আবহাওয়া বদলাচ্ছে। কখনও ঠান্ডা, আবার কখনও গরম। এই সময়টাতেই জ্বর, সর্দিকাশির প্রকোপ বাড়ে। মরসুম বদলের এই সময়ে গলা ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। বিশেষ করে ছোটদের গলাব্যথা, টনসিলাইটিস, ফ্যারেনজাইটিসের মতো সমস্যা বাড়ছে। শুকনো কাশি সারতে চাইছে না। এ দিকে কাশির সিরাপ খাওয়াও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে কাশির সিরাপ খেয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনার পর আতঙ্ক আরও বেড়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কাশির সিরাপে এমন কিছু রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে যা লিভার, কিডনি বিকল করে দিতে পারে। তাই কাশির ওষুধের বদলে শিশুকে কী কী খাওয়ানো যেতে পারে, তা জেনে রাখা ভাল।
সংক্রামক রোগ বিষয়ক চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার জানাচ্ছেন, বাজারে প্রচুর কাশির ওষুধ পাওয়া যায়। অভিভাবকেরাও কাশির ওষুধের উপরে বেশি নির্ভর করতে চান। এগুলি সাধারণত ‘ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ড্রাগ’ যা শিশুদের জন্য চরম ক্ষতিকর। এর নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তন্দ্রাচ্ছন্নতা, ঘুমের অভ্যাস পাল্টে যাওয়া, লিভার-কিডনির ক্ষতি হওয়া থেকে শুরু করে মানসিক ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়তে পারে। ২ বছরের নীচে শিশুকে কখনওই কাশির সিরাপ খাওয়ানো উচিত নয়। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, কফ-সাপ্রেস্যান্ট ওষুধ বা ওপিওয়েড জাতীয় ওষুধ আগে থেকেই নিষিদ্ধ। আসলে বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবে কাশি হতে দেখা যায়। তা হলে কাশির কারণ আগে খুঁজে বার করতে হবে। সেই মতো চিকিৎসা করাতে হবে।
শিশুর যদি শুকনো কাশি সারতে না চায়, তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। বাড়িতেও ঘরোয়া কিছু টোটকায় আরাম পেতে পারে শিশু। কাশির সিরাপের বদলে সেগুলি খাওয়ানো যেতে পারে।
কাশি সারানোর ঘরোয়া উপায়
আদা-হলুদের কাড়া: উপকরণ- ১ কাপ জল, ১ ইঞ্চির মতো আদা, আধ চা-চামচ হলুদগুঁড়ো বা কাঁচা হলুদের ছোট টুকরো, ১ চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ মধু।
প্রণালী- এক কাপ জলে হলুদগুঁড়ো বা কাঁচা হলুদের টুকরো এবং আদা দিয়ে ভাল করে ফোটান। ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে তা ছেঁকে নিন। এ বার তাতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খুদেকে খাওয়াতে পারেন।
পুদিনার চা: উপকরণ- ১ কাপ জল, ৫-৬টি পুদিনার পাতা, ১ চামচ মধু, অর্ধেকটা পাতিলেবুর রস।
প্রণালী- এক কাপ জল ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে। জল ফুটতে শুরু করলে তাতে পুদিনা পাতাগুলি দিয়ে ঢেকে বসিয়ে দিন। ৭-১০ মিনিট ভাল করে ফুটলে জল ছেঁকে নিয়ে তাতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে দিন। শুকনো কাশিতে গলাব্যথা, টনসিলের ব্যথা কমাতে পুদিনার চা খুবই কার্যকর।
ঈশদুষ্ণ জলে মধু: উপকরণ- মধু প্রদাহনাশক। এক কাপ জল ও ১ চামচ মধু নিতে হবে।
প্রণালী- এক বছরের নীচে শিশুকে মধু খাওয়ালে উপকার হতে পারে। ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ মধু দিয়ে খাওয়ালে গলাব্যথায় আরাম পাওয়া যাবে।
সংক্রামক রোগ বিষয়ক চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার জানাচ্ছেন, বাজারে প্রচুর কাশির ওষুধ পাওয়া যায়। অভিভাবকেরাও কাশির ওষুধের উপরে বেশি নির্ভর করতে চান। এগুলি সাধারণত ‘ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ড্রাগ’ যা শিশুদের জন্য চরম ক্ষতিকর। এর নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তন্দ্রাচ্ছন্নতা, ঘুমের অভ্যাস পাল্টে যাওয়া, লিভার-কিডনির ক্ষতি হওয়া থেকে শুরু করে মানসিক ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়তে পারে। ২ বছরের নীচে শিশুকে কখনওই কাশির সিরাপ খাওয়ানো উচিত নয়। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, কফ-সাপ্রেস্যান্ট ওষুধ বা ওপিওয়েড জাতীয় ওষুধ আগে থেকেই নিষিদ্ধ। আসলে বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবে কাশি হতে দেখা যায়। তা হলে কাশির কারণ আগে খুঁজে বার করতে হবে। সেই মতো চিকিৎসা করাতে হবে।
শিশুর যদি শুকনো কাশি সারতে না চায়, তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। বাড়িতেও ঘরোয়া কিছু টোটকায় আরাম পেতে পারে শিশু। কাশির সিরাপের বদলে সেগুলি খাওয়ানো যেতে পারে।
কাশি সারানোর ঘরোয়া উপায়
আদা-হলুদের কাড়া: উপকরণ- ১ কাপ জল, ১ ইঞ্চির মতো আদা, আধ চা-চামচ হলুদগুঁড়ো বা কাঁচা হলুদের ছোট টুকরো, ১ চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ মধু।
প্রণালী- এক কাপ জলে হলুদগুঁড়ো বা কাঁচা হলুদের টুকরো এবং আদা দিয়ে ভাল করে ফোটান। ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে তা ছেঁকে নিন। এ বার তাতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খুদেকে খাওয়াতে পারেন।
পুদিনার চা: উপকরণ- ১ কাপ জল, ৫-৬টি পুদিনার পাতা, ১ চামচ মধু, অর্ধেকটা পাতিলেবুর রস।
প্রণালী- এক কাপ জল ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে। জল ফুটতে শুরু করলে তাতে পুদিনা পাতাগুলি দিয়ে ঢেকে বসিয়ে দিন। ৭-১০ মিনিট ভাল করে ফুটলে জল ছেঁকে নিয়ে তাতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে দিন। শুকনো কাশিতে গলাব্যথা, টনসিলের ব্যথা কমাতে পুদিনার চা খুবই কার্যকর।
ঈশদুষ্ণ জলে মধু: উপকরণ- মধু প্রদাহনাশক। এক কাপ জল ও ১ চামচ মধু নিতে হবে।
প্রণালী- এক বছরের নীচে শিশুকে মধু খাওয়ালে উপকার হতে পারে। ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ মধু দিয়ে খাওয়ালে গলাব্যথায় আরাম পাওয়া যাবে।