় বড়পর্দা ও ছোটপর্দায় ছিলেন পরিচিত মুখ।
তবুও, সমস্ত জল্পনা-আলোচনার শেষে প্রেরণা অবশেষে মুখ খুললেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ এক আবেগভরা পোস্টে তিনি জানালেন নিজের অবস্থান—“ক্লাস সিক্স থেকে যদি আমাদের বন্ধুত্বের হিসেব ধরা যায়, তাহলে প্রায় ২২-২৩ বছর হয়ে গেল। ছোটবেলা থেকে আমাদের হাজারো ছবি, ভিডিও আছে— শুধু তখন Facebook বা Instagram ছিল না, তাই সেগুলো কেউ দেখত না। এখন আছে, তাই হয়তো সবার চোখে পড়ছে। আসলে ছোটবেলার স্কুল বন্ধুদের সঙ্গে আজও আমাদের সম্পর্কটা একেবারে পরিবারের মতো। আনন্দ, দুঃখ, রাগ, মজা— সব ভাগ করে নিয়েছি আমরা। এই সম্পর্কগুলো খুব স্পেশাল, আর সেটাকে ঘিরে যে খবর তৈরি হচ্ছে, সেটা সত্যিই কষ্টদায়ক। অনেকেই বিশ্বাসও করছেন সেই ভুল খবর। অনুরোধ করব— দয়া করে গরম গরম ক্যাপশন দিয়ে খবর বানাবেন না। জানি, এতে ভিউ বাড়ে, কিন্তু সবকিছু কি বিক্রি করতেই হবে? ভবিষ্যতেও প্রচুর ছবি, ভিডিও, রিলস আসবে, আমাদের একসঙ্গে দেখা যাবে— কারণ এটিই আমাদের স্বাভাবিক জীবন, যা ছিল আগেও, থাকবে আগামী দিনেও। আপনি যদি ভুল ভাবতে চান, তাহলে ভাবুন, কিন্তু দয়া করে ফেক নিউজ ছড়াবেন না।”
এই পোস্টে স্পষ্ট প্রেরণার এক ব্যথাও রয়েছে, আবার এক অনন্য আত্মসম্মানও। সম্পর্কের টানাপড়েন নয়, বরং বন্ধুত্বের বন্ধনের গল্প বললেন অভিনেত্রী।
বহুদিন ধরেই টেলিপাড়ায় এই গুঞ্জন ঘুরে বেড়াচ্ছিল। অভিনেত্রী মুখে কিছু না বললেও, পুজোর সময় তাঁর পোস্ট করা কিছু ছবি যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। ছবিগুলিতে প্রেরণার পাশে দেখা গেল এক বিশেষ মানুষকে। কখনও হাসিমুখে সেলফি, কখনও বন্ধুদের সঙ্গে গানে-হাসিতে জমজমাট আড্ডা— আর তাতেই শুরু হয় নানারকম অনুমান। কেউ বললেন, “প্রেমের ইঙ্গিত স্পষ্ট”, কেউ আবার মজা করে লিখলেন, “নতুন শুরু!”
সেই ব্যক্তি আর কেউ নন, শুভজিৎ কুণ্ডু— প্রেরণার মতোই একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার। তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। একসঙ্গে একাধিক রিলস ভিডিওতেও তাঁদের দেখা গিয়েছে। এমনকি, ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে— দশমীর সকালে দেবী বরণে প্রেরণার কপালে সিঁদুর ছুঁইয়ে দিচ্ছেন শুভজিৎ। দর্শকদের মনে তখন যেন প্রশ্নটা পাক খেতে শুরু করে— এ কি শুধুই বন্ধুত্ব?
প্রেরণার কেরিয়ারের শুরু থেকেই অভিনয়ের জগতে তাঁর আলাদা জায়গা তৈরি হয়েছে। ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’-তে কৃতির চরিত্রে নজর কাড়ার পর, তিনি কাজ করেছেন একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে, কখনও পজিটিভ, কখনও নেগেটিভ ভূমিকায়। আর অভিনয়ের রসদ পেয়েছেন ঘর থেকেই— তাঁর মা-ও একসময় বড়পর্দা ও ছোটপর্দায় ছিলেন পরিচিত মুখ।
তবুও, সমস্ত জল্পনা-আলোচনার শেষে প্রেরণা অবশেষে মুখ খুললেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ এক আবেগভরা পোস্টে তিনি জানালেন নিজের অবস্থান—“ক্লাস সিক্স থেকে যদি আমাদের বন্ধুত্বের হিসেব ধরা যায়, তাহলে প্রায় ২২-২৩ বছর হয়ে গেল। ছোটবেলা থেকে আমাদের হাজারো ছবি, ভিডিও আছে— শুধু তখন Facebook বা Instagram ছিল না, তাই সেগুলো কেউ দেখত না। এখন আছে, তাই হয়তো সবার চোখে পড়ছে। আসলে ছোটবেলার স্কুল বন্ধুদের সঙ্গে আজও আমাদের সম্পর্কটা একেবারে পরিবারের মতো। আনন্দ, দুঃখ, রাগ, মজা— সব ভাগ করে নিয়েছি আমরা। এই সম্পর্কগুলো খুব স্পেশাল, আর সেটাকে ঘিরে যে খবর তৈরি হচ্ছে, সেটা সত্যিই কষ্টদায়ক। অনেকেই বিশ্বাসও করছেন সেই ভুল খবর। অনুরোধ করব— দয়া করে গরম গরম ক্যাপশন দিয়ে খবর বানাবেন না। জানি, এতে ভিউ বাড়ে, কিন্তু সবকিছু কি বিক্রি করতেই হবে? ভবিষ্যতেও প্রচুর ছবি, ভিডিও, রিলস আসবে, আমাদের একসঙ্গে দেখা যাবে— কারণ এটিই আমাদের স্বাভাবিক জীবন, যা ছিল আগেও, থাকবে আগামী দিনেও। আপনি যদি ভুল ভাবতে চান, তাহলে ভাবুন, কিন্তু দয়া করে ফেক নিউজ ছড়াবেন না।”
এই পোস্টে স্পষ্ট প্রেরণার এক ব্যথাও রয়েছে, আবার এক অনন্য আত্মসম্মানও। সম্পর্কের টানাপড়েন নয়, বরং বন্ধুত্বের বন্ধনের গল্প বললেন অভিনেত্রী।
তামান্না হাবিব নিশু